Quantcast
Channel: বাসর রাত – Amar Bangla Post
Viewing all 40 articles
Browse latest View live

বাসর রাতের জন্য পুরুষ নেবেন যে ৬টি বিশেষ প্রস্তুতি!

$
0
0

বাসর রাতের প্রস্তুতিবাসর রাতটি সবার জীবনের বিশেষ একটি রাত। নতুন জীবনে পা রাখার পর দুটি মানুষের একসাথে বসবাসের প্রথম মূহূর্তটি হলো বাসর রাত। আর এই বিশেষ রাতটিকে ঘিরে অধিকাংশ মানুষ অনেক রকমের স্বপ্ন বোনে। কিন্তু অনেক সময় ছোট্ট কিছু অজ্ঞতার জন্য বাসর রাতটির মধুরতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাসর রাতের আগেই প্রয়োজন কিছু প্রস্তুতির। জেনে নিন পুরুষদের কিছু প্রস্তুতি সম্পর্কে যেগুলো বাসর রাতের জন্য অবশ্যই নেয়া উচিত।

০১ বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতি 🙂বিয়ের জন্য প্রতিটি পুরুষেরই মানসিক ভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। হুট করে নতুন জীবনে পা দেয়ার সময় অধিকাংশ পুরুষেরই আত্মবিশ্বাস থাকে না। কিন্তু নারীরা আত্মবিশ্বাসী পুরুষদেরকে বেশি ভালোবাসে। তাই নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে একটি নতুন জীবনে পা দেয়ার আগে নানান রকম ভয় ভীতি থাকে মনে। সেগুলোও ঝেড়ে ফেলা প্রয়োজন বিয়ের আগেই।
০২ ব্যায়াম 😛নারীরা সুঠাম দেহের পুরুষদেরকে পছন্দ করে। আর তাই সাড়া জীবন ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকলেও বিয়ের আগে কিছুদিন ব্যায়াম ও ডায়েটের মাধ্যমে ভুড়ি এবং অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করা উচিত।
০৩ স্টাইল, ত্বকের যত্ন ও পরিচ্ছন্নতাঃ বিয়ের আগে প্রয়োজন গ্রুমিং এর। চুলটাকে সুন্দর কোনো স্টাইলে ছাটুন। সেই সঙ্গে ত্বকের যত্নের জন্য ভালো কোনো পার্লারে ফেসিয়াল করিয়ে নিন। সেই সঙ্গে শারীরিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। সুন্দর কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করতে ভুলবেন না বিয়ের রাতে।
০৪ জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাঃ যেহেতু বাংলাদেশের অনেক নারীই জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানেন না এবং সেই ব্যাপারে খুব একটা সহজও না। তাই বাসর রাতে আপনার স্ত্রী উপর নির্ভর করবেন না জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি গ্রহণ করবেন সেটা আপনাকেই ভাবতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে আপনাকেই।
০৫ সঙ্গীকে মানসিক ভাবে সহায়তা করার মনোভাবঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ নারীই বাসর রাতেই শারীরিক মিলনের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে পারেন না। আর তাই তাঁরা স্বামীর কাছ থেকে মনে মনে এই ব্যাপারে একটু সহযোগীতা আশা করেন। বিয়ের রাতেই তাই স্ত্রীকে বিষয়টি নিয়ে জোর করা উচিত না। সেই সঙ্গে তাকে যথেষ্ট পরিমাণে মানসিক সহায়তা করা উচিত। দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা একটু সহজ হওয়ার আগেই শারীরিক মিলনের ব্যাপারে জোর করলে সম্পর্কটা সাড়া জীবনের জন্য তেঁতো হয়ে যেতে পারে।
০৬ স্ত্রী জন্য উপহার কিনে রাখা: বাসর রাতটি জীবনের বিশেষ একটি রাত। আর তাই এই রাতটিকে আরো বেশি রোমান্টিক ও স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্ত্রীর জন্য বিশেষ কোনো উপহার কিনে রাখতে পারেন। সেটা হতে পারে হীরের আংটি অথবা ছোট কোনো ফটোফ্রেমে বন্দী করা নিজেদের প্রিয় কোনো মূহূর্তের ছবি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট/বড় যা খুশি উপহার দিন। নতুন জীবনের শুরুতেই আপনার এই ছোট্ট ভালোবাসা আপনার স্ত্রীকে মুগ্ধ করবে।

বাসর রাতের সম্পর্কে আরো জানতে এখানে যানঃ “বাসর রাত” অথবা পড়ুন বাসর রাতের আদর্শ বইটি।

The post বাসর রাতের জন্য পুরুষ নেবেন যে ৬টি বিশেষ প্রস্তুতি! appeared first on Amar Bangla Post.


শুভ বাসর ( আদর্শ বিবাহ )

$
0
0

বাসরশুভ বাসর রজনী। জীবনের মধুরতম রাত্রী। রমাঞ্চকর পুলকময় যামিনী। নব দম্পতির , নব দুই প্রেমিক – প্রেমিকার প্রথম সাক্ষাৎ ও প্রথম মিলনের শুভ সন্ধিক্ষণ। এই বাসর – কক্ষটি হবে মনোরম, সৌরভময় , সুসজ্জিত ও আলোকমন্ডিত। ( অবশ্য এতে অপব্যয় করা উচিত নয়।) কক্ষের একপার্শে থাকবে কিছু ফল, দুধ অথবা মিষ্টান্ন ও পানি।  বর ওযু করে বাসরে নব সাথীর অপেক্ষা করবে। নববধূ কে ওযু করিয়ে সুসজ্জিতা ও সুরভিতা করে ভাবীরা এবং অন্যান্য  মহিলারাও এই দুআ বলবে,

উচ্চারণঃ- আলাল খাইরি অলবারাকাহ, অআলা খাইরিন ত্বা-ইর।

অর্থাৎ, মঙ্গল ও বরকতের উপর এবং সৌভাগ্যের সহিত ( তোমার নবজীবনের সূচনা হোক)। (বুঃ,মুঃ,আযিঃ ১৭৪ পৃষ্ঠা)

অতঃপর তাকে বাসর ঘরে ছেড়ে আসবে। পূর্ব হতেই স্বামী বাসরে থাকলে স্ত্রী সশ্রদ্ধ সালাম করে কক্ষে প্রবেশ করবে। স্বামী  সস্নেহে উত্তর দেবে এবং উঠে মুসাফাহা করে শয্যায় বসাবে। কুশলাদি জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বামী – স্ত্রী মিলে ২ রাকাআত নামায পড়বে।

তবে স্ত্রী দাঁড়াবে স্বামীর পশ্চাতে। মুসলিম দম্পতির নব জীবনের শুভারম্ভ হবে আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্য করার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। সুতরাং প্রথমতঃ আল্লাহর ইবাদত ও দ্বিতীয়তঃ স্বামীর আনুগত্য ও খিদমত হল নারীর ধর্ম।  অতঃপর স্বামী দুআ করবে,

 উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা বা-রিকলী ফী আহলী, অবা-রিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লা-হুম্মাজমা বাইনানা মা জামা,তা বিখাইর, অফার্রিক্ব বাইনানা ইযা ফাররাক্বতা ইলা খাইর।

অর্থাৎ, সে আল্লাহ! আমাকে আমার পরিবারে বরকত ও প্রাচুর্য দান কর এবং ওদের জন্যও আমার মাঝে বরকত ও মঙ্গল দান কর। হে আল্লাহ! আমাকে যতদিন আমাদের কে একত্রিত রাখবে ততদিন মঙ্গলের উপর আমাদের কে অবিছিন্ন রেখো এবং বিছিন্ন করলে মঙ্গলের জন্যই আমাদের কে বিছিন্ন করো। ( ইআশাঃ, আরাঃ, তাবঃ, প্রভৃতি, আযিঃ ৯৪-৯৬ পৃষ্ঠা)

অতঃপর উঠে শয্যায় বসে স্বামী স্ত্রীর ললাটে হাত রেখে ” বিসমিল্লাহ” বলে এই দুআ পাঠ করবে;

উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরিকা অখাইরি মা জাবালতাহা আলাইহি, অআউযু বিকা মিন শার্রিহা অশার্রি মা জাবালতাহা আলাইহ।

 অর্থাৎ,হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এর মঙ্গল এবং এর মধ্যে তোমার সৃষ্টি প্রকৃতির মঙ্গল প্রার্থনা করছি! আর তোমার নিকট এর অমঙ্গল এবং এর মসঝে তোমার সৃষ্টি প্রকৃতির অমঙ্গল হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।  ( আদাঃ,ইমাঃ, হাঃ, বাঃ, প্রভৃতি , আযিঃ ৯২-৯৩ পৃষ্ঠা)

অতঃপর সপ্রেমে কোলে টেনে নিয়ে একটা চুম্বন দিয়ে স্বামী স্ত্রীকে বল্বে,আমাকে পেয়ে খুশী হয়েছ তো প্রিয়ে? স্ত্রী লজ্জা ও ভয় কাঁটিয়ে বলবে, আলহামদু লিল্লাহ,খুব খুশী হয়েছি। আপনি খুশী তো? স্বামী বলবে ,আলহামদু লিল্লাহ,শত খুশী। তারপর দুধ,ফল বা মিষ্টি নিয়ে একে অপরকে খাইয়ে দেবে। এই ভাবে নববধূর মন থেকে ভয় ও লজ্জা ধীরে ধীরে দূরীভূত হবে। উদ্বেলিত  হবে প্রেমের তরঙ্গমালা। 

প্রকাশ যে, একজনের পাত্রে হাত রেখে অপরজনের খাওয়া কুপ্রথা।  এই সময় শুধু চিন্তাই নয় বরং ভাবী জীবনের বহু পরিকল্পনার কথাও উভয়ে আলোচনা করবে। একে অপরকে বিশেষ উপদেশ ও পরামর্শ দেবে।

আবু দারদা তার স্ত্রীকে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন, যখন আমাকে দেখবে যে, আমি রেগে গেছি, তখন তুমি রাগ মিটাবার চেষ্টা করবে। আর তোমাকে রেগে যেতে দেখলে আমিও রাগ মিটাব।( ফিসুঃ ২/২০৮)

আবুল আসওয়াদ তার স্ত্রীকে বলেছিলেন, প্রিয়ে আমি ভুল করে ফেললে আমার কাছে বদলা নেবার চেষ্টা না করে আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমি ক্রোধান্বিত হয়ে কথা বললে তুমি আমার মুখের উপর মুখ দিও না। এতে আমাদের ভালোবাসা চিরস্থায়ী ও  মধুর হবে।

এক স্ত্রী বলেছিল,প্রিয়! মেয়েদের মন ঠুনকো কাচের পাত্র। সামান্য (কথার) আঘাতে তাই ভেঙ্গে যায়। তাই হয়তো স্বামীর উপরেও মুখ চালায়। তাই একটু মানিয়ে চলবেন। স্বামী বলল , তা ঠিক ,তাই কাচের টুকরা স্বামীর মর্যাদায় বিঁধে কষ্ট দেয়। তাছাড়া মেয়েদের মন কাচের হলেও মুখখানা কিন্তু পাকা ইস্পাতের। তাই সব ভেঙ্গে  গেলেও মুখ অক্ষত অবস্থায় সবেগে চলমান থাকে। অথচ মুখখানা কাঁচের ও মনখানা লোহার হলে আগুনে ঘি পড়ে না। দাম্পত্ব মহয় মধুর।

বিবাহের রঙে রাঙা আজ সব, রাঙা মন, রাঙা আভরণ,

বল নারী , এই রক্ত আলোকে আজ মম নব জাগরণ।

পাপে নিয় পতিপুণ্যে সুমতি

থাকে যেন হয়ো পতির সারথি

পতি যদি হয় অন্ধ হে সতী!

বেধোনা নয়নে আবরণ;

অন্ধ পতিরে আখি দেয় যেন তোমার সত্য আচরণ।

সতর্কতার বিষয় যে, এই রাত্রে বা অন্য কোন সময়েও পরস্পরের পূর্বেকার ইতিহাস জানতে না চাওয়াই উভয়ের জন্য উত্তম। নচেৎ মধুরাত্রি বিষরাত্রির পরিণত হবে।

উল্লেখ্য যে, বাসরে বর-কনের কথোপকথনে কানাচি পাতা হারাম। কানাচি পেতে গোপন কথা যে শোনে , কিয়ামতের  তার  কানে গলিত সীসা ঢালা হবে। (বুঃ ৭০৪২ নং)

নব-দম্পতির প্রেমের জোয়ার প্লাবিত করুক তাদের জীবন ও যৌবনের উভয় কুলকে ; এতে অপরের কাজ কি?

বাতি আনে রাতি আনার প্রীতি,

বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি।

বিজন ঘরে এখন যে গায় গীতি।

একলা থাকার গান খানি সে গা,বে

উদাস পথিক ভাবে।

কিন্তু মিলন পিপাসার্ত স্বামী কি ধৈর্য রাখতে চাইবে? মন তার গাইবেঃ-

গুন্ঠন খোল এই নির্জনে আফোটা প্রেমের গুঞ্জ,

এনেছি পরাতে অলকে তোমার আলো করে হৃদিকুঞ্জ।

রত্ন প্রবাহ আনিয়া স্বপনে,

সপিব তোমারে দখিনা পবনে –

মন ফাগুণের ফাগ মেখে সই নাচিবে কামনাপুঞ্জ।

⇒ আরো পড়ুন

The post শুভ বাসর ( আদর্শ বিবাহ ) appeared first on Amar Bangla Post.

ফুলশয্যা বা বাসর রাত

$
0
0

দুটি তরুণ বয়সের নরনারী হয়তো খানিকটা মৌখিকভাবে পরিচিত হয়ে অথবা একেবারেই অপরিচিত হয়ে মিলেছে ও সমাজের অনুমতিক্রমে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়ে প্রথম রাত্রিতে এক নিভৃত ঘরের মধ্যে দুজনে এক বিছানাতে শুয়ে রাত্রি কাটাবার ছাড়পত্র পেয়েছে। এরই নাম ফুলশয্যা। দুজনেই মনে মনে জানে যে ওদের মধ্যে কোন সম্পর্কটি দাঁড়ালো, আর এও তারা জানে যে আজ থেকে সেই সম্পর্কটি সারা জীবন বজায় থাকলো। কিন্তু আজই প্রথমে কেমন করে যে সেই সম্পর্কের গোড়াকার পত্তনটি শুরু করতে হবে, কেমন করে সেই দিক দিয়ে আলাপটি আরম্ভ করতে হবে, সে সম্বন্ধে কেউই কিছু জানে না। ঐ একটি রাত্রি তাই প্রত্যেক দম্পতির পক্ষে মহা সমস্যার রাত্রি।

পৃথিবীর সকল দেশেই আছে এই ফুলশয্যার রাত্রি। আচারে আচরণে অনেক রকমের তফাৎ থাকতে পারে, কিন্তু বিবাহিত প্রত্যেক নরনারীকেই প্রথম মিলনের এই শুভ রাত্রিটি অনিশ্চিত ভাবে যাপন করতে হয়। যাদের কোর্টশিপ হয়ে বিয়ে হয়েছে তাদের অবশ্য আগেকার আলাপটা ঝালানো থাকে, যাদের তা হয়নি তাদের কোনো আলাপই নেই। কিন্তু কোর্টশিপ হলেও তার অর্থ মাত্রই খানিকটা কাব্যময় ভালোবাসা, কল্পনা বিলাসের কিছু আদান প্রদান, আর হয়তো কিছু কিছু পূর্বরাগের সূচনা। বাস্তবের দিক দিয়ে কোনো প্রস্তুতি নেই। অন্ততপক্ষে সাধারণ ভাবে এই কথাই ধরে নিতে হবে।

এরা কী করবে? কেমন ভাবে আলাপ শুরু করবে? হয়তো স্বামীই আপন অধিকারের দাবীতে প্রথম কিছু প্রস্তাবনা করবে। কিন্তু গোড়া থেকেই তার মনে রাখা চাই যে তার স্ত্রী নিতান্ত কাঠের পুতুল নয়। ওর সঙ্গে এক ঘরে শোবার অধিকার পেয়েছে বলেই যে ওর গায়ে হাত দেবারও অধিকার রয়েছে, গোড়াতে এমনও মনে করা ঠিক নয়। প্রত্যেক অধিকারটি আগে অর্জন করা চাই। সেই হিসাবে গোড়া থেকেই তাকে নতুন ধরনের কোর্টশিপ শুরু করতে হবে। প্রথম বাক্যটি থেকেই নিজের একটা আন্তরিকতা দেখাতে হবে। আমাকে তোমার পছন্দ হলো কিনা, বাপের বাড়ির জন্য মন কেমন করছে কিনা, এই সব ছেলেমানুষি প্রশ্ন এখনকার দিনে হাস্যকর।

আমরা গোড়াতেই অনেক ভুল করি। প্রথম কথা, বিয়ে করতে যাবার সময় সেই যে প্রাচীন প্রথানুযায়ী বলা হয় “দাসী আনতে যাচ্ছি”, তারই অহস্কারটা কোনো কোনো নতুন স্বামীদের মনে এখনও বিশেষভাবে ক্রিয়া করতে থাকে। তারা এটুকু একবারও ভেবে দেখেনা যে স্ত্রীকে ঘরে আনা মাত্রই তাকে দাসী করা সেকালে হয়তো চলতো, কিন্তু একালে নয়। স্ত্রী দাসীও হতে পারে, ক্রীতদাসীও হতে পারে, কিন্তু সেটা তার স্বেচ্ছাতেই হবে। কারো দাবীতে নয়। স্ত্রীকে স্বামীর বাধ্যই হতে হয়, কিন্তু সেটা স্বামীর অধিকারের জোরে নয়, সেটা সে পরে আপনিই হবে স্বামীর আন্তরিক ব্যবহারে।

 

এমনি ভাবেই স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম থেকে ব্যবহার করা চাই। কোনো কোনো স্বামী ফুলশয্যার রাত্রি থেকেই অধিকারের দাবীতে অনেক অত্যাচারও করে ফেলে। এটা হয় প্রায়ই তাদের অজ্ঞতাবশত। এইটুকুই কেবল্ব তাদের ধারণা রয়েছে যে আজ থেকে ঐ স্ত্রীর সঙ্গে আমার সঙ্গমের অধিকার পাকা হলো, অতএব আজই আমি তার ন্যায্য সুযোগ নিতে পারি। এখানে যে হৃদয়ের কোনো অস্তিত্ব থাকতে পারে, স্ত্রীকে আগে স্ত্রী-সম্পর্ক মানিয়ে নেবার প্রশ্ন থাকতে পারে, এই সহজ কথা তাদের মাথা ঢোকে না।

ভেবে দেখে না যে স্ত্রী কাছে এসে শুলেও তার হৃদয়টিকে আগে দখল করতে হবে।

একে তো অনিশ্চিতের ভয়ে তার বুকটা আপনা থেকেই দুরুদুরু করছে, তার উপরে স্বামী লোকটা যে কেমন এটুকুও বুঝে নেবার সময় না দিয়ে যদি একেবারেই সঙ্গমে প্রবৃত্ত হওয়া যায়, তবে সেটা হয়ে পড়ে নিছক বলাৎকার। স্ত্রীরূপে যে মেয়েটি চিরজীবনের স্থায়ী সঙ্গিনী হতে চলেছে, তার সঙ্গে প্রথম দিনই এমন বিবেচনাশূণ্য ব্যবহার করতে যাওয়া নিতান্তুই কাঁচা কাজ। এতে তার মন স্বামীর প্রতি চিরকালের জন্য বিমুখ হয়ে যায়। তারপর থেকে ভবিষ্যতে যদিও স্বামীর যেটুকুতে অধিকার আছে সেটুকু তাকে দিতেই হয়, কিন্তু দেয় সে নিতান্ত নির্লিপ্ত প্রাণহীন ভাবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন একটা হৃদয়হীন সম্পর্ক দাঁড়িয়ে যেতে দেওয়া সব চেয়ে অনিষ্টকর। একটু বিবেচনার দ্বারা হৃদয়ের দিক দিয়ে গোড়াপত্তন করলেই এমন বিশ্রী অবস্থাটা ঘটতে পারে না। অথচ তেমন কৃতিত্ব থাকলে এক রাত্রিতেই একটি সম্পূর্ণ অপরিচিত মেয়েকে সম্পূর্ণ অন্তরঙ্গ করে নেওয়া যায়। আর কিছু নয়, গোড়া থেকেই তেমনি ভাবে আলাপ করতে হয়, এবং ধীরে ধীরে খুব সন্তর্পণে অগ্রসর হতে হয়।

আগেকার অধ্যায়ে যে পূর্বরাগ ও প্রস্ততির বিভিন্ন ধাপের কথা বলা হয়েছে, সে সমস্ত একটি রাত্রির মধ্যেই পার হওয়া সম্ভব, যদি আগে স্ত্রীর অন্তরটিকে তেমন সম্পূর্ণ রূপে জয় করে নেওয়া যায়। নারীর অন্তর যতই বিমুখ কিংবা যতই আড়ষ্ট হোক, আন্তরিক সহানুভূতিসূচক প্রেমের আহ্বানে তাকে সাড়া দিতেই হবে। তবে প্রেমের সেই মিষ্ট স্বরটি স্বামীর কন্ঠে ধ্বনিত হওয়া চাই, ব্যবহারে তার সাদর আবেদন থাকা চাই। প্রেম অতি দুর্লভ বস্তু, কিন্তু এমনি ভাবেই হৃদ্যতা দিয়ে তার সূচনা ঘটাতে হয়, তবেই সে প্রেম যথা সময়ে দুই দিক থেকে সত্য হয়ে উঠে। দেহযন্ত্রকে উপভোগ করবার অধিকার দিতে স্ত্রী নিশ্চয়ই বাধ্য, কিন্তু সেই দেহযন্ত্রটির ভিতর যে একখানি মানবধর্মী মন বিরাজ করছে, সে সম্বন্ধে খেয়াল না থাকলে চলবে কেন? স্বামীর অধিকারটুকু নিতে হলেও এমন ভাবেই তা নেওয়া দরকার যাতে স্ত্রীর মনে হয় যে আমিই ওটুকু  স্বেচ্ছায় দিলুম। আপনা থেকে আত্মসম্পদ দানের এই যে আনন্দ , এর সুযোগটুকু থেকে যেন সে কখনই বঞ্চিত না হয়।

নবপরিণীত স্ত্রী-পুরুষের সম্পর্ক অনেকটা যেন কোনো নতুন রোগীর সঙ্গে ডাক্তারের সম্পর্কের মতো। নতুন রোগী ইতিপূর্বে ডাক্তারের নামটাই হয়তো শুনেছে, কিন্তু সে নিজে তাকে চেনে না। বাধ্য হয়ে ডাক্তারের হাতে দেহরক্ষার ভার দিতে এসেছে, এমন কি জীবন রক্ষার দায়িত্বও তার থাকবে। কিন্তু নিজেকে অজানার হাতে সঁপে দিতে গিয়ে ভয়ে বুক তার কাঁপছে। না জানি কি কটু ওষুধ খাওয়াবে, কি কঠিন রকমের ইঞ্জেকশন লাগাবে। এমনি একজন রোগি পেলে ডাক্তার আগে আশ্বাস দিয়ে আগ্রহ দেখিয়ে তার অন্তরটিকে সম্পূর্ণ জয় করে নেয়। তার পরে তাকে যতই কটু ওষুধ খাওয়াক আর যতই ইঞ্জেকশন দিক, কিছুতেই তার খারাপ লাগে না। স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর প্রতি ঠিক এমনি ব্যবহারই করতে হবে। এর জন্য যতখানি প্রয়াসের প্রয়োজন সেটুকু প্রত্যেক স্বামীকেই করতে হবে। নবীনা বধূটি একজন অপরিচিত পুরুষের কাছে শুতে এসেছে, এমন ঘটনা তার জীবনে কখনো ঘটেনি। ভয়ে সে স্তন্তিত হয়ে আছে। প্রথমেই তার মনের সেই ভয়টি ভেঙ্গে দিতে হবে। সোজাসুজি সহৃদয় কথাবার্তায় তার সঙ্গে আলাপ করতে হবে, বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলতে হবে, তার মনে খানিকটা আস্থা জম্মাতে হবে। তাকে ভালো করে জানিয়ে দিতে হবে যে স্বামী মানে ব্যাঘ্রজাতীয় জানোয়ার নয়। সে একজন ভালোবাসবারই মতো চমৎকার মানুষ। এই স্বামীর কাছে স্নেহ আদর যত্ম যথেষ্টই পাওয়া যাবে, এমন কি তার  কাছে অনায়াসে আবদার করাও চলবে। এইটুকু আস্থা প্রথমে তার মনে এনে ফেলতে পারলে তখন ধীরে ধীরে নবপিণীতা বধূকে আরো অধিক মাত্রায় জাগিয়ে তুলতে পারা যায়, তার গায়ে স্বচ্ছন্দে হাত দেওয়া যায়, মুখে চুম্বন করা যায়, যৌন আলিঙ্গনেও আহ্বান করা যায়। আপন বুদ্ধি থেকে যতটুকু সে শিখেছে, আর পরস্পরের আলোচনা থেকে যতটুকু সে জেনেছে, তা ছাড়া বই পড়া, বায়স্কোপ দেখা, সখীদের মুখে শোনা প্রভৃতি তো আছেই—এই সমস্ত টুকরো টুকরো জ্ঞানলাভের দ্বারা স্পষ্ট করে কিছু জানা না থাকলেও কতকটা অনির্দিষ্টভাবে সে প্রস্তুত হয়েই রয়েছে। তাকে একটু অভয় দিয়ে খানিকটা হৃদ্যতার আবহাওয়া এনে ফেলতে পারলে তখন অনেক কিছুই সম্ভব। প্রকৃতি তার যৌন অঙ্গ সমূহকে যে ক্রিয়ার উপযোগী করে প্রস্তুত রেখেছে, তাইতে তাকে দক্ষতার সঙ্গে নিয়োজিত করতে পারলে তখন কিছুই কঠিন হবে না।

কিন্তু যদি প্রথম রাত্রেই কোনো সাড়া মেলা সম্ভব না হয়, তাতেও অধৈর্য হতে নেই। কিছুমাত্র বিচলিত না হয়ে ধৈর্য ধরে অপর একটি সার্থক ফুলশয্যার রাত্রির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। হয়তো কিছুকাল পর্যন্ত তাতে বিলম্বও হতে পারে। হয়তো সেই স্ত্রী কোনো কারণে নিতান্তই বিমুখ, হয়তো কিছুতেই সে নিজের অনাসক্তি দূর করতে পারছে না, স্বামীর সংস্পর্শ সে মোটে সহ্য করতে পারছে না। এমন যদি হয় তাহলে স্বামীকে কিছুকালের জন্য ধৈর্য ধরতেই হবে। স্নেহও দেখাতে হবে, সহানুভূতিও দেখাতে হবে, সকল দিক দিয়ে বন্ধুত্বকে প্রগাঢ় করে তুলতে হবে, কিন্তু তীব্র অনিচ্ছার উপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে গিয়ে বারে বারে অপদস্থ হওয়া সমীচীন হবে না। অন্তত কিছুকালের জন্য এমন একটা ভাব দেখাতে হবে যে তোমার যে জিনিসে অনাসক্তি, সে জিনিস আমিও চাই না। এতেই যথেষ্ট কাজ হবে। প্রকৃতি তখন অন্য দিক দিয়ে কোনো এক অদ্ভুত উপায়ে স্ত্রীর মনটিকে অনুকূল করে তুলবে এবং তারই লক্ষণ গুলি ক্রমশ ভাবে ভঙ্গিতে প্রকাশ পেতে থাকবে। তখন আর ধৈর্য ধরে বেশি অপেক্ষা করবার প্রয়োজন হবে না।   

কিন্তু এখানে আরো একটি কথা আছে। স্বামী মানে ব্যাঘ্র জাতীয় জীব নয়, কিন্তু সে যে ভেড়া জাতীয় জীবও নয়, এও জানিয়ে দেবার দরকার হতে পারে, এমন কি ফুলশয্যার রাত্রিতেই। কোনো কোনো স্বামী যেমন না বুঝে অত্যাচারী হয়, কেউ কেউ তেমনি আবার না বুঝে কাপুরুষও হয়। এখানে আমরা যাকে কাপুরুষতা বলছি সেটা সাহসের দিক দিয়ে নয়, সাধারণ পৌরুষের প্রকাশের দিক দিয়ে। এমন পুরুষও আছে যারা অন্য সময়ে ঠিক পুরুষেরই মতো, কেবল স্ত্রীলোকের কাছে গেলেই তাদের চেয়েও কোমল হয়ে নিতান্ত যেন অনুগতের মতো ভাবখানা প্রকাশ করতে থাকে। এটাও করে তারা অজ্ঞাতবশত, ভাবে যে এমনি ব্যবহার করলে বুঝি সমুচিত শিভ্যালরি প্রকাশ করা হয়। যারা নেহাৎ ভালমানুষ প্রকৃতির লোক তারাও এমনি ব্যবহারে স্ত্রীকে একটা অনাবশ্যক প্রাধান্য দিতে যায়। এতে মনস্তত্বের দিক দিয়ে দুই পক্ষেরই ভুল হয়। আজকালকার বধূরা যথেষ্ট বয়স্থা, বুদ্ধিমতি, চতুরা। সুযোগ পেলেই তারা কিছু প্রাধান্য করতে অর্থাৎ পুরুষের উপর কর্তৃত্ব নিতে প্রলুদ্ধ হয়ে ওঠে। বলা বাহুল্য এতে কোনো পক্ষেরই শেষ পর্যন্ত সুখ নেই। পুরুষের দেহ ও মনোবৃত্তির গঠন হয়েছে অধিকার করবার উপযোগী, আর নারীর দেহ মনের গঠন হয়েছে অধিকৃত হবার উপযোগী। পুরুষ সর্বাংশে পুরুষ, আর নারী  সর্বাংশে নারী হলেই সব দিকে একটা সামঞ্জস্য রক্ষা হয়। এর উল্টোপাল্টা করতে গেলেই তার থেকে অশান্তি দেখা দেয়। বিপরীত অভিনয় হচ্ছে দেখলেই তৎক্ষণাৎ সাবধান হতে হবে। বিকৃতির সৃষ্টি হচ্ছে দেখলেই তাকে সময় থাকতে নির্মূল করতে হবে। যদি বাঁধা আসে নারীর দুর্বদ্ধির দিক থেকে, হয়তো তার অন্যরকম মতলব থেকে, ভয় অথবা অপরিচয় অথবা অপ্রস্ততির দিক থেকে নয়, তবে পুরুষের পক্ষে একটু জোরের সঙ্গেই সেই বাধাকে দূর করতে হবে। এখানে জোরের কথা বলছি অতি সন্তর্পট্রে, কারণ এ জোর নিষ্ঠুর অত্যাচারীর পীড়ন হলে চলবে না। এটুকু হওয়া চাই সহানুভূতি-সম্পন্ন চিকিৎসকের বাহ্যিক জোর খাটিয়ে চিকিৎসা প্রয়োগ করার মতো। অনেক মেয়েদের মনের একটি গূঢ়তত্ব এই যে তারা এই সকল বিষয়ে পুরুষের পক্ষ থেকে একটু জোর প্রয়োগ করাই পছন্দ করে। নির্বিরোধে অধিকারটি সঁপে দিতে তারা খুব উৎসুখ হয়না। তারা চায় অধিকারী জোর করে প্রাপ্য আদায় করে নিক, তবেই বোঝা যাবে যে দেয় জিনিসটার দাম কিছু বেশি।

সুতরাং সকল মেয়ের সঙ্গে একই রকম ব্যবহার চলে না। আগে বুঝে নিতে হয় মেয়েটির প্রকৃতি কেমন। আর স্ত্রীকেও বুঝে নিতে হয় স্বামীর প্রকৃতি কেমন। প্রথম রাত্রি থেকেই এই বোঝাবুঝির শুরু। গোড়ায় ভুল বুঝে ফেললে ঐ একদিনের ভুলে সারা জীবনই ভুল হতে থাকতে পারে।

কোনো এক ভদ্রলোকের উপর্যুপরি দুই দফা দুটি ফুলশয্যার অভিজ্ঞতার কথা আমরা জানি। যখন প্রথম বারে একটি বিবাহ হয় তখন তার বয়স ছিল কম। স্ত্রীলোকের সঙ্গে সেই প্রথম সঙ্গমসুখ লাভ করবার সুযোগ মিলেছে, এই আনন্দেই তিনি আত্মহারা। শুনেছিলেন যে কৃত্রিম উপায়ে যৌনসুখ পাওয়ার চেয়ে স্ত্রীসঙ্গমে চারগুণ বেশি সুখ লাভ হয়। সেই সুখটি তিনি ফুলশয্যার রাত্রিতেই উপভোগ করতে চাইলেন। স্ত্রীকে অনেক ভোলালেন, আদর করলেন, নানারকমে তুষ্ট করতে থাকলেন। স্ত্রী প্রথমে যথেষ্ট ভয়ে ভয়েই ছিল, তার পর দেখলো লোকটি নিতান্তই অনুগত। অনায়াসে এর উপর একটু প্রাধান্য করা চলতে পারে। ভদ্রলোক দ্বিধায় একেবারে চুপসে গেলেন, লজ্জায় আর কোনো রকম প্রয়াসই করতে পারলেন না। কিছুকাল পরে তিনি সব কিছুই উপভোগ করলেন, কিন্তু সেই প্রথম ফুলশয্যার রাত্রে স্ত্রীর সেই কর্তৃত্বভাবটুকু যেন প্রচ্ছন্নভাবে তাদের দাম্পত্য  জীবনের মধ্যে থেকেই গেল।সেই প্রথম স্ত্রী যতদিন বেঁচে ছিল তত দিন তিনি সুখী হতে পারেন নি। কয়েক বছর বাদে স্ত্রীটি হঠাৎ মারা গেল। আবার তাকে একটি বিবাহ করতে হলো। আবার নতুন ফুলশয্যা। কিন্তু প্রথম ফুলশয্যার প্রত্যেক কথাটি তাঁর স্মরণে ছিল। এবারকার স্ত্রীর সঙ্গেও প্রথমে তিনি আলাপ আপ্যায়ণ যথেষ্টেই করলেন। তাঁর মনটি একটু নরম হয়েছে দেখেই আর কালবিলম্ব না করে তিনি যৌন বাসনা পূর্ণ করতে অগ্রসর হলেন। অপর পক্ষ থেকে যথেষ্টই বাঁধা নিষেধ আসতে থাকলো, তাতে তিনি একটুও বিচলিত হলেন না। কিন্তু বাধাবিঘ্নের ভিতর দিয়ে কোনো কাজই সুশৃঙ্খলে সম্পন্ন করা যায় না। লিঙ্গটি যোনিমধ্যে প্রবেশ করাতে গিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনায় যোনির বাইরে কাপর চোপড়েই তাঁর বীর্যপাত হয়ে গেল। তথাপি তিনি বুঝলেন যে এতেও হলো তাঁর জয়। এর ফলে পরবর্তী জীবনে তিনি সুখী হয়েছেন। অনেকে মনে করে সঙ্গম করতে গিয়ে তাঁর আগেই কাপড়ে স্খলন হয়ে যাওয়া খুব একটা লজ্জার বিষয়। কিন্তু বাস্তবিক তা নয়। নতুন যৌন সম্পর্কের প্রথম দিকে অত্যধিক উত্তেজনায় এটা অনায়াসেই ঘটতে পারে। প্রথম ফুলশয্যার রাত্রে কিংবা প্রথম কয়েক বারের সঙ্গম প্রচেষ্টায় অনেকেরই এটা হয়। উত্তেজনা হঠাৎ চরম শীর্ষে উঠে গেলে তাঁর একটা আশু নিবৃত্তি হতেই হবে, তখনো পর্যন্ত সঠিক সঙ্গমক্রিয়া শুরু হোক বা নাই হোক। এটা স্বাভাবিক, এতে কোনো ব্যর্থতা বোধ করবার কারণ নেই।

ফুলশয্যার রাত্রে কত লোকে যে কত রকমের অভিজ্ঞতাই লাভ করে তাঁর কোনো ঠিকানা করা যাবে না। নজীর সংগ্রহ করতে গেলে দেখা যাবে যে সাফল্যের চেয়ে হয়তো অকৃতকার্যতাঁর সংখ্যাই বেশি। কিন্তু প্রথম রাত্রেই সঙ্গমের প্রচেষ্টা যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। স্বামীরা স্বভাবতই একটু আগ্রহান্বিত হয়ে উঠে, তারা একবার সাধ্যমত চেষ্টা না করে ছাড়ে না। কিন্তু তাতে অকৃতকার্য হলে বিশেষ কিছু যায় আসে না।   

অকৃতকার্যতা ঘটবার আরো একটি কারণ আছে। সেটা হলো মেয়েদের হাইমেন অর্থাৎ কুমারী পর্দার ব্যবধান। যে সব নারী আজ পর্যন্ত অক্ষতযোনি, তাদের মধ্যে অনেকেরই যোনির দেঊড়ির কাছে যনিগহ্বরে প্রবেশের মুখের খানিকটা অংশ এই পর্দা দিয়ে আচ্ছাদন করা থাকে। সে কথা পূর্বেই একবার বলা হয়েছে। দৈবাৎ এটি ছিঁড়ে গিয়ে প্রবেশদ্বার অবারিত হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু অনেক সময়ে এটি ছেঁড়া থাকে না। যোনির ভিতরে পুরুষের লিঙ্গ প্রথম বারে প্রবেশ করতে গেলেই তখন এই পর্দার দ্বারা বাঁধা পায়। হয়তো পাশ দিয়ে লিঙ্গের একটুমাত্র অংশ কোনগতিকে ঢুকে যাবার পরেই এর দ্বারা আটকে যায়। সে সময় যদি একটু জোর দিয়ে আরো ভিতরের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, তাহলে ঐ পর্দাটি ছিঁড়ে গিয়ে সামান্য কিছু রক্তপাত হয়, সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গও বাঁধামুক্ত অনায়াসে ভিতরে যাতায়াত করতে থাকে। কিন্তু কোনো কোনো স্থলে পর্দাটি পুরু ও মজবুত থাকলে সেটি জোর দিলেও সহজে ছেঁড়ে না। তখন অগত্যা অনেকটা অসম্পূর্ণ ভাবেই সেদিনকার মতো যৌনক্রিয়া সারতে হয়। উপর্যুপরি কয়েকদিনের ঐরূপ প্রচেষ্টায় হয়তো কোনোদিন পর্দাটি অকস্মাৎ ছিঁড়ে পথ পরিস্কার হয়ে যায়, এবং কখন যে ছিঁড়লো তা অনেক সময় জানাও যায় না। কিন্তু বেশি কঠিন হলে এই পর্দা নিত্যই বাঁধা দিতে থাকে। তখন বাধ্য হয়ে এটিকে কোনো কৃত্রিম উপায়ে ছিঁড়ে দিতে হয়। এমন কি সময় সময় ধাত্রী অথবা ডাক্তারেরও সাহায্য নিতে হয়।

আজকাল শোনা যায় সঙ্গম প্রচেষ্টা ছাড়াও কেউ কেউ আরো কিছু বেশি রকম সুযোগ নেবার চেষ্টা করে থাকে। ঠিক ফুলশয্যার রাত্রে না হলেও বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই স্ত্রীকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে দেখবার বাসনা স্বামীর মনে জাগে। কিন্তু মেয়েদের পক্ষে সঙ্গমে নিযুক্ত হওয়া আলাদা কথা, আর পুরুষের সামনে সম্পূর্ণ নগ্ন হওয়া আলাদা কথা। শ্লীলতার প্রশ্ন সেখানে না থাকলেও একেবারে এতটা দুঃসাহস করতে যাওয়া ভালো নয়। মেয়েদের মনে একটা স্বাভাবিক লজ্জাবোধ থাকে। বেশি লোভ করে তাড়াতাড়ি  একদিনেই তাঁর সমস্ত লজ্জাটুকু ভেঙ্গে ফেলতে গেলে স্ত্রীর মন হয়তো তাতে অপ্রত্যাশিত আঘাত পেয়ে চিরকালের জন্য বিমুখ হয়ে যেতে পারে। কিংবা তাঁর মনে বিভীষিকা বা ঘৃণার উদয় হতে পারে। এখানে মনে রাখা উচিত যে আগেকার পরিচয় যতই ঘনিষ্ট হোক, যৌন পরিচয় হলো সম্পূর্ণ এক স্বতন্ত্র জিনিস। প্রথম কয়েক রাত্রির সেই নতুন রকমের পরিচয়টুকু যত শিষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত হয় ততই  ভালো। নগ্নতা দেখবার বাসনা অথবা আরো অন্যান্য রকমের বাসনাগুলির কোনোটাই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অসঙ্গতা না হলেও পরবর্তী কালের জন্য যেসব তুলে রাখা উচিত। ভবিষ্যৎ জীবনে কারো কোনো বাসনাই অপূর্ণ থাকবে না, এ কথা বলা নিষ্প্রয়োজন । ঘনিষ্ঠতা জমে গেলে কালক্রমে সব কিছুই সম্ভব। 

আপনি পড়ছেনঃ মেডিক্যাল সেক্স গাইড থেকে>> ফুলশয্যা

প্রিয় পাঠক/পাঠিকাঃ আমাদের সাইটের পোস্ট পড়ে যদি আপনার কাছে ভালো তাহলে শেয়ার করুণ। এবং আপনার বন্ধুদের কে আমন্ত্রণ জানান আমাদের সাইটে যোগ দেওয়ার জন্য।

The post ফুলশয্যা বা বাসর রাত appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতের আদর্শ (ই-বুক)

$
0
0

তরুণ তরুনীদের বাসর রাতের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে এই বইটি দারুন ভাবে সাহায্য করবে। বইটিতে বাসর রাতের যাবতীয় উপকরন দিয়ে রচনা করা হয়েছে।


শিরোনামঃ বাসর রাতের আদর্শ

লেখকঃ আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী

সম্পাদনাঃ খলীলুর রহমান বিন ফযলুর রহমান

সাইজঃ 13,219 KB

ফরম্যাটঃ PDF

Download করতে নীচের ছবির উপরে ক্লিক করুন।


Download না হলে আমাদের জানান। আমরা যত শীঘ্র সম্ভব সমস্যা সমাধান করবো।

আমরা বইটি সাধারণ মোবাইল ভার্সন নিয়ে কাজ করতেছি।

সুচিপত্র….

০৩ মাসআলাঃ ৩ বাসর রাতের নামায

০৪ মাসআলাঃ ৪. যখন সহবাস করবে তখন কি বলবে?

০৫  কেমন পদ্ধতিতে সহবাস করবে?

০৬  পিছন দিক (পায়ুপথ বা মলদ্বার) দিয়ে সহবাস করা হারাম। 

০৭ দুই মিলনের মাঝে অযু

0৮ দু’সহবাসের মাঝে গোসল অতি উত্তম

০৯ মাসআলাঃ৯-এক সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর গোসল

১০ ঘুমের পূর্বে অপবিত্রতার অযু করা

১১ সহবাসের পর অযুর করার হুকুম

১২ অযুর পরিবর্তে অপবিত্র ব্যক্তির তায়াম্মুম করা

১৩ ঘুমের পূর্বে গোসল করা উত্তম

১৪ ঋতুবর্তীর সাথে সহবাস করা হারাম

১৫ ঋতুবর্তীর সঙ্গে সহবাস করলে তার কাফফারা

১৬ স্বামীর জন্য ঋতুবর্তীর সাথে যা বৈধ। 

১৭ যখন স্ত্রী পবিত্র হবে তখন তার সঙ্গে সহবাস করা বৈধ।

১৮ আযলের বৈধতা

১৯ আযল ছেড়ে দেওয়া উত্তম

২০. উভয়ে বিবাহর দ্বারা কি ইচ্ছা করবে? 

২১ মাসআলাঃ ২১ বাসর রাতে সকালে কি করবে?

২২ বাড়ীর মধ্যে গোসলখানা গ্রহণ করা ওয়াজিব!

২৩ ওলিমাহ বা বিবাহের উপলক্ষে খাবার ব্যবস্থা করা ওয়াজিব।

২৪ স্ত্রীর সাথে সংগঠিত সম্পর্কের যথার্থ মূল্যায়ন করা অপরিহার্য।

বাকী অংশ গুলো আসতেছে………

The post বাসর রাতের আদর্শ (ই-বুক) appeared first on Amar Bangla Post.

পরীক্ষার হল থেকে বাসর ঘরে : বাসর রাতের গল্প

$
0
0

এই যে মিস তিলওয়ালি।(আমি)
–>আমাকে বলছেন??(মেয়েটি)
–>এখানে আপনার গালে তিল ছাড়া আর কার গালে আছে,দেখান তো?
–>জ্বি বলুন।
–>পরীক্ষার হলে ডাকলে শুনেন না কেন?
–>আমাকে ডাক দেন আপনি?
–>হুম।
–>আপনি তো আমার সামনের হুমায়রাকে ডাক দেন,আমাকে না।
–>কীহহ?
–>জ্বি।
–>ওকে পরের পরীক্ষা থেকে আপনাকে ডাকবো।
–>হুম।
–>তো আপনার নাম টা কী?
–>নাম ই জানেন না।এতগুলা পরীক্ষা একসাথে দিলাম আমরা।
–>জ্বি না।
–>আমার নাম সূচনা।আর আপনার নাম সিফাত,তাই না?
–>হুম।
–>ওকে যাই,বায়।
–>বায়।

আরো ➧ বাসর রাতের গল্প পড়ুন এবং ছবি ও ভিডিও দেখুন।

: আমি সিফাত।আর যার সাথে কথা হচ্ছিল ও সূচনা।আমরা দুজনেই এবার এইচএসসি দিচ্ছি।তবে আলাদা কলেজ থেকে।আমি সলিমুল্লাহ কলেজ আর ও রায়হান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে।আমাদের দুজনের হলই পড়ছে শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজে।
তো ওকে আমি প্রথম পরীক্ষার দিন দেখেই ক্রাশ খাই।ও একটু লেট করে আসছিল সেদিন। আমি ক্লসে ঢুকতেই প্রথম সারির দ্বিতীয় বেঞ্চিতে আর ও মাঝের সারির তৃতীয় বেঞ্চিতে। আমার কোন সমস্যা হলে আমি ওর সামনের হুমায়রাকে ডাকতাম।আর সূচনার নামও এর আগে আমি জানতাম না। অষ্টম পরীক্ষারর দিন ও আমার কাছে সাহায্য চায়। ও খুব কম কথা বলে।আর অপরিচিত কারো সাথে কথা বলে না। তো এভাবেই আমাদের কথা বলা শুরু হয়।আর পরে ওর থেকে ফেসবুক আইডি নেই। এই থেকে আমাদের কথা বলা শুরু হয় যোগাযোগ মাধ্যমে।
আমাদের পরীক্ষা ও শেষ হয়।রেজাল্ট দুজনেরই ভাল হয়।ভার্সিটি ভর্তি কোচিং করি দুজন একসাথে।আমি আর ও দুজনেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাই এবং ভর্তি হই। তো এভাবে আমরা আরো কাছাকাছি চলে আসি। প্রথমে আপনি বললেও পরে তুমি করে বলা শুরু করি।।দুজন দুজনের অনেক কেয়ার করি। ও একটু বেশি কেয়ার করত আমার। আর আমি তো ওর উপরে আগে থেকেই ফিদা।
তো আমি আর টিকতে না পেরে ওকে ভালবাসার কথা বলার জন্য প্রস্তুতি নেই।এবং আমাদের পরিচয়ের ঠিক এক বছর পূর্ণ হওয়ার দিন ওকে প্রপোজ করি।
–>সূচনা।
–>হুম।
–>একটা কথা বলি।
–>বলো।
–>রাগ করবে না তো।
–>নাহ বলো।
–>আমি তোমাকে ভালবাসি।আমার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তোমাকে দিতে চাই এবং তোমার দায়িত্ব আমি নিতে চাই।(বলে গালে হাত দিয়ে ওর সামনে দাড়িঁয়ে থাকি।)
–>কী বললা তুমি?
–>সত্যি বলছি।
–>আমি একদিন ভাবার জন্য সময় চাই।
–>ওকে।
–>বায়।
–>বায়। আমি খুব টেনশনে ছিলাম।ও কী জবাব দিবে তাই নিয়ে। ১ দিন যেন কাটছিলই না।
তো পরের দিন বলে যে, ও রাজি আছে। আমি যে কী পরিমাণ খুশি হইছি তা বলে বুঝানো যাবে না। তো এভাবে আমাদের নতুন পথ চলা শুরু হয়। দুষ্টামি রাগারাগি দিয়ে আমাদের দিন কাটছিল। কিন্তু তারপরেও কিছু সমস্যা দেখা দেয়।যেমন ওর বিয়ের প্রপোজাল আসে আর ও কোনমতে তা ভেঙ্গে দেয়।
আমরা অনার্স শেষ করি একসাথে। আমি জবে ঢুকি।আর ও সেই সময়ে আমাদের রিলেশনেরর কথা ওর বাড়িতে জানায়।প্রথমে না মানলেও পরে মেনে নেয় কারণ ও খুব আদরের মেয়ে তাই। আমার বাবা-মা ওর বাড়িতে যেয়ে বিয়ের কথা পাকা করে
একমাস পরেই আমাদের বিয়েটা হয়। অতঃপর বাশেঁর ঘরে থুক্কু বাসর ঘরে আমি-
সূচনা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। আমাকে ঘরে আসতে দেখে ও খাট থেকে নেমে আমাকে সালাম করে আবার খাটে গিয়ে বসে।
–>ঘোমটা টা একটু সরাবা।
–>তুমি সরাও। –
->ওকে বলেই যেই আমি ঘোমটা সরালাম।দেখেই আমি খাট থেকে পড়ে যাই।
–>এ কী শালি তুমি। তোমার আপু কই?
–>হাহাহাহাহা।আপনাকে বোকা বানানোর জন্যই আমরা সবাই এমন একটা প্ল্যান করি।
–>মানে।
–>মানে আপনার ভাবিরা,আমি,আপু মিলেই প্ল্যান করি।হিহিহিহি।
–>তোমাকে আমাদের বাড়িতে না আনলেই ভাল হত।
–>ইসসস।
–>তোমার আপু কই?
–>ওই যে। পর্দার আড়াল থেকে আমার বউ আর ভাবীরা বের হল।
–>এটা করা তোমাদের ঠিক হয় নি।
–>হুহহহ।তা তো দেখতেই পাচ্ছি। হিহিহি।
–>আমরা যাই দেবরজান।
–>হুম।যাও। বলে ওরা সবাই আমাদের রেখে চলে গেল। এখন আমি আমার বউ কে পাইছি।আহহ কী যে শান্তি লাগতাছে।
–>আচ্ছা এমন ফাজলামো করলা কেন?
–>এমনি।
–>এমনি মানে?
–>এমনি মানে এমনি।চেপে বসো।আমাকে ঘুমাতে দাও।
–>ঘুমাবে মানে।
–>ঘুমাবো মানে ঘুমাবো।
–>তাহলে বিড়াল মারবো কখন।
–>কিসের বিড়াল?
–>কেন বাসর ঘরে তো সব পুরুষই বিড়াল মারে।
–>দেখ দুষ্টুমি করবে না।আমার কাছে আসবার চেষ্টা করবা না।
–>করলে কী করবা?
–>দেখ ভাল হবে না বলে দিলাম।
–>হাহাহাহাহা। অতঃপর আমি বিড়াল মারার কাজে লেগে গেলাম।😜
বিঃদ্রঃ এটা কাল্পনিক একটা গল্প।আমি শুধু মেয়েটার উপর ক্রাশ খাইছি আর নামটা জানছি।এর বেশি কিছুই না।তাই ইহা কে সত্য বলিয়া চিন্তা করিয়া লজ্জা দিবেন না।
ধন্যবাদ :

লেখকঃ Chinivorta Hossain Sifat

The post পরীক্ষার হল থেকে বাসর ঘরে : বাসর রাতের গল্প appeared first on Amar Bangla Post.

প্রশ্নঃ বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি

$
0
0

প্রশ্নঃ বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি? বাসর রাতে বিড়াল মারা বলতে কি বোঝায়?

উত্তরঃ বাসর রাতের সম্পর্কে জানার কৌতুল নারী পুরুষের সকলের মনেই কৌতুহল থাকে। আর তাই বিয়ের ঠিক আগে কিংবা বয়ঃসন্ধির পর থেকেই সকল পুরুষ মানসিক প্রস্তুতি নিতে থাকে বাসর রাতে ছল-ছাতুরী করে কিংবা আছাড় দিয়ে অথবা গলা টিপে যেভাবেই সম্ভব হয় আমাকে বিড়াল মারতে হবে।

বাসর রাতে বিড়াল মারা বলতে যা বোঝায়

বস্তুতঃ বিড়াল মারা বলতে বাসর রাতে স্ত্রীকে বশ করাকে (আরো সোজা কথায় স্ত্রীর সাথে বাসর রাতে শারীরিক মিলন করা এবং সেই মিলনে স্ত্রীকে তৃপ্ত করা) বুঝায়।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ছেলেকে তার সমবয়সী বিবাহিত বন্ধুরা বিড়াল মারার নানান কুটবুদ্ধি ফ্রি তে দান করে থাকে। অপর দিকে মেয়ের বড় বোন/ভাবী/দাদী শ্রেনীর আত্মীয়রা বিড়াল না মেরে বাঘ/স্বামী মহাশয়কে কি করে ধরাশায়ী করা যায় তার কুট-কৌশল শিক্ষা দিয়ে থাকেন।

বাসর রাতে বিড়াল মারার ছবি
ছবিঃ বাসর রাতে নিহত বিড়াল

কথার ধরনে অবশ্যই অনুমান করতে পারছেন এটি যেন এক প্রকার যুদ্ধ-যুদ্ধ পরিস্থিতি! এখন বিষয়টি নিয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা করবো……..

০১. মেয়েটিঃ আমাদের দেশে এখনো এ্যারেঞ্জ ম্যারেজ এর প্রচলন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যমান। মা-বাবা একটি মেয়ে এবং ছেলের জোড়া ঠিক করে দেন। এরকম বিয়েতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রীর পরিচয় মাত্র বিয়ের এক সপ্তাহ আগে থেকে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে আরোও কম সময়ের পরিচয়ও হতে পারে। ধরুন আপনারা একদম অপরিচিত দুইজন মানুষ একটি ঘরে প্রথমবার একত্র হয়েছেন বাসর ঘরে। কি করে আপনি আশা করতে পারেন জীবনের এ পর্যায় পর্যন্ত (ধরলাম ২২ বছর বয়সে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে) আসতে যে পুরুষটির সাথে তার দেখা হয়নি পরিচয় হয়নি তার সাথে সে একা থাকতে? কিংবা একেবারে স্বাভাবিক আচরন করতে পারবে???? জড়তা একদিনে কেটে যাওয়ার মত নির্লজ্জতা (স্বাভাবিক অর্থে) বাঙালী মেয়েদের এখনও সে অর্থে হয়নি এখনও। এমনকি ছেলেটি যদি পূর্ব পরিচিতও হয় তবুও হায়া হারাতে সময়তো দরকার হবেই!.

০২. ছেলেটিঃ যার জন্য এত আয়োজন, এতজন সমাগম – সে হলো বর। বিয়ে কোন পান্তা ভাত খাওয়ার মত সহজ বিষয় নয়। আগের দিন রাতে রান্না করে রাখা হলো; আর সকালে ঘুম থেকে উঠেই তৈরি খাবার খেতে বসে গেলেন! বিয়ের জন্য লম্বা একটা মানসিক এবং শারীরিক ধকল শেষে আসে সেই কাঙ্খিত বাসর রাত। পরিশ্রান্ত শরীর-মনের একজন মানুষ চাইলেই বিড়াল মারা বাঘ হতে পারবে না। তাই সময় ক্ষেপন অতি জরুরী একটি বিষয়।

মনে করি ছেলেটি যুদ্ধ ঘোষনা করেই দিল – বিড়াল আমি মারবই!!. একটি মেয়ে যে আপনার ঘরে সারা জীবনের জন্য আসছে তাকে কি আপনি প্রতিপক্ষ হিসেবে নেবেন, নাকি বন্ধু হিসেবে??? বন্ধুদের কুট বুদ্ধি শুনে অনেকেই এই ভুলটি করে বসে। যার ফলে দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে।

বাসর রাত একটি মিষ্টি রাত। মেয়েটিকে আপনার মিষ্টতা বুঝতে দিন।কথা বলুন, দুজনের ভাল লাগা মন্দ লাগা গুলো একে-অপরের সাথে ভাগ করুন। তাকে স্বাভাবিক হতে দিন। এবং যুদ্ধ না করে মনের সাথে মনের মিলন ঘটান। তাঁকে বুঝতে দিন তুমি আমার কাছে উপভোগের বস্তু নও। তুমি আমার সারা জীবনের পথ চলার সঙ্গী এবং সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমার দেহেরই একটি অংশ। তবেই না দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পারবেন।

আরো জানতে নিচের পোস্ট গুলো পড়ে নিতে পারেন…….

০১. বাসর রাতের জন্য পুরুষ নেবেন যে ৬টি বিশেষ প্রস্তুতি!

০২. পরীক্ষার হল থেকে বাসর ঘরে : বাসর রাতের গল্প

০৩. বাসর রাতের আদর্শ। (বাংলা বই)

০৪. ফুলশয্যা বা বাসর রাত 

৫. প্রথম মিলনের সময় করনীয় সমূহ

লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনাদের বন্ধুদেরকে পড়তে সাহায্য  করুন।

The post প্রশ্নঃ বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি appeared first on Amar Bangla Post.

অপুর বাসর রাত [ বাসর রাতের গল্প ১]

$
0
0
-রাত প্রায় ১২টা ছুঁই ছুঁই!
–আজ অপুর বাসর রাত।
–বন্ধুদেরকে বিদায় দিয়ে মাথার টোপরটা খুলে বিমালার পাশে বসল ও। বিমালার মাথার উপর থেকে ঘোমটা টা সরাতেই বিমালা একহাত পিছিয়ে বলতে লাগলো–
একদম হাত দিবেননা আমার গায়ে! আমার কোনো ইচ্ছে ছিলনা এই বিয়েতে! একটুও স্পর্শ করবেননা বলে দিচ্ছি। নয়তো খুব খারাপ হয়ে যাবে।
— অপু কোনো কথা না শুনেই ওর শাড়ীতে হাত দেয়। বিমালা প্রায় চিৎকার করতে যাচ্ছিলো। কিন্তু নাহ্! অপু কিছু করেনা ওকে। শুধু মাথার ঘোমটাটা টেনে আবার আগের মতো লম্বা করে টেনে দেয় ও!
— রাত দুটো বেজে গেছে। অথচ এখনো ঘুম আসছেনা অপুর চোখে! কেমন যেন ছটপট করছে ও। হঠাৎ ই বিমালার দিকে নজর পড়লো ওর! গভীর ঘুমের রাজ্য হারিয়ে গেছে বিমালা! কালার লাইটের নিয়ন আলোতে সত্যি ই অপ্সরীর মতো লাগছে মেয়েটাকে! ইচ্ছে হচ্ছে এখনি ওকে একটু ছুঁয়ে দিতে! তবুও কিছু করার নেই! কারন বিমালার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওকে টাচ করা ভাল ঠেকছেনা অপুর কাছে।
— ঊষার আলো ফুটতেই ঘুম ভাঙ্গে অপুর! বিমালার তখনও বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। বিমালার ঘুমের ডির্স্টাব হবে দেখে প্রায় নিঃশব্দে রুম থেকে বেরিয়ে যায় অপুর। মা অনেক আগেই মারা গেছে। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে এতোদিন একাই ছিলো ও! কাজের বুয়া তার গ্রামের বাড়ী গেছে,আসতে সময় লাগবে। হোটেল থেকে নাস্তা এনে দেখে বিমালা ফ্রেশ হয়ে বসে আছে।
বাবার রুমে নাস্তা দিয়ে এসে বিমালার পাশে নাস্তা নিয়ে বসলো ও। কিন্তু কিছুতেই এক টুকরো রুটিও অপু খাওয়াতে পারলোনা ওকে। অপু কিছু না বলে চুপচাপ উঠে গিয়ে,ওর জীবনের উপর লেখা ডায়েরীটা বের করলো। ঘরে রঙ্গিন কাগজের অভাব ছিলনা। সেখান থেকে নীল রঙ্গের একটা কাগজ দিয়ে ডায়েরীর উপর একটা কভার দিয়ে দেয় ও! কার কাছ থেকে যেনো ও শুনেছিল একদিন,কষ্টের রং নাকি নীল! তারপর ডায়েরীর প্রথম পৃষ্ঠায় লিখলো,
“কষ্টের প্রতীক হিসেবে ডায়েরীর কভারে নীল রঙ্গের কাগজ লাগালাম”
আর ভিতরের পৃষ্ঠায় লেখে,
“অন্যসব বিবাহিত পুরুষের মতো,আমার লাইফেও বাসর রাত এসেছিলো। কিন্তু তা অন্যভাবে। তবুও আমার কোনো দুঃখ নেই। কারন বিমালা সত্যি ই খুব মায়াবীনি!”
— দুপুরে লান্স করলেও রাতে আবার ডিনার না করেই শুয়ে পড়ে বিমালা। অপু বেশী জোর করেনা। কারন ও এর মাঝেই বুঝে গেছে,বিমালা খুব জেদী মেয়ে। যা বলে তাই করে ও! ডায়রীটা আবার খুলে বসল অপু। আর তাতে ছোট করে লিখে রাখে,
“সকালের মতো এখন রাতেও না খেয়ে রয়েছে বিমালা। খুব কষ্ট হচ্ছে ওর জন্য!”
— আরও কিছু লিখতে যাচ্ছিলো….! এমন সময় দেখে হঠাৎ ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে শুরু করছে বিমালা। খুব অপরাধী মনে হচ্ছে নিজেকে আজ অপু। ডায়েরীটা বন্ধ করে ধীর পায়ে বিমালার সামনে দাঁড়ায় ও। তারপর দুহাত জোড় করে,বিমালাকে বলে—
জানি আপনাকে আমি কষ্ট দিচ্ছি। আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই এভাবে আপনাকে আমার বিয়ে করা উচিৎ হয়নি। কিন্তু কি করবো বলেন? কিছুদিন আগেই বাবার ক্যান্সার ধরা পড়লো। ডক্টর বলছেন,বড়জোর আর একমাস বাঁচবেন বাবা। তাই বাবাকে তাঁর পুত্রবধূ দেখাতে তাড়াহুড়ো করে মাত্র এক সপ্তাহে বিয়েটা হয়ে গেলো। আমার মা সেই ছোটবেলায় মারা গেছেন। আমার ক্ষতি হতে পারে ভেবে বাবা আর বিয়েও করেননি! প্লিজ আপনার কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি,শুধু এই মুমূর্ষু মানুষটির জন্য একয়টা দিন উনার পুত্রবধূ হিসেবে অভিনয় করে যান। কথা দিচ্ছি,এরপর আমি আপনাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটির কাছে নিজ হাতে তুলে দিবো। প্লিজ ফিরিয়ে দিবেননা!
— অপুর কথাগুলো শুনে আরও জোরে কাঁদতে আরম্ভ করে বিমালা। তারপর অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে আনমনে বলতে থাকে,
আমার ভালোবাসার মানুষটি আজ আমাকে ছেড়ে অনেক দূরে। অন্যর সাথে সুখেই আছে। খুব স্বার্থপর ও!
— এসব কিছুই ডায়েরীর পাতায় বন্ধি করে রাখে অপু!
–এভাবেই প্রায় ১৫দিন কেটে যায়। আর ডায়রীর একটার পর একটা পাতা পূর্ণ হতে থাকে! ছুটি শেষে নিয়মিত অফিস যাওয়া ও এখন শুরু করেছে ও।
— আজ শুক্রবার!
— অফিস যাওয়ার তাড়া নেই! ফজরের নামায পড়ে তাই আবার ঘুমিয়েছে ও। কিছুক্ষন পর চোখে সূর্যের উজ্জ্বল আলো পড়তেই জেগে ওঠে অপু। ঘুম ঘুম চোখে বিমালা দেখে অবাক হয়ে যায় ও! বিমালা আজ নিজেই নাস্তা বানিয়ে ওর জন্য নিয়ে এসেছে। তারপর যাওয়ার সময় ওর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুচকী হেসে বলে যায়,বাবার নাস্তাটাও দিয়ে এসেছি। নিজের অজান্তেই কয়েক ফোঁটা আনন্দ অশ্রু ঝরে পড়ে অপুর চোখ থেকে। নাস্তা শেষ করেই হঠাৎ মনে হয়,আজতো বাবাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়ার তারিখ। তাই তাড়াতাড়ি রেডী হয়ে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যায় ও।
— সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ফেরে অপুর! রুমে ঢুকে সে অবাক হয়ে যায়। বিমালা খুব সেজেছে। সত্যি ওকে দেখলে পৃথীবির কোনো চোখ দৃষ্টি ফেরাবেনা আজকে। তবুও বিমালা খারাপ কিছু ভাববে ভেবে চোখ ফিরিয়ে নেয় অপু। হোটেল থেকে নয় রাতে বিমালার রান্না করা খাবার ই খায় ও।
— বিমালা এতো পরিবর্তনেরর কথা ডায়েরীতে লিখতে গিয়ে ডায়েরীটা হাতে নিয়েই অবাক হয়ে যায় অপু। ডায়েরীটে নীল কভারের পরিবর্তে সেখানে একটা সাদা-কালো রঙ্গের কভার দেখতে পায় ও। আর প্রথম পৃষ্ঠার লাইনটা কেটে তার একটু নিচে লিখা,
“আর কষ্টের নীল রং নয়,এবার প্রিয় মানুষটির প্রিয় রঙ্গ দিয়েই ডায়েরীর কভারটা দিয়ে দিলাম। আশা করি তা সুখের প্রতীক হবে!”
মুহূর্তের জন্য কোথায় যেনো হারিয়ে যায় অপু। শক্ত করে বুকের মাঝে চেপে ধরে ডায়েরীটা ও। আড়াল থেকে সব দেখতে পায় বিমালা!
— মাঝরাত!
— আদনান বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। কিছুতেই ঘুম আসছেনা। বার বার শুধু উর্মির মুখটা ভেসে উঠছে ওর সামনে!
— এমন সময় কাঁধে একটা কোমল স্পর্শ অনুভব করে ও। পিছনে ফিরে ভূত দেখার মতোই চমকে উঠে। একি! বিমালা এতো রাতে এখানে!
কিছু বলার আগেই আদনানের হাত ধরে টান দেয় বিমালা।
আর এ কি করছেন আপনি?
— বিমালা হাত দিয়ে অপুর মুখ চেপে ধরে। আর বলে,এখন থেকে আর আপনি নয়,তুমি! কি করছো এখানে?
চাঁদ দেখছি!
তাই? হুম! অনেক চাঁদ দেখা হয়েছে। এবার ভিতরে চলো আমাকে দেখবে!
— বিমালা টেনে নিয়ে খাটে বসায় অপু। আজকে আর কালার লাইটটাও জ্বলেনা ওদের রুমে! বিমালা দুহাতে অপুর গলা জড়িয়ে ধরে বলে-
এই আর দেরী করছো কেনো? রাত তো প্রায় শেষ হয়ে এলো!
— অপ্রস্তুত হলেও আদনান ও আর পারেনা,বিমালা এরকম উষ্ণ আহবানে সাড়া না দিয়ে থাকতে!
— এরপর কি হয়েছিলো তা না হয় সবার অজানাই থাক। কারন সে গল্পটা যে একান্তই ওদের নিজের। সে গল্পটা যে ওদের দুজন দুজনকে আপন করে নেওয়ার একটি পবিত্র ভালোবাসার গল্প!!!

লেখক :- মাটির মানুষ মিজান

The post অপুর বাসর রাত [ বাসর রাতের গল্প ১] appeared first on Amar Bangla Post.

তিশার বাসর! (বাসর রাতের গল্প ২)

$
0
0

তিশা কখনোই ভাবেনি যে তাঁর জীবনটাতে এমনটা হবে! কেমন যেন স্বপ্নের মত লাগছে সব কিছু! এত হুটহাট মানুষের জীবনে পরিবর্তন হয়! এখনও তিশার মনে হচ্ছে সে হয়ত নানির পানের সাথে লুকিয়ে কাঁচা সুপারি খেয়ে ঘোরের মধ্যে আছে! নিজেকে সে একটা চিমটি কাটে। উহ! ব্যথা পেলাম তো! তাঁর মানে সবই ঠিক আছে। সবই সত্য!

কিছুক্ষণ আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে। পাত্রপক্ষ সন্ধ্যাবেলা দেখতে আসল। কিছুক্ষণ কথাবার্তা হল। সে শুধু শুনেছে ছেলে নাকি সোনার টুকরা! ভাল চাকরি করে! ঘূষ না খেয়েই ভাল বেতন পায়। ছেলে তাকে পছন্দ করেছে। আর এতেই বাবা আনন্দে আত্মহারা। হঠাৎ বাবা এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, মা আমরা চাই তোর এখানে বিয়ে হোক। তোর কি আপত্তি আছে?

তিশা কি বলবে প্রথমটায় বুঝতে পারছিল না। পরে ভাবল বিয়ে তো করতেই হবে। তাছাড়া পাত্রের চেহারা তাঁর অপছন্দ হয়নি। তাই সে হ্যাঁ-বোধক মাথা নাড়িয়ে দিল!

কিন্তু তখন তাঁর মনে তেমন কোন জটিলু চিন্তা না আসলেও এখন চরম অস্বস্তিতে তাঁর মাথা ঘুরাচ্ছে! লাল একটা শাড়ি পরে সে বিছানায় চুপচাপ বসে আছে। একটু পরে তলাম (পাত্রের নাম) আসবে। বিষয়টা তিশা এখনো মেনে নিতে পারছে না। চেনে না-জানে না এমন একটা লোকের সাথে তাকে একই ছাদের নীচে থাকতে হবে! আচ্ছা তমাল এসে কি করবে! হালুম করে ঝাঁপিয়ে পড়বে নাতো! ইস এসব আমি কি ভাবছি!!

তিশার ভাবনা অদ্ভুত থেকে উদ্ভুতুড়ে পর্যায়ে যেতে থাকে!

সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষের সাথে কিভাবে আমি থাকব? একই ছাদ….একই বিছানা…..এ মা কাঁথাও তো একটাই….।

একটু পর তমাল আসল। দরজা বন্ধ করার সাথে সাথে তিশার বুকটা কেঁপে উঠল। সে চোখ বন্ধ করে রইল। কিন্তু তাঁর কান সম্পূর্ণ সজাগ! সে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে তমাল হেঁটে হেঁটে খাটের কোণায় এসে পৌঁছেছে!

হঠাৎ তিশার মনে হল কেউ বোধ হয় তাঁর শাড়ির আঁচল ধরে টানছে। শিট! এসেই শুরু করল! এ তো দেখছি চরম অসভ্য লোকরে বাবা! পরক্ষণেই তিশা চোখ মেলে দেখল তাঁর শাড়ি ধরে কেউ টানেনি। আঁচলের এক অংশ খাটের মশারি স্ট্যান্ডের সাথে আটকে গিয়েছিল। আর তমাল তাঁর সামনে বসে আছে। সে তিশাকে অবাক করে দিয়ে বলল, তোমার চোখ দুটো তো অনেক সুন্দর!

লেখকঃ শাদাত শাহরিয়া

টপিক্স ঃ বাসর রাতের গল্প

The post তিশার বাসর! (বাসর রাতের গল্প ২) appeared first on Amar Bangla Post.


কোরআন-হাদিসের আলোকে বাসর রাতে ৮টি করনীয়-বর্জনীয় কাজ

$
0
0

বাসর রাতে কিছু করনীয় ও বর্জণীয় কাজ আছে যা প্রত্যেক মুসলমান স্বামী স্ত্রীর পালন করা প্রয়োজন। এখানে সেরকম ৮টি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে।বাসর রাতে কি করনীয়

বাসর রাতে করনীয় বিষয় সমূহ

এক. বিয়ের নিয়ত শুদ্ধ করা : নারী-পুরুষের উভয়ের উচিত বিয়ের মাধ্যমে নিজকে হারামে লিপ্ত হওয়া থেকে বাঁচানোর নিয়ত করা। তাহলে উভয়ে এর দ্বারা ছাদাকার ছাওয়াব লাভ করবে।কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের সবার স্ত্রীর যোনিতেও রয়েছে ছাদাকা। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমাদের কেউ কি তার জৈবিক চাহিদা মেটাবে আর তার জন্য সে কি নেকী লাভ করবে? তিনি বললেন, ‘তোমরা কি মনে করো যদি সে ওই চাহিদা হারাম উপায়ে মেটাতো তাহলে তার জন্য কোনো গুনাহ হত না? (অবশ্যই হতো) অতএব তেমনি সে যখন তা হালাল উপায়ে মেটায়, তার জন্য নেকি লেখা হয়।’

দুই. বাসর ঘরে স্ত্রীর মাথার অগ্রভাগে ডান হাত রাখে যে দোআ পড়া : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারী, ভৃত্য বা বাহন থেকে উপকৃত হয় (বিয়েবা খরিদ করে) তবে সে যেন তার মাথার অগ্রভাগ ধরে, বিসমিল্লাহ পড়ে এবং বলে : (‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর ও এর স্বভাবের কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং এর ও এর স্বভাবের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)

তিন. স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একসঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা : আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, স্ত্রী যখন স্বামীর কাছে যাবে, স্বামী তখন দাঁড়িয়ে যাবে। আর স্ত্রীও দাঁড়িয়ে যাবে তার পেছনে। অতপর তারা একসঙ্গে দুইরাকা‘ত সালাত আদায় করবে এবং বলবে, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন আর আমার ভেতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। আয় আল্লাহ, আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযক দিন আর আমার থেকে তাদেরও রিযক দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্র রাখুনআর আমাদের মাঝে যখন বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেবেন তখন কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটাবেন।’

চার. স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের দোআ পড়া : স্ত্রী সহবাসকালে নিচের দু’আ পড়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,‘তোমাদের কেউ যদি স্ত্রীসঙ্গমকালে বলে, (আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তানের কাছ থেকে দূরে রাখুন আর আমাদের যা দান করেন তা থেকে দূরে রাখুন শয়তানকে।) তবে সে মিলনে কোনো সন্তান দান করা হলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারবে না।’

পাচ. নিষিদ্ধ সময় ও জায়গা থেকে বিরত থাকা : আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতী মহিলার সঙ্গে কিংবা স্ত্রীর পেছন পথে সঙ্গম করে অথবা গণকের কাছে যায় এবং তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে, সে যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যা অবতীর্ণহয়েছে তা অস্বীকার করলো।’

ছয়. ঘুমানোর আগে অজু বা গোসল করা : স্ত্রী সহবাসের পর সুন্নত হলো অযূ বা গোসল করে তবেই ঘুমানো। অবশ্য গোসল করাই উত্তম। আম্মার বিন ইয়াসার রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না : কাফের ব্যক্তির লাশ, জাফরান ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র শরীর বিশিষ্ট ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে অযূ করে।’

সাত. ঋতুবতীর স্ত্রীর সঙ্গে যা কিছুর অনুমতি রয়েছে : হ্যা, স্বামীর জন্য ঋতুবতী স্ত্রীর সঙ্গে যোনি ব্যবহার ছাড়া অন্য সব আচরণের অনুমতি রয়েছে। স্ত্রী পবিত্র হবার পর গোসল করলে তার সঙ্গে সবকিছুই বৈধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘… সবই করতে পারবে কেবল সঙ্গম ছাড়া।’

আট. স্ত্রী সান্নিধ্যের গোপন তথ্য প্রকাশ না করা : বিবাহিত ব্যক্তির আরেকটি কর্তব্য হলো স্ত্রী সংসর্গের গোপন তথ্য কারো কাছে প্রকাশ না করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি সবচে নিকৃষ্ট বলে গণ্য হবে যে তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয় এবং স্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ হয় অতপর সে এর গোপন বিষয় প্রচার করে।’

লিখেছেনঃ মাওলানা মিরাজ রহমান

আরো পড়ুনঃ বাসর রাতের ছেলেদের প্রস্তুতি

আরো জানতে পড়ুন-বাসর রাতের শিক্ষণীয় বই : বাসর রাতের আদর্শ (ই-বুক)

আপনার যৌন জ্ঞান বাড়াতে ফ্রিতে পড়ুন ঃ যৌন শিক্ষার বাংলা বই 

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে পড়তে সাহায্য করুণ।

The post কোরআন-হাদিসের আলোকে বাসর রাতে ৮টি করনীয়-বর্জনীয় কাজ appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতে স্ত্রীর কাছে স্বামী চাওয়া পাওয়া

$
0
0

বিয়ের প্রথম রাত, অর্থাৎ ফুলশয্যার রাত হচ্ছে যে কোনো দম্পতির জীবনের সবচাইতে মধুময় এবং গুরুত্বপূর্ণ রাত। বলাই বাহুল্য যে এই রাত কে ঘিরে তরুণ তরুণীর অনেক স্বপ্ন ও চাওয়া-পাওয়া থাকে।

নারী না হয় একবুক আশা নিয়ে স্বামীর জীবন সঙ্গীনি হয়ে শ্বশুর বাড়িতে যান। কিন্তু স্বামী কী আশা করেন স্ত্রীর কাছে?

বাসর রাতে প্রত্যেক স্বামীই নিজের স্ত্রী কাছ থেকে কিছু প্রাপ্তির আশা করে থাকেন। অবিবাহিতা পাঠিকা বোনদের জন্য বাসর রাতে পুরুষদের সেরকম কিছু চাওয়া পাওয়ার তথ্য তুলে ধরা হলো।

বাসর রাতে স্ত্রীর কাছে স্বামী কামনা

১. স্ত্রীকে দেখা যাবে স্বপ্নপুরীর মতন : খুব কম পুরুষই একের অধিক বিয়ে করেন। তাই মধুময় এই রাতটি সবার জীবনে বারবার ফিরে আসে না। তাই প্রত্যেক পুরুষই স্ত্রীকে সেদিন নিজের স্বপ্নকন্যা রূপে দেখতে চান। আশা করে থাকেন যে স্ত্রীকে দেখা যাবে পৃথিবীর সব চাইতে সুন্দর রমনীর মত।

২. স্ত্রীর জীবনে তিনিই প্রথম পুরুষ : অধিকাংশ পুরুষ আজও আশা করেন যে স্ত্রী ভার্জিন হবে। অর্থাৎ তিনিই হবেন প্রথম পুরুষ যার সাথে স্ত্রী প্রথম শারীরিক সম্পর্ক করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক পুরুষের এই স্বপ্ন গুড়েবালী হয়ে যায়।

৩. একটু লজ্জা: লজ্জা নারীর ভূষণ। এই কথাটি ফুলশয্যার রাতেই যেন সবচাইতে বড় সত্য। বিয়ে প্রেমের হোক বা পারিবারিক, প্রত্যেক পুরুষই এই বিশেষ রাতে আশা করে থাকেন যে স্ত্রী একটু লজ্জা পাবেন। একটু প্রেমের ছলকলা খেলবেন, আর তবেই ধরা দেবেন প্রেমের বন্ধনে।

৪. সমৃদ্ধ জীবনের আশ্বাস: দুজনে একত্রে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন, বিয়ের এই প্রথম রাতটি তাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পরস্পরকে আশ্বাস ও প্রতিজ্ঞা করার জন্য আদর্শ সময়। স্বামীও আশা করেন যে স্ত্রী তাকে একটু সুখের সংসারের আশ্বাস দেবেন।

৫. নিজের প্রশংসা : নিজের প্রশংসা শুনতে কে না ভালোবাসে? আর পুরুষেরা তো স্ত্রীর মুখে নিজের প্রশংসা শুনতে সবচাইতে বেশি পছন্দ করেন। বিয়ের প্রথম রাতেই পুরুষের এই প্রত্যাশা থাকে সবচাইতে বেশি।

৬. শ্বশুর বাড়ির প্রাপ্তি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ : বিয়েতে কী হলো, কী হলো না, কী পেলেন, কী পেলেন না ইত্যাদি নিয়ে হতাশা বা ক্ষোভ ব্যক্ত না করে যা পেয়েছেন সেটা নিয়েই সন্তুষ্টি প্রকাশ করুন। দেখবেন স্বামীর চোখে আপনার সম্মান হয়ে উঠেছে আকাশচুম্বী।

৭. নিজের ভার স্বামীর হাতে ছেড়ে দেয়া : এটা সেই বিশেষ রাত, যে রাতে স্ত্রী নিজেকে অর্পণ করেন স্বামীর জীবনে। নিজের দায়িত্ব ছেড়ে দেন স্বামীর হাতে। আর আপনি যতই স্বাধীন চেতনা নারী হয়ে থাকুন না কেন, আপনার স্বামী কিন্তু সারা জীবনই চাইবেন যে আপনি তাকে বিশ্বাস ও ভরসা করুন। আর এই কাজটি বিয়ের রাতে করলে খুশি হয়ে ওঠেন সকল পুরুষই।

আরো পড়ুন ঃ কোরআন-হাদিসের আলোকে বাসর রাতে ৮টি করনীয়-বর্জনীয় কাজ

আরো পড়ুন ঃ নারী পুরুষের গোপন কথা (যৌন জ্ঞানের বই)

The post বাসর রাতে স্ত্রীর কাছে স্বামী চাওয়া পাওয়া appeared first on Amar Bangla Post.

কাঁচা ফুলের বাসর (প্রেমের বিরহ কবিতা ১)

$
0
0

কবিতা প্রেমিকদের জন্য বাসর রাতের বিরহ কবিতা লিখেছেন মীর সোহেল। যারা প্রেম বিরহে ভোগছেন তাদেরকে কবিতাটি নিবেদন করলাম। কবিতা টি পড়ুন ও প্রেমিকাকে কপি করে পাঠিয়ে দিন।

শিরোনামঃ কাঁচা ফুলের বাসর। (বিরহের কবিতা ১)

তুমি আসবে বলে

সাঁজিয়ে ছিলাম

কাঁচা ফুলে বাসর

হাসনা হেনা জুঁই চামেলী

রজনীগন্ধা আসর।

বকুল ফুলে গেথেছি মালা

বানিয়েছি কানের দুল

তোমার খোঁপাই পরাব বলে

তুলেছি গোলাপ ফুল।

তবুও তুমি আসনি সখি

নববধূ হয়ে

স্বপ্ন আমার হইল ধূসর

রইল সৃতি হয়ে।।

কবিতাটি লিখেছেনঃ মীর সোহেল, ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া থেকে।

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আপনার লেখিত গল্প-কবিতা বা আর্টিকেল আছে? থাকলে নির্দ্বিধায় প্রকাশ করুণ আমার বাংলা পোস্ট.কম এ। আমরা আপনার লেখিত সামগ্রী পৌঁছে দিবো লক্ষ পাঠকের কাছে। আরো জানুন…

The post কাঁচা ফুলের বাসর (প্রেমের বিরহ কবিতা ১) appeared first on Amar Bangla Post.

প্রশ্নঃ বাসর রাতে কি স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে?

$
0
0

প্রশ্নঃ বাসর রাতে কি স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে?

মানুষের জীবনের সবচেয়ে মধুরতম রাত সম্পর্কে প্রশ্ন করার জন্য প্রিয় পাঠক আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রিয় আমার বাংলা পোস্ট.কম পাঠক-পাঠিকা গণ, যৌনতা নিয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা আছে? যৌনতা সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন কিংবা জিজ্ঞাসা থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের নিকট পাঠিয়ে দিন। আপনার প্রশ্ন পাঠাতে >> এখানে ক্লিক করুণ।

উত্তরঃ বাসর রাতকে ঘিরে প্রত্যেক নারী পুরুষের মনে নানান জল্পনা-কল্পনা ও স্বপ্ন থাকে। থাকে ভয়-ভীতি ও দুষ্ট মিষ্ট স্বপ্ন। অচেনা-অজানা দুইটি নারী পুরুষ বিবাহের মাধ্যমে সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তাদের একান্তে প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে বাসর রাতে কিংবা স্বপ্নের বাসর ঘরে। বাসর রাতের  সুখানুভূতির স্মৃতি প্রত্যেক নারী-পুরুষের মনে থাকে। স্বপ্নের বাসর রাতে আনন্দময় মুহূর্ত কাটাতে নারী পুরুষ উভয়কেই ভূমিকা রাখতে হবে। ফুলশয্যা ঘরে প্রবেশের পর মুসলিম সম্প্রদায়ের নারী পুরুষের কিছু করণীয় এবং বর্জনীয় কাজ থাকে। সে কাজ গুলো যথাযথ ভাবে পালন করা একজন মুসলিম নারী পুরুষের উপর অবশ্যই কর্তব্য। কোরআন ও হাদীসের আলোকে বাসর রাতে মুসলিম স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য জানতে নিচে দেওয়া আর্টিকেলটি পড়ুন…

পড়ুন :  বাসর রাতের স্বামী স্ত্রীর ৮ টি করনীয় ও বর্জনীয় কাজ 

বাসর রাতে সহবাস করা কি ঠিক হবে?

নব-বিবাহিতা স্ত্রীর যদি বাসর রাতে প্রথম একান্ত সাক্ষাতেই স্বইচ্ছে রাজি ও সহবাস করার আগ্রহ থাকে এবং তাঁর সাময়িক শারীরিক (মাসিক বা ঋতুস্রাব) কোন সমস্যা না থাকে তাহলে সহবাস করা যাবে এতে দোষনীয় কিছু নেই। সুগন্ধ ফুলের দ্বারা সাজানো বাসর ঘরে স্বামী স্ত্রীর প্রথম একান্ত সাক্ষাতের আনন্দ ও  জীবনের প্রথম যৌন মিলন উপভোগের আনন্দ মিলে মহা আনন্দে রূপ নিবে যা কখনোর ভুলার নয়।

বাসর রাতের নারীর ভয়

বাসর রাতকে ঘিরে অনেক নারী মনে ভয়-ভীতি কাজ করে। বাসর রাতে স্বামী তাঁর সাথে কিরূপ আচরণ করবে, বাসর রাতে প্রবেশ করেই যৌনতা লাভ করার জন্য স্বামী স্ত্রীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে কিনা, প্রথম মিলনের রক্তক্ষরণ সম্পর্কে বহু নারী ভয়-ভীতির মধ্যে থাকে।  তাই বাসর রাতে সহবাসের চিন্তা-ভাবনা পরিত্যাগ করা উচিৎ বা তাঁর মনের ভীতি দূর করার প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার উচিৎ।

বাসর রাতে জীবন সঙ্গিনীর সাথে বন্ধুত্ব

বাসর রাতে সহবাস করার জন্য তাড়াহুড়া না করে স্ত্রীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলার চেষ্টা করুণ। স্ত্রীর মনে নিজের আসন গেঁথে দিতে তাঁর সাথে উত্তম আচরণ করুণ। নিজেকে প্রেমময় ও রোমান্টিক স্বামী হিসেবে স্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করুণ। আপনি যে  একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব অধিকারী এবং আদর্শবান স্বামী, স্ত্রী আপনার কাছে যৌন উপভোগের বস্তু নয় সে বার্তা স্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে এটাই উত্তম সময়।  আপনার দাম্পত্য জীবনকে আনন্দময় হিসেবে গড়ে তুলতে এটি কেউ মিস করবেন না।

বাসর রাতে নিজেদের পরিচিতি ও পূর্ব পরিকল্পনা এবং স্বামী স্ত্রীর উপদেশ

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো লাগা, মন্দ, পছন্দ-অপছন্দনীয় বিষয় গুলোর সাথে পরিচিত লাভ করা উচিৎ। নিজেদের দুর্বলতা গুলো চিহ্নিত করা উচিৎ এবং সুখময় দাম্পত্য জীবন রচনায় দুই জনের লাইফ স্টাইল কিভাবে মানিয়ে নেওয়া যায় তাঁর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন। নিজেদের দুর্বলতা গুলো প্রকাশ পেলে তখন স্বামী স্ত্রীর করনীয় কি হবে তাঁর উপদেশ দেওয়া উচিৎ। যেমন নবীর প্রিয় সাহাবী হযরত তালহা বাসর রাতে স্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি রেগে তাঁর সাথে পাল্টা রাগ না দেখানোর।

বাসর রাতে সহবাস করার নিয়ম

বাসর রাতে সহবাস করার জন্য আলাদা কোনো নিয়ম নীতি নেই। সহবাসের চারটি নিয়ম মেনেই বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়া যাবে।

আরো পড়ুন ঃ সহবাসের চারটি নিয়ম

তবে জীবনের প্রথম মিলন হিসেবে একটু অসুবিধায় পড়তে হতে হবে। তাই এই সময় যৌন মিলন করার সময় এবং যোনিতে লিঙ্গদ্বয় প্রবেশের সময় ধীর-স্থির ভাবে করতে হবে। এবং তাঁর সাথে স্ত্রীর দেহে পূর্নরূপে যৌন উত্তেজনা জাগ্রত করতে হবে।

আরও পড়ুন ঃ স্ত্রীর দেহে যৌন উত্তেজনা জাগানোর নিয়ম 

প্রথম সহবাস বা মিলনের সময় করনীয় কি তাঁর বিশদ আলোচনা থাকছে আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল এ।

উত্তর লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল। (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম)

The post প্রশ্নঃ বাসর রাতে কি স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে? appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতের মিষ্টি কাহিনী (১৮+ গল্প)

$
0
0

বাসরবাসর রাত। সবার জীবনে এই রাতটি নাকি অনেক স্বপ্নের, অনেক আশার।

ওসব ভাবনার নিকুচি করে ‘বাসরীয়’ বাসনা নিয়ে সাজানো বাসর ঘরে ঢুকলাম। আহা! নতুন বউ কত না প্রশান্তি নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

দরজা খোলাই ছিল। ভেতরে প্রবেশের পরই লাগিয়ে দিলাম। মনে অন্যরকম অনুভূতি। নিজের ঘরটা নিজেই চিনতে পারছি না। যা সুন্দর করে সাজানো! ওরা পারে বটে- গাঁদাফুল দিয়ে সাজালেও গোলাপের সংখ্যা কম নয়, রজনীগন্ধাও আছে। তবে গোলাপের ঘ্রাণটাই প্রকট। ভ্রমর আসতে পারে বৈকি! মনে মনে হাসলাম- নিজেইতো ভ্রমর।

মন থেকে কিছুতেই এই ছটফটানি ভাবটা দূর করতে পারছি না। একবার ভাবলাম বাতিটা নিভিয়েই বিছানায় যাই! পরে চিন্তা করে দেখলাম- নাহ, দরকার নেই। মন বললো- ভদ্রতাই বংশের পরিচয়। পরিণয় বা প্রেমঘটিত বিয়ে হলে বোধকরি এতটা উত্তেজনা থাকতো না।

বিছানাটার দিকে তাকিয়ে আরো বেশি অবাক হলাম। পুরোটা ফুল দিয়ে ঢেকেছে ওরা। এমনকি বিছানায় প্রবেশের জন্যই ফুল দিয়ে আরেকটা দরজা বানিয়েছে। ভেতরে কে আছে বোঝার উপায় নেই।

বিছানার পাশে গিয়ে নতুন বউকে মধুর সুরে ডাকলাম- জেসমিন, জেসমিন।

কোন সাড়া নেই। ভাবছি ঝট করে নির্লজ্জের মতো বিছানায় উঠে পড়া ঠিক হবে না। দুলাভাই যা শিখিয়ে দিয়েছেন সেই টিপস অনুযায়ী জেনেছি- বাসর ঘরে নববধূ স্বামীকে সালাম করে।

তাই আর বিছানায় ওঠা সমীচীন মনে করলাম না। ও নেমে এসে সালাম করবেই। আর আমিও থাক, থাক বলে ওর শরীর স্পর্শ করবো। বাকি কাজের প্রস্তুতি ওভাবেই নেব।

নাহ, তবুও বের হয় না। আর কত প্রতীক্ষা- সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে বোধকরি বউ আমার বাসর ঘরেই ঘুমিয়ে পড়েছে।

আশাভঙ্গ হয়ে বিছানায় উঠলাম। ওমা একি! আমার বউ গেল কই? বিছানায় কেউ নেই। এক্কেবারে ফাঁকা। হায় হায়রে পালাবিতো বিয়ের আগে পালা। কবুল বলে আমায় কুরবানি করে পালালি কেন? এ মুখ আমি কোথায় দেখাব?

এখন কি করব কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। বিছানায় একটু হেলান দিয়ে মায়ের উপর মেজাজটা ভীষণ বিগড়ে গেল। সব দোষ মায়ের। মা আমাকে বাড়িতে ডেকে আনলো ছোট চাচার বিয়ের কথা বলে। বাড়ি এসে সকল আত্মীয়-স্বজনকে দেখে খুশি হলাম। রাতে লম্বা সফর করে এসেছি তাই একটা টানা ঘুম দিয়েছিলাম। বাড়িতে কি হচ্ছে না হচ্ছে তার খোঁজ রাখিনি।

দুপুরে ঘুম থেকে উঠে সে কি খেলাম। পরে যখন সবাই এসে বললো- চল গায়ে হলুদ দিতে হবে। দুপুরে গায়ে হলুদ, রাতেই বিয়ের পর্ব শেষ।

বললাম- যাও তোমরা আমি যাব না। যার বিয়ে সেই চাচা কই? আসার পরে তো দেখলাম না। চাচীর ছবিটাও দেখালো না।

সবাই হাসতে শুরু করলো- কারণটা বুঝলাম না। পরে বুঝলাম বিয়ে আর কারো নয়, আমারই! প্রেমপ্রস্তাবে বহুবার ব্যর্থ হয়ে পণ করেছিলাম- কোনদিন বিয়ে করবো না। মা আমার সেই পণ রক্ষা করতে দিল না। সর্বনাশটা করেই ছাড়লো। বউয়ের ছবিটা পর্যন্ত দেখিনি। কেবল নামটা জেনেছি- জেসমিন।

বিয়ের পর্বেও দেখা হয়নি। সেই অদেখা জেসমিন বাসর রাতে আমাকে ছেড়ে পালালো। কি অপরাধ ছিলো আমার?

এমন সময় দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম। নিজে যে দরজা লাগিয়েছিলাম- সেই দরজা খুলছে কিভাবে বুঝলাম না। ওহ, ভুলেই গিয়েছিলাম- বিভীষণের মত ঘুমাই বলে মা আমার দরজার লক নষ্ট করে দিয়েছে। শব্দ শুনে ধরপর করে বিছানা থেকে উঠলাম। নামতে গিয়ে পায়ের সাথে কাপড়ের মত কি যেন লাগলো- তা লাথি মেরে ফেলে দিলাম।

দরজায় যাওয়ার আগে দেখি মা দরজা খুলে দাঁড়িয়েছে। মায়ের মুখে হাসি।

আমার পিত্তি জ্বলে গেলো। নিজেও উপহাসের হাসি হেসে বললাম- দিয়েছতো বিয়ে, এবার সামলাও। কত বার বললাম- কয়েকটা বছর দেরি করে বিয়ে করি।

মা রেগে বললো, ত্রিশতো পার করেছিস। চল্লিশও পার করবি নাকি। মা জেসমিন- একে কিভাবে শায়েস্তা করতে হবে তার সবইতো তোমায় বুঝিয়েছি। যেমনি বুনো ওল তেমনি বাঘা তেঁতুল হতে হবে। এসো এদিকে এসো। পেছন থেকে সামনে এলো জেসমিন।

মায়ের গালিতেও মনটা ভরে গেলো। যাক, বউ আমার পালায়নি। সে আছে, সে আছে। জেসমিনকে দেখে আরো মুগ্ধ হলাম। মায়ের পছন্দে বহুগুনে জিতেছি। ভালো আঁচলেই মা আমাকে বেঁধে দিয়েছে। দু’চোখ ভরে দেখার মত বউ জেসমিন। অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়েছিলাম। মা’ই ঘোমটাটা সরিয়ে দিয়েছিল।

কিন্তু একি, বউ আমার রাগছে কেন? মনে হয় যেনো ফোঁস ফোঁস করছে। মাকে উদ্দেশ্য করে সে বললো- মা ঠিকই বলেছেন, আপনার ছেলের কোন কাণ্ডজ্ঞান নেই। দেখুন অবস্থা।

মা ওর কথা শুনে খেয়াল করলো এবং ভীষণ চটে গেল।

মা আর বউয়ের রাগের কারণটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না।

মা বললো- তুই বেখেয়ালি কাণ্ডজ্ঞানহীন এটা জানি কিন্তু বেহায়া এটা আজ বুঝলাম। বউয়ের সামনে বিনা কাপড়ে দাঁড়া। তাই বলে মায়ের সামনে এলি পাজামা ছাড়া! বেশরম।

এতক্ষণে খেয়াল করলাম। পড়নে পাজামা নেই। উপরে শেরওয়ানি ভেতরে অন্তর্বাস! আসলে বিছানা থেকে নামার সময় উটকো কাপড় ভেবে যেটা লাথি মেরে ফেলেছি সেটা পাজামাই ছিল! এটা পড়ার অভ্যাস নেই। বিয়ের কারণেই পড়া। যাহোক কিছুক্ষণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম।

চেতনা আসতেই যেদিকে তা ফেলেছিলাম সেদিকে দিলাম ছুট। তাড়াহুড়ো করে পড়তে গিয়ে পাজামার ফিতের খেই হারিয়েছি। এক অংশ বাইরে অপর অংশটি একেবারে ভেতরে চলে গেছে।

তাই হাত দিয়ে পাজামা আঁকড়ে ধরে আলনার দিকে হাঁটা দিলাম। সেখানে রাখা নতুন একটা লুঙ্গি হাতে নিলাম। পড়তে গিয়ে দেখি- সেলাইবিহীন! সব কাজ মায়ের- নতুন বউ এনে দিয়েছে, ঘরটা নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছে, পুরনো কিছুই রাখেনি। একটা পুরনো ছেঁড়া লুঙ্গিও যদি পেতাম বাসর ঘরে ইজ্জতটা রক্ষা হতো! যাহোক শেরওয়ানির নিচে ওটাই পড়ে নিলাম। মন্দ লাগছে না!

ওদিকে মা আর বউ’র সে কি আনন্দ! মনে হয় কোনো কৌতুক অভিনেতার অভিনয় দেখছে আর হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে। হাসির শব্দে পুরো বাড়ির লোকজন আসতে শুরু করেছে। মা বিষয়টা খেয়াল করে জেসমিনকে বললো- সামলাও মা আমার এ পাগল ছেলেটাকে। দরজা লাগিয়ে দাও বলে মা চলে গেল।

জেসমিন ছিটকিনি দিয়ে ঠিক-ঠাক মতই দরজা লাগালো। বন্ধ দরজা, সে আর আমি অনুভূতি চরমে।

সে আমার দিকে এগিয়ে এলো- আমি স্থির দাঁড়িয়ে আছি। কোন নড়াচড়া নেই। ও কাছে আসতেই বললাম- না, থাক থাক।

ও বললো- থাকবে কেন? দিন মোবাইল দিন। যেন ধমকালো।

ঠিকই বুঝেছি এ মেয়ে সুবিধার না! যে কিনা বাসর রাতে স্বামীকে একা ফেলে শাশুড়ির সঙ্গে শলাপরামর্শ করতে যায়- সে আর যাই হোক ভালো নয়।

এত ভাবার সময় দিল না। নিয়ে নিল। এরপর আমার হাত ধরে বিছানার দিকে টেনে নিল, আমি ওতেই মহাখুশি। মনটা কেমন যেন দোল দিয়ে উঠলো। বিছানায় ও আর আমি পাশাপাশি। তারপরও আমার দিকে তার মনোযোগ নেই। মোবাইলে কি যেন খুঁজছে। পেলোও বটে- এক নারীর মেসেজ।লেখা- ‘ভাই চলে আসেন। কোনো সমস্যা নেই’।

সেটা আমায় দেখালো। আমি বুঝিয়ে বললাম- আমার কলিগ। অফিসে একদিন দেরি করেছিলাম তাই ওকে ফোন দিয়ে বলেছিলাম- বস যখন অন্যদিকে মন দেবে তখন জানাবে। ও সময়-সুযোগ মত এটা জানিয়েছিল।

জিজ্ঞেস করলো- বিবাহিতা না অবিবাহিতা।

বিবাহিতা জবাব দিলাম।

কেসটা কি পরকীয়া?

ছিঃ ছিঃ তুমি এসব কি বল? একটু রেগে গেলাম পাত্তাই দিল না।

বললো- আপনার ল্যাপটপটা অন করুন। খুব নাকি ফেসবুকিং আর ব্লগিং করেন। দু’টোরই পাসওয়ার্ড দিন।

আমি রেগেই ছিলাম। একটু আগে যে কামনায় উসখুশ করছিলাম তা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। তারপরও কোনো কথা না বলে টেবিল থেকে ল্যাপটপটা নিয়ে পাসওয়ার্ড, মেইল ও নিক সব কাগজে লিখে দিলাম।

ও প্রথমে ফেসবুকে ঢুকে প্রোফাইলটা বিবাহিত বানিয়ে দিল। ম্যারিড উইথ জেসমিন…এরপর ব্লগে কি যেন ঘাটাঘাটি করলো। ফেসবুকে কার কার সঙ্গে যেন চ্যাট করলো।

এসব দেখে মনে মনে যদিও রেগে গিয়েছিলাম তবুও ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রাগটা কেন যেন কমে গেলো। এভাবে নিজের জায়গায় কোন মানবীকে দেখিনি কখনো। মুগ্ধতা বেশিক্ষণ রইলো না- আমার সেই কলিগ ভদ্রমহিলা এই রাতে ফোন দিয়ে বসলো।

ও বললো- রিসিভ করছেন না কেন?

ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সেই ভদ্রমহিলা বললেন, আপনার সঙ্গে কথা নেই। ভাবীকে দিন, এখনই ঊনার সাথে চ্যাট করলাম।

ফোন নিয়ে ও কথা বললো। কুশলাদি বিনিময় করে ফোন রেখে দিয়ে বললো- ফোন অফ করুন।

ল্যাপটপও নিজেই বন্ধ করলো।

এরপর আমাকে জিজ্ঞেস করলো- এতদিন বিয়ে করতে চাননি কেন?

আর আবেগ সংবরণ করতে পারলাম না। হু হু করে কেঁদে উঠলাম। কেঁদে কেঁদে বললাম, জেসমিন সত্যি বলছি। কেউ আমাকে ভালোবাসেনি বলে বিয়ে করিনি। ভেবেছিলাম ভালবেসেই বিয়ে করবো। কিন্তু হয়নি। বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছি। কেঁদে ওর বুক ভিজিয়েই দিয়েছি। আবেগের চোটে ভুলেই গিয়েছি- কোন নারীর বুকে মুখ রেখে কাঁদছি।

ও আমার বিব্রতকর অবস্থা বুঝে নিজে থেকে লাইট অফ করে বললো; এমন মানুষকে কেউ ভালো না বেসে পারে। দেখবেন আমি সারাজীবন ভালোবাসবো।

লেখক : ইসমাঈল চৌধুরী

সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত আরও কিছু বাসর রাতের গল্পের তালিকা

০১ তিশার বাসর রাতের মজার গল্প

০২ পরীক্ষার হল থেকে বাসর ঘরে

০৩ কালো মেয়ের বাসর রাতের গল্প

বাসর রাতের জ্ঞান মূলক পোস্ট

০৪ বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আমাদের প্রকাশিত গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে অবশ্যই এটি ফেসবুকে শেয়ার করুন।

The post বাসর রাতের মিষ্টি কাহিনী (১৮+ গল্প) appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতের দোয়া ও মজার করার উপায়

$
0
0

বাসর রাতের দোয়াপ্রশ্নঃ আমি কয়েক দিন পর বিবাহ করে যাচ্ছি। শুনেছি বাসর রাতে দোয়া পড়তে হয়।

আমি জানতে চাচ্ছি বাসর রাতে কি দোয়া পড়তে তা বাংলাতে লিখে দিলে ভালো হয়। আমি আরবী পড়তে পারিনা।

উত্তরঃ আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা আপনার সুখবর শুনে আনন্দিত হলাম এবং আপনার নব জীবনের প্রতি রইল লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। মহান আল্লাহ আপনাদেরকে নেক হায়াত দান করুন এবং দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি দান করুন।

বাসর রাতের দোয়া টি হচ্ছে…..

উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরিকা অখাইরি মা জাবালতাহা আলাইহি, অআউযু বিকা মিন শার্রিহা অশার্রি মা জাবালতাহা আলাইহ।

এই দোয়াটি স্ত্রীর চুলে ধরে পড়তে হয়।

বাসর রাতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এমন আরো কিছু পোস্ট ও বই পড়তে পারেন…..

০১. বাসর রাতে করনীয় ও বর্জনীয় কাজ।

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর করনীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে জানতে ০১ নং লেখাটি পড়ে নিন। লেখাটি পড়লে বাসর রাতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো জানতে ও শিখতে পারবেন।

০২. ছেলেদের বাসর রাতের প্রস্তুতি

বাসর রাতে ছেলেদের প্রস্তুতি বা বাসর রাত কে উপভোগ করতে ছেলেদের কি কি প্রস্তুতি থাকার দরকার তা জানতে ০২ নং লেখাটি পড়ুন।

০৩. বাসর রাতের আদর্শ (বাসর রাতের ইসলামী বই)।

স্বামী স্ত্রীর বাসর রাত সম্পর্কে এমনটি ইসলামিক বই যা একজন মুসলিম হিসেবে এবং বাসর রাতের ইসলামিক গাইড লাইন পেতে আপনাকে এই বইটি পড়াই উচিত। ইসলামিক সেক্স লাইফ উপভোগ করতে ও বিশুদ্ধ ইসলামিক যৌন জ্ঞান লাভ করতে বাসর রাতের আদর্শ বইটি আপনাকে সাহায্য করবে।

০৪. প্রথম সহবাসে রক্তপাত।

প্রথম মিলন বা স্ত্রীর সাথে প্রথম সহবাসের গাইড লাইন পেতে এবং রক্তপাত হলে করণীয় জানতে ০৪ নং লেখাটি পড়ে নিন।

০৫. বাসর রাতে কি সহবাস করা যাবে?

বাসর রাতে সহবাস করা যাবে কিনা এবং বাসর রাতে সহবাস করা গেলেও কি কি কারণ সহবাস করা যাবে না যেসব বিষয়াদি জানতে ০৫ নং লেখাটি পড়ে নিন।

০৬ বাসর রাতের শিক্ষা

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর প্রথম একান্তীয় সাক্ষাৎ কিরূপ হওয়া উচিত, বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে কিরূপ আচরণ করবেন যেসব বিষয়াদি জানতে ০৬ নং লেখাটি পড়ে নিন।

প্রিয় পাঠক, বাসর রাত সম্পর্কে দেওয়া আমাদের পরামর্শ গুলো আপনার বাসর রাতকে উপভোগ্য ও মজার করে তুলবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

আনন্দময় দাম্পত্য জীবন লাভের বই

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আনন্দময় দাম্পত্য জীবন লাভ করতে দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে জানার খুবই প্রয়োজন। আপনাদের দাম্পত্য জীবনকে মজার ও উপভোগ্য করে তুলতে এবং দাম্পত্য বিষয়ক জ্ঞান লাভ করতে “আমার বাংলা পোস্ট.কম” ব্লগে প্রকাশিত স্বামী স্ত্রীর বিষয়ক ও যৌন জ্ঞান লাভের বই গুলো আপনাদেরকে সাহায্য করবে। বই গুলো পড়তে চাইলে নিচের অপশন থেকে আপনার পছন্দের বই গুলো বেছে নিন।

বাংলা সেক্স বই   স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য বই

উত্তর লিখেছেনঃ সৈয়দ রুবেল। (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকঃ আমার বাংলা পোস্ট.কম)

The post বাসর রাতের দোয়া ও মজার করার উপায় appeared first on Amar Bangla Post.

প্রথম মিলনে রক্তপাত ও করনীয়

$
0
0

প্রশ্নঃ প্রথম মিলনের সময় যোনিমুখ দিয়ে রক্তপাত হয় সে অভিজ্ঞতা অনেক নারীরই মনে থাকে।

এই ধরণের পরিস্থিতিতে কি করা উচিৎ?

উত্তরঃ প্রথম মিলনের সময় সতীচ্ছদ ছিঁড়ে যাওয়ায় সামান্য রক্তপাত হতে পারে, ব্যথা লাগতে পারে। কিন্তু এর জন্যে মিলনের কোন অসুবিধা হয় না। মনে করলে কিছুক্ষণের জন্যে যৌন মিলন বিরতি দিতে পারেন। নিজেকে পরিস্কার করে নিয়ে আবার মিলনে রত হতে পারেন।

প্রথম মিলন কিভাবে করতে হয় শিখুন

বাসর রাতের স্ত্রীর সাথে প্রথম একান্ত সাক্ষাতের আনন্দ ও জীবনের প্রথম মিলনের সুখ স্মৃতি কখনো ভুলার নয়। তাই বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে প্রথম সাক্ষাতের মুহুর্ত আনন্দময় ও মজার করতে এবং দাম্পত্য জীবনের প্রথম মিলনকে আনন্দময় করে তুলতে প্রদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন। বাসর রাতে স্ত্রীকে সজ্জিত অবস্থায় দেখেই মিলনের জন্য উদ্দিত হওয়া যাবেনা। বাসর রাতে মিলনের পূর্বে স্ত্রীর কাছে নিজেকে বন্ধু হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। জীবন সঙ্গিনীর সঙ্গে প্রথম মিলন শুরু সময় সতর্ক ও যত্নশীল হতে হবে। কোন রূপ তাড়াহুড়া করে যাবেনা। বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে প্রথম মিলনকে আনন্দময় করতে ও স্মৃতি হিসেবে স্মরণ রাখতে প্রথম মিলনের নিয়ম গুলো জানুন এবং স্ত্রীর সাথে মিলনের সময় গাইড লাইন গুলো অনুসরণ করুন।

পড়ুন >> প্রথম মিলনের নিয়ম ও মিলনের সময় স্বামীর করনীয়

আপনার বাসর রাতকে উপভোগ করুন।

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আপনাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া বাসর রাতকে উপভোগ করতে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর করনীয়-বর্জনীয় বিষয় সমূহ জানুন।

বাসর রাতকে স্মরণীয় করে রাখতে ও বাসর রাতের দিক-নির্দেশনা ও টিপস সহ বাসর রাতের সব কিছু একসাথে পেতে আমাদের নিচের টপকিস ব্যবহার করুন।

ঘুরে আসুন >> বাসর রাত << থেকে

লিখেছেন : সৈয়দ রুবেল। (প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক : আমার বাংলা পোস্ট.কম)

The post প্রথম মিলনে রক্তপাত ও করনীয় appeared first on Amar Bangla Post.


স্বামী স্ত্রীর বাসর রাতের মজার গল্প

$
0
0

বাসর রাতে মজার গল্পমা বাবার পছন্দমতোই বিয়েটা করে ফেললাম। আমি যখন বাসর ঘরে ঢুকতে যাবো, ঠিক সেই মুহুর্তে দরজার সামনে এসে দাড়িয়ে গেলাম। বুকের ভেতর হার্টবিটটা যেন ক্রমশ বাড়তেই লাগলো। জীবনে প্রথম কোনো মেয়ে মানুষের কাছে যাবো..! তাও আবার একই ঘরের মধ্যে..! ভেবে কেমন যেন ভয় ভয় করতে লাগলো আমার..!
ভাবিরা, বন্ধুরা আমার অবস্থা দেখে আমাকে জোর করে ঠেলে ঢুকিয়ে দিলো বাসর ঘরে। তারপর ওরা বাহির থেকে দরজা টেনে দিলো। দেখি লাল বেনারসি পরে মাথায় ঘোমটা টেনে বসে আছে আমার বৌ। আমি আস্তে আস্তে তার দিকে এগিয়ে গেলাম। কাছে যেতেই বৌ আমাকে সালাম দিলো। সালামের উত্তর দিতে গিয়ে গলাটা আমার আটকে গেল! ভয়ে যেন গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে..!
এমনসময় নতুন বৌ আমার দিকে পানির গ্লাস বাড়িয়ে দিয়ে বললো…
— নেন পানি খান..
আসলে এই মুহুর্তে আমার পানির খুব প্রয়োজন ছিলো। আমি ঢকঢক করে একগ্লাস পানি খেয়ে নিলাম। আস্তে করে বললাম…
— থ্যাংকস…
বৌ নরম সুরে বললো…
— থ্যাংকস বলতে হয়না। বলেন শুকরিয়া।
আমিও তার বাধ্যগত হয়ে বললাম…
— শুকরিয়া..
— দরজাটা লক করে আসেন।
আমি আস্তে আস্তে গিয়ে রুমের দরজাটা লক করে আসলাম। তারপর বৌ আমাকে প্রশ্ন করলো…
— আপনার কি অজু করা আছে..?
— না…
— যান অজু করে আসেন।
আমি মনে মনে বিবাহিত বন্ধুদের গালি দিলাম। বাসরঘরে যে অজু করে ঢুকতে হয়, যেই শালারা বিয়ে করছে সেই শালারা তো আমাকে বলে দেয়নি..! তাহলে তো বৌয়ের কাছে ছোট হতে হতোনা..! আমি ওয়াশরুমে গিয়ে অজু করে আসলাম। তারপর
বৌ আমায় বললো…
— চলেন দুজনে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে আমাদের নতুন জীবনের শুরু করি।
নামাজ পড়া শেষ করে দুজনে খাটের উপর বসলাম। তারপর সে আমাকে বললো…
— আপনি কি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন..?
— না…
— এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। সজ্ঞানে এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করবেনা।
— আচ্ছা ঠিক আছে।
মনে মনে ভাবছি, বৌ তো দেখি আমাকে হুকুম করেই যাচ্ছে। করুক, খারাপ কিছু তো বলছেনা! এমন সময় বৌ বললো…
— আজ সারারাত দুজনে গল্প করবো।
এবার আপনার ছোটবেলার গল্প বলেন।
তারপর আমি বলবো…
মহা বিপদে পড়ে গেলাম। কি গল্প বলবো এখন! আমি বললাম…
— কি গল্প বলবো..!?
এমনসময় বৌ আমাকে এমন প্রশ্ন করে বসলো, যার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলামনা। বললো…
— আপনি প্রেম ট্রেম করছেন কখনো…?
এই প্রশ্নের কি উত্তর দিবো..!?
ভাবলাম, কেবল নামাজ পড়ে আসলাম। মিথ্যা কথা কি করে বলি! তাই সত্য কথাই বৌকে বলতে লাগলাম….
“সত্যি কথা বলতে কি প্রেমের কথা মনে পড়লেই আমার হাসি পায়। আমি যখন ক্লাস এইটে পড়তাম, পাড়ার একটি মেয়েকে আমার ভাল লাগতো। নাম রেশমি। ভীষণ মায়ার চেহারা ছিলো ওর। ও পড়তো ক্লাস সেভেনে। লুকিয়ে লুকিয়ে রেশমিকে দেখা ছাড়া আমার কোনো কাজ ছিলোনা। স্কুল শেষে স্কুলের গেটে দাড়িয়ে থাকতাম ওর জন্য। রেশমি ওর বান্ধবীদের সাথে বাড়ি যেত,
আর আমি পিছে পিছে হাঁটতাম।

কোনোদিন মুখফুটে বলতে পারিনি ভাললাগার কথা। মনেমনে কত যে প্ল্যান করেছিলাম ভাললাগার কথা রেশমিকে বলবো বলে। সে সাহস আর হয়ে ওঠেনি আমার। একদিন জানতে পারলাম রেশমি ওর খালাতো ভাইয়ের সাথে প্রেম করে। মনেমনে একটা আঘাত পেয়ে সেখান থেকে কেটে পড়লাম।

ক্লাসের সবথেকে সুন্দরী মেয়ে সুলতানা। একসময় ওকে আমার ভাল লেগে যায়। একটা ক্লাসও মিস করতামনা সুলতানার জন্য। সুলতানা সবসময় ক্লাসের ফার্ষ্ট বেঞ্চে বসতো বলে আমিও সবার আগে ক্লাসে যেতাম শুধু ফার্ষ্ট বেঞ্চে বসার জন্য।

ক্লাসে বসে লুকিয়ে লুকিয়ে শুধু সুলতানাকে দেখতাম। সুলতানাকে শুধু আমি না আরো অনেক ছেলেরাই পছন্দ করতো। যখন অন্য ছেলেরা আমার মতো সুলতানাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতো, মনে মনে ওদের উপর ভীষণ রাগ হতো। ওরা দেখবে কেন..!? শুধু আমিই দেখবো।

যখনই আমার সুলতানার চোখে চোখ পড়তো, সুলতানা মিটমিট করে হাসতো। তখন একটা ভাললাগা আমার মনটাকে
নাড়িয়ে যেতো। ভাবতাম সুলতানাও বুঝি আমাকে পছন্দ করে..!

একবার মনে মনে প্ল্যান করলাম, একটা চিঠি লিখে সুলতানাকে দিবো। সারারাত জেগে একটি চিঠি লিখেও ফেললাম। দুঃখের বিষয় বুকপকেট থেকে চিঠিটা বের করে সুলতানাকে দিতে সাহস হয়নি আমার। একদিন শুনলাম সুলতানার বাবা ট্রান্সফার হওয়াতে ওরা সবাই চলে গেছে চিটাগং। মনের মধ্যে আরেকটা ধাক্কা খেলাম।

স্কুল লাইফ শেষ করে যখন কলেজে লাইফে পা দিলাম। ক্লাসের একটি সুন্দরী মেয়ে আমার মন কেড়ে নিলো।
নাম জিনিয়া। ভাবলাম স্কুল লাইফে যা হবার হয়েছে। এই মেয়ের সাথে আমার প্রেম করতেই হবে!

কিন্তু সমস্যা তো ঐ একটাই। আল্লাহ আমাকে সেই সাহস দেয়নি যে, কোনো মেয়েকে খুব সহজভাবে বলে দিবো “আমি
তোমাকে ভালবাসি”!! হা..হা..হা…!

কলেজ লাইফে এসেও আরেকটি ধাক্কা খেলাম। আমি আসলে অনেকটাই বোকা..!
তা না হলে কি করে ভাবলাম শহরের একটি মেয়ে অজর পাড়াগাঁও থেকে উঠে আসা আমার মতো একটি মফস্বলের
ছেলের সাথে প্রেম করার জন্য এখনো নিজেকে সিঙ্গেল রেখেছে..!?

একদিন দেখলাম কলেজ শেষ করে জিনিয়া একটি ছেলের সাথে রিক্সায় উঠে রিক্সার হুট টেনে দিলো..! এভাবে
প্রায় প্রতিদিন দেখতাম ছেলেটিকে জিনিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে। তারপর জিনিয়াকে নিয়ে রিক্সায় চড়ে যেতে!
পরে জানতে পারলাম ছেলেটিকে জিনিয়া ভালবাসে। বুকের মধ্যে ছোট একটি ব্যাথা অনুভব করতাম। তারপর আর
কোনো মেয়ের দিকে নজর দেইনি। আসলে আমার ভাললাগাগুলো ভাললাগা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলো। কখনও ভালোবাসায় রুপান্তরিত হয়নি।”
.
বৌ আমার গল্প শুনে হেসে কুটিকুটি হয়ে গেল। তারপর হাসতে হাসতে বললো…
— আপনি তো আসলেই বোকা..!
— আসলেই আমি বোকা…
— ভাগ্যিস বোকা ছিলেন। তানা হলে আমার ভালোবাসার ভাগ কত মেয়েই না আপনার কাছ থেকে নিয়ে নিতো..!
— আসলেই তো..!
— আমার ভালোবাসার ভাগ যদি সত্যিই
অন্য কোনো মেয়েকে দিতেন, আপনার ঠ্যাং ভাঙতাম আমি। আপনার কপাল ভালো।
— কি..!?
— জ্বী…! আমি আজ পর্যন্ত কোনো ছেলের সাথে প্রেম করিনি শুধু আপনাকে ভালোবাসবো বলে। আমার সব ভালোবাসা শুধু আপনার জন্য রেখে দিয়েছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সবসময় মনের মতো একজন স্বামী চেয়েছি। আল্লাহ আমার কথা রেখেছেন।

আমি অনেকটা আবেগের সুরে বললাম…
— আল্লাহর কাছে লাখোকোটি শুকরিয়া, বিয়ের আগে তিনি কোনো মেয়েকে ভালোবাসার সুযোগ করে দেননি।
— হুমম… এখন থেকে শুধু আমাকেই ভালোবাসবেন।
— আচ্ছা, ঠিক আছে…। কিন্তু তুমি আমাকে আপনি আপনি করছো কেন..?
— আপনি তো তুমি করে বলার অনুমতি দেননি।
— স্বামীকে তুমি করে বলার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়..? এখন থেকে আর আপনি নয়। শুধু তুমি…
— আচ্ছা, তুমি…

বৌয়ের হাতটি ধরার জন্য মনটা কেমন যেন আনচান করতে লাগলো। সাহস করে বলেই ফেললাম…
— তোমার হাতটা কি একটু ধরতে পারি..?

বৌ আবার হেসে দিয়ে বললো…
— তুমি এতো বোকা কেন হুম..!? বৌয়ের হাত ধরার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়..?
.
সাহস করে বৌয়ের হাতটা ধরেই ফেললাম। তারপর বললাম…
— আমি তোমার কাছে সারাজীবন বোকাই থাকতে চাই। আজ বোকা বলেই তোমার মতো একজন জীবন সঙ্গিনী পেয়েছি।

বৌ আমার হাত শক্ত করে ধরে রইলো। আমি মনেমনে আল্লাহকে লাখো কোটি শুকরিয়া জানালাম, তিনি আমাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহারটি দান করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্…!!

আরও পড়ুন >> বাসর রাতে মিষ্টি গল্প

আরও পড়ুন >> বাসর রাতের মিলনের গল্প

গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

The post স্বামী স্ত্রীর বাসর রাতের মজার গল্প appeared first on Amar Bangla Post.

লাল সালুর বাসর রাত (বাসর রাতের মজার গল্প ২০১৮)

$
0
0

বাসর রাত সম্মন্ধে আমি ধারনা পাই বাংলা সিনেমায়।

প্রায় সবগুলো বাংলা সিনেমার বাসর রাতের কাহিনী একই ছিল। এখন অবশ্য কী দেখায় তা জানি না।
বাংলা সিনেমায় দেখিয়ে আসছে রাজ্জাক শাবানা কীভাবে বাসর রাত শুরু করে। অবশ্য সেখানে বাসর রাতের শেষটা দেখায় না। নায়ক রাজ রাজ্জাক বাসর রাতে প্রবেশ করে। প্রবেশ করার আগে রাজ্জাকের বন্ধুরা তাকে জোর করে বাসর ঘরে ঠেলে ঢোকায়। এরপর রাজ্জাক ঢকঢক করে এক গ্লাস দুধ খায়। এরপরে ধীরে ধীরে খাটে অবস্থান রত শাবানার দিকে এগিয়ে যায়।

খাটের কাছে আসতেই শাবানা খাট থেকে নেমে পড়ে। এরপরে রাজ্জাকের পা ছুঁয়ে সালাম করে। রাজ্জাক তখন শাবানাকে বুকে টেনে নিয়ে বলে “তোমার স্থান আমার পায়ে নয়, তোমার স্থান এই বুকে” (অনেকটা বুকে আয় বাবা টাইপের। বাবা বলতে কেউ ইয়াবা বুঝবেন না)

আমিও ভেবেছিলাম আমার বাসর রাত সেই রকমই হবে। দিনের বেলায় বৌকে উত্তরা থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসলাম। আপনারা জানেন বিয়ের আগের রাতে ছেলেরা ঘুমাতে পারে না। এর কারণ হল বাড়ি ভর্তি মেহামান। আমার স্থান হয়েছে খাটের বাইরে। খাটের উপরে ছিল মামাতো ভাইয়েরা। এছাড়া ‘কাল কী হবে বলোনা’ টাইপের চরম রোমাঞ্চকর উত্তেজনা। ঘুম আসল ভোর চারটায়।
তাই পরদিন রাতে যখন ‘বাসর রাত’ এর সময় হল তখন চোখে মারাত্মক ঘুম।
জীবনের প্রথমবার বৌয়ের কাছে যাব, সে এক টান টান উত্তেজনা। এদিকে বাসায় একের পর এক মেহামান আসছে। সবাই বৌ দেখতে এসেছে। বৌ ও রোবটের মত সবার সাথে কথা বলে যাচ্ছে। একদল মেহামান বিদেয় হয় আরেকদল মেহামান আসে। শালার কপালটাই খারাপ! কাল পরশু আসলে কী হতো? বৌ তো একদিনের জন্য আসে নাই। এরপরে কি কেউ বৌ দেখতে পারবে না? এলাকার যে আন্টিটা আমাদের বাসার পথ জীবনেও মাড়ায়নি, সেই আন্টিও দেখি তার মেয়েকে নিয়ে বাসায় হাজির। এতদিন আন্টি এই মেয়েকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলেন?
শেষবার যখন মেহামান বিদায় নিল তখন রাত সাড়ে এগারোটা। আমি ভাবলাম “আমি পাইলাম, আমি উহাকে পাইলাম” এইবার বাসায় কোন অতিরিক্ত মেহামান নাই। এবার খেলা জমবে!
কিন্তু নতুন খেলা তখন সবেমাত্র শুরু। ঘরে অবস্থান রত মামাতো খালাতো বোনেরা তাদের নতুন ভাবীকে ঘিরে ধরল। তারা ভাবীর সাথে কথা বলেই যাচ্ছে। আমি বুঝলাম এরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। একজন আমাকে বলল “ভাইয়া আপনি ঘুমাতে যান। আমাদের গল্প শেষ হলে ভাবীকে ছেড়ে দিব। আমাদের খাট খালি আছে। দরকার হলে ভাবী আজ আমাদের সাথে ঘুমাবে। এরপর থেকে তো তাকে পাচ্ছেনই!”
আমি তখন ডারউইনের তত্ব বিশ্বাস করতে শুরু করলাম। এই মেয়েগুলোর ডিএনএ তে মনে হয় এখনো বান্দরের জ্বিণ রয়েছে। আমি কিছুই বলতে পারলাম না। আমি অসহায়ের মত আমার রুমে ঢুকলাম। এদিকে একটানা চুশ পায়জামা পরে পায়ের অবস্থাও বারোটা বেজে গেছে। লুঙ্গি পরব সেই অবস্থাও নেই। বাসর রাতে কি কেউ লুঙ্গি পরে? কিন্তু লুঙ্গি ছাড়া যে আমি ঘুমাতে পারব না? বৌ ছাড়তে পারব কিন্তু লুঙ্গি ছাড়তে পারব না। যাক লুঙ্গির বিষয়টা পরে ভাবা যাবে, আগে বৌকে কেমনে রুমে আনা যায় সেটা নিয়ে ভাবছি।

সারা জীবন দেখলাম শাবানা আগে রুমে ঢুকে বসে থাকে আর আমার ক্ষেত্রে উলটা! অর্থাৎ রাজ্জাকই রুমে ঢুকে খাটে বসে আছে!
আচ্ছা এরপরের ঘটনা কী উলটো ঘটবে? মানে আমার খালাতো বোনেরা আমার বৌকে জোর করে রুমে ঢুকাবে। এরপরে আমি গিয়ে সালাম ………
না! এ হতে পারে না।
অবশেষে রাত সাড়ে বারোটার দিকে আমার মা আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলেন। খালাতো মামাতো বোনদের কড়া ভাষায় যার যার যায়গায় গিয়ে ঘুমাতে বললেন। মেয়েগুলি মায়ের বকুনি খেয়ে সবাই উঠে দাঁড়াল। আমি ভেবেছিলাম এবার বুঝি আমার ‘বাসর রাত’ শুরু হবে। আমি প্ল্যান করছি এখন কীভাবে কী শুরু করব? হঠাত মশার কয়েলের বিজ্ঞাপনের কথা মনে পড়ল “তুমি আর আমি ছাড়া এই ঘরে কেউ নাই”! একটু পরে আমিও এই কথা বলতে পারব। কিন্তু বিধি বাম!…………..

যারা বাসর রাত সম্মন্ধে অভিজ্ঞ তারা ভাল করেই জানেন এই রাত সব সময় সুখের নাও হতে পারে। আমার যেহেতু ঐবারই প্রথম বাসর রাত তাই রাত বারোটায় প্যাঁচালে পড়ে গেলাম।
আমার মায়ের বকুনি খেয়ে মেয়েগুলি মায়ের রুম ছেড়ে দিয়েছে। ভাবলাম এইবার কোন দিকে যাইবা চান্দু? আমার রুম ছাড়া আর কোন রুম খালি নাই। ওরা দল বেঁধে সবাই আমার রুমে চলে এলো! এ যে আরেক প্যাঁচাল! আমি এতক্ষণ আরামে শুয়ে ছিলাম। এখন সেই আরামও শেষ। রুমে এসেই চিল্লাচিল্লিতে আমার শান্তি শেষ। একজন আমাকে জোর করে শোয়া অবস্থা থেকে বসিয়ে দিল। মেয়েরা আমার বৌ এর সাথে হাসাহাসি করে গল্প করতে লাগল। বিশেষ করে আমার ছোটবেলার কাহিণী বলা শুরু করল। টেনশনে ছিলাম, উলটাপালটা কিছু ফাঁস করে দেয় কিনা। আমি কিছুক্ষণ পর ‘নকল’ হাই তুলতে লাগলাম। এমন ভাব দেখাচ্ছি যেন বাসর রাতে বৌ না হলে কোন সমস্যা নাই, আমার সমস্যা শুধু ঘুমে!
এখানেও লম্বা আলোচনা শুরু হল। আলোচনার ভাব দেখে মনে হলো সারা রাতেও এই আলোচনা সভা শেষ হবে না। তিন দিন ব্যাপী আলোচনা সভার এটা প্রথম দিন। একে একে আলোচকরা বক্তব্য রাখছেন। এদিকে আমার বৌ ও হাই তুলছে। ওর হাইটা নকল না, আসল হাই। তারও ঘুম পাচ্ছে। কিন্তু ঘুম পেলে কী হবে? সে মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারছে না “আপুরা, তোমরা রুম থেকে ভাগো, আমি ঘুমাবো” কিন্তু অবলা নারীর মুখ ফোটে তো বুক থুক্কু বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না। সে যেমন কিছুই বলতে পারছিল না তেমনি আম অবলা পুরুষের মত কিছুই বলতে পারছি না। সবাই ভাববে ‘পোলার শরম নাই’!
এবারেও মা উদ্ধারকারী জাহাজ হামযার মত এগিয়ে এলেন। তিনি জানেন ছেলে এই বিয়ের জন্য ৩০ বছর ধরে অপেক্ষা করছে। এই ৩০ বছর ধরে যে জিনিসের জন্য অপেক্ষা করছে সেই জিনিস যদি নাইবা পায় তাইলে কেমনে কী? ওনার ছেলে বিয়ের জন্য বিদ্রোহী কোবতে লিখেছিল

“কারার ঐ লৌহ কপাট
ভেঙ্গে ফেল চৌকী ও খাট
ডাবল খাট রেখে আমি করবটা কী?
ওরে ও………”

আজ বিদ্রোহের ৩০ বছরের অবসান হলো। কিন্তু এখনো শান্তি চুক্তি হয় নাই।

মা এবার আগের চেয়ে কড়া ভাষায় বলল “তোরা এখনো কেউ ঘুমাসনি? মেয়েটার উপর (আমার বৌ) সারাদিন অনেক ঝড় গেছে, তাকে একটু শান্তিতে ঘুমাতে দিবি না।” মা আমার বৌয়ের কষ্ট দেখল অথচ ওনার ছেলের কষ্টটা দেখল না। একেই বলে জেন্ডার ডিস্ক্রিপেন্সি! নারী পুরুষ সমান অধিকার থাকলে মা এই কথা বলতে পারত না!
মা ড্রইং রুম থেকে এক বোতল পানি আর একটা গ্লাস এনে আমার রুমে রাখলেন। মা জীবনেও এই কাজটি করেন নি। এটা কি বাসর রাতের নিয়ম?
হঠাত করে মনে পড়ল, নায়ক রাজ্জাক তো এক গ্লাস দুধ খেয়ে বাসর রাতের ‘অনুষ্ঠান’ শুরু করে। আজ গরিব বলে দুধের বদলে পানি দিয়ে শুরু করতে হবে?

মা যাবার আগে মেয়েদেরকে আরেকবার বকা দিলেন “দ্রুত রুম ছাড়”
মায়ের সাহস পেয়ে আমিও বললাম “তোরা কি আমাকে ঘুমাতে দিবি না? দ্রুত রুম ছাড়।”
খালাতো বোন এবার আমাকে ধরল “আমাদেরকে ৫ হাজার টাকা না দিলে আমরা এই রুম থেকে যাব না!”
তার সাথে সাড়া দিয়ে বাকি মামাতো খালাতো বোনেরাও একই সূরে কথা বলল। আমি পড়লাম আরেক প্যারায়! এইডা আবার কুন বিচার?………

শুনেছি টাকার শোক সবচেয়ে বড় শোক। এখন দেখি কথা সইত্য। আমি বাসর রাতে বৌ ছাড়তে রাজী মাগার ৫ হাজার টাকা ছাড়তে রাজী না। পুলাপাইন আগে থিকাই আমারে কিপটা হিসাবে জানে। তাই ওরাও নাছোড়বান্দা। এরা কেউ রুম থেকে নড়বে না বলে পণ করল। কোথা থেকে মামাতো ভাইয়েরাও এসে হাজির হয়ে গেল। এখন ডিমান্ড বেড়ে গিয়ে ১০ হাজারে পরিণত হয়েছে। আমিও পণ করলাম ‘তুই আমার ইজ্জত পাবি কিন্তু টাকা পাবি না!”
এদিকে মায়ের অপেক্ষায় রইলাম, কোন সময় উনি এসে আমাকে উদ্ধার করবেন? কিন্তু মা ততক্ষণ ঘুমে! আমার আশা ভরসার মা জেগে থাকলে না হয় একটা কথা ছিল। এখন আমাকে উদ্ধার করবে কে? কবির ভাষায় “বিপদে মোরে উদ্ধার কর এ নহে মোর প্রার্থনা………… ” হঠাত মনে হল, বৌ ই আমাকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। সে যদি বলে তার ঘুম আসছে তাইলে পুলাপাইন এক সময় চলে যাবে, সেক্ষেত্রে টাকাও বাঁচল, বৌ ও পেলাম।
কিন্তু বৌ ওদের পক্ষ নিল। বলল “দিয়ে দাও না ওদের কিছু টাকা!” উল্লেখ্য, বিয়ের আগে মাস খানেক বৌয়ের সাথে প্রেম করেছিলাম। তখন থেকে আমাদের মাঝে ‘তুমি-তুমি’ সম্পর্ক ছিল।
বৌয়ের কথা শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম। বলে কী এই মেয়ে? ঘরের শত্রু বিভীষণ! কোথায় আমাকে রক্ষা করবে তা না করে উলটো আমাকে বিপদে ফেলছে!

বৌয়ের কথা শুনে পুলাপাইনের উৎসাহ আরো বেড়ে গেল। ওদের টাকা দিতেই হবে। রাত তখন দেড়টা! রাত পোহাবার আর কতে দেরী পাঞ্জেরী?
আমি ওদেরকে একশ টাকা অফার করলাম। তারা কোনমতেই ৪ হাজারের নিচে নামবে না। যাক তবুও লক্ষণ ভালো, ওরা ওদের দাবী থেকে ১ হাজার টাকা কমিয়েছে। যেহেতু গার্মেন্টস বায়ারদের ডিল করতে হয়, যেহেতু শ্রমিকদের সাথেও ডীল করতে হয় তাই মোটামোটি একটা ধারনা হয়েছে কীভাবে দামাদামি করতে হয়।
এরপরে আমি ২ শ টাকা প্রস্তাব করলাম। ওরা দাবী করল ৩৫০০, যাক আরো ৫০০ টাকা কমেছে।
আমার বৌ হঠাত করে বলল “ওদেরকে ২ হাজার টাকা দিয়ে দাও। টাকা কোথায় রেখেছ দেখি” বলে এদিকে সেদিক হাতড়াতে লাগল। এ কেমং বিচার? বৌ বাসায় আইতে না আইতে আমার টেকা খোঁজে। ভাগ্য ভাল বৌ এই ঘরে আসছে মাত্র কয়েক ঘন্টা। রুমে কোন চিপা চাপায় টাকা রাখি তা জানে না। জানলে বিপদ ছিল।
আমি বললাম, ক্যাশ টাকা হাতে নাই। সব মিলিয়ে মনে হয় ৫০০ টাকা আছে। বাকী টাকা আব্বুর কাছে আছে। তোরা চাইলে আব্বুকে ডেকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বাকী টাকা চাই!
সবাই এর মুখ তার মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। বুঝেছে, কাজ হবে না। শেষমেষ তারা ৫০০ টাকায় রাজী হলো।
৫০০ টাকা হাতে পেয়ে রুম থেকে বের হবার আগেও তারা ১০ মিনিট ছিল। যাওয়ার আগে এক বোন বলল “আমরা কিন্তু রুমে বাইরে থাকব। সুতরাং সাবধান!”
ওরা রুম থেকে বের হতেই আমি উঠে গিয়ে দরজা বন্ধ করলাম!…….

দরজা বন্ধের পরে মনে হল জীবনে একটা কামের কাম করতে পারছি। আমি আর আমার নয়া বৌ একই সাথে, আশেপাশে ডিস্টার্ব করার মত কেউ নেই। আমি রাজ্জাকের মত ধীর পায়ে খাটের দিকে আগাইলাম। খেয়াল করলাম গলা শুকিয়ে গেছে! এতক্ষণে বুঝলাম মা কেন পানির বোতল ও একটা গ্লাস রুমে দিয়ে গেছেন। কারন এক গ্লাস পানি খাওয়ার জন্য রুমে গেলে পুলাপাইন আবারো রুম দখল করবে। তখন মিনিমাম ১ হাজার টাকা ছিনতাই হয়ে যাবে।
আমি এক গ্লাস পানি খেলাম।
পানি খেয়ে বৌয়ের দিকে এগোলাম। মনে মনে রাজ্জাক শাবানার সিনেমার দৃশ্যের কথা মনে পড়ছিল। হঠাত বৌ উঠে দাঁড়াল। এইতো ঘটা মিলে যাচ্ছে। বৌ এখন কাছে আসবে, এরপরে পা ছুঁয়ে সালাম করবে, এরপরে আমি…………..
বৌ কাছে এসে বলল “সারাদিন এক কাপড়ে এই গরমের মধ্যে ছিলাম। এখন গোসল করে আরাম করে ঘুমাব। তোয়ালে কোথায় রেখেছ? আর বাথরুমে কি শ্যাম্পু আছে?”
আমি ভাবলাম কী আর বৌ এইডা করল কী?
আমি তোয়ালে এনে দিলাম। বাথরুমে ছেলেদের শ্যাম্পু আছে, ক্লিয়ার শ্যাম্পু। মেয়েদেরটা নাই। বৌকে বললাম “আপাতত এটা দিয়েই শ্যাম্পু করো।”
বৌ একটা সূতী শাড়ী হাতে নিয়ে বাথরুমে গোসল করতে গেল।
আমি রুমের বাইরে অপেক্ষায় রৈলাম।
আমি জানতাম মেয়েদের গোসল অনেক লম্বা সময়ের জন্য হয়। কিন্তু এত লম্বা সময়ের জন্য হয় সেটা জানতাম না। এদিকে বাইরে আমার মামাতো ভাই বোনদের ফিসফাস ও হাসি ঠাট্টার শব্দ শুনতে পাচ্ছি। মনে হয় ওরা ভাবছে আমরা কী না কী করে ফেলেছি! কিন্তু মানবতা এখন বাথরুমে আটকে গেছে! খাটে বসে থাকা অসহায় ভাইটির জন্য কয়টা লাইক হবে ফ্রান্স?
বৌ গোসল করতেছে তো করতেছে। আর এদিকে আমি চাতক পক্ষীর মত অপেক্ষা করতেছি তো করতেছি।
অবশেষে বৌয়ের দয়া হৈল। বৌ বাথরুম থেকে গোসল শেষ করে বের হলো। বোয়ের শরীর থেকে পুরুষে গন্ধ বেরোচ্ছে! কারণ সে ছেলেদের শ্যাম্পু ইউজ করেছে!! এটা কোন ব্যাপার না, আমিও সানসিল্ক নামের লেডিস শ্যাম্পু ইউজ করি। তাতে কী হয়েছে? নারী পুরুষ সমান অধিকার!
এবার বুঝি আমাদের বাসর রাত শুরু হবে? বৌ দেখি মাথা মুছতেছে তো মুছতেছেই। মানুষ এতক্ষণ ধরে মাথা মোছে? রাত ততক্ষণ ২ঃ৩০ টা বাজে। আমরা কখন বাসর রাত করব?
কোনো সিনেমায় দেখায়নি তো, বোউ বাসর রাতে গোসল করতেছে আর নয়া জামাই তা দেখতেছে! আমি পা টিপে টিপে বৌয়ের কাছে গেলাম। যেহেতু বেশ কিছু দিন প্রেম করেছি তাই আগে থেকে অনেকটা ফ্রী ছিলাম। দেখলাম কৃত্তিম মেকাপ ধোয়ার পরে বৌকে অনেক সুন্দর লাগছে। আমি বৌয়ের চুলে হাত দিতে চাইলাম। বৌ বলল “তুমি গোসল করেছ?”
আমি আমতা করে বললাম “সন্ধ্যায় একবার করেছি”
তখন মে আসের ঠাডা পড়া গরম চলছিল। দিনের ৪/৫ বার গোসল করলে শান্তি পেতাম। বৌ বলল “আরেকবার গোসল করে আসো। তাইলে শান্তিতে ঘুমাতে পারবা।”

এতদিন কবিতা গল্পে পড়তাম, মানুষ নাকি বাসর রাতে গল্প করেই কাটায়। আর বৌ বলছে “শান্তিতে ঘুমাতে”! এ কেমং শান্তি?
আমি ঝড়ের গতিতে গোসল করলাম। বাথরুম থেকে বের হবার পরে বৌ বলল “তুমি কখন গোসল করবে? দ্রুত গোসল করো”
আসলে বৌয়ের ধারনা ছিল না যে মানুষ এত দ্রুত গোসল করতে পারে! আমি ভেজা চুল দেখিয়ে বললাম এই দেখ আমার চুল ভেজা। বৌ আমার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাল।
এবার খাটে বসলাম। এতক্ষনে বোঝা শেষ যে আমার জীবনে রাজ্জাক শাবানার মত বাসর রাত হবে না। আমাকে চেঙ্গিস খানের মত যুদ্ধ করেই আজকের রাত টা কাটাতে হবে। এজন্যই কবি বলেছেন “পরের মাইয়া পরের জমি বাসর রাইতে বৌটা কৈ……?”

“তুমি দিওনাকো বাসর রাতের বাত্তি নিভাইয়া”
ভাবছিলাম এই পর্বে বউ এই গান গেয়ে বাসর রাতের শুভ উদ্ভোধন করবে। সেই উদ্দেশ্যে আমি খাটের দিকে গেলাম। এবার বৌ উঠে দাঁড়াল। ভাবলাম, এবার বুঝি শাবানার মত পায়ে সালাম করার জন্য নিচু হবে। আর আমি তার কাঁধ ধরে উপরে উঠাব। কিন্তু সে আবার গেল বাথরুমে দিকে? ঘটনা কী? আবার গোসল করবে নাকি?
বাথরুমে ঢুকে বলল “দাঁত ব্রাশ করব। টুথ পেস্ট আছে কিন্তু আমার ব্রাশ কই?”
“তুমি এই বাসায় নতুন, তোমার ব্রাশ তো এখানে থাকার কথা না। তোমার লাগেজে আছে।”
বৌ এবার লাগেজ খুলতে গেল। ইয়া বড় লাগেজ টুথ ব্রাশ খোঁজা আর খড়ের গাদায় টুথ পিক খোঁজা একই কথা। এটা সেটা উল্টিয়ে টুথ ব্রাশ খুজল। এবার তার নজর পড়ল লাগেজের একটা শাড়ির দিকে। শাড়ীটা খুলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে লাগল। আমি বললাম “টুথ ব্রাশ খোজা কি শেষ?”
বৌ বলল “রাখো তোমার টুথ ব্রাশ। এই শাড়ীটা অনেক সুন্দর। এটা দেখি। আমি এখন এই শাড়ীটা পড়ব।”
জিগাইলাম এত রাইতে শাড়ী পরবা?
“ক্যান? রাইতে বেলায় শাড়ী পরা কি নিষেধ?”
আমি কিছুই কইলাম না। বৌ শাড়ী নিয়া বিজি হয়ে পড়ল।

কাহিনী এখানেই শেষ

লেখকঃ ফখরুল ইসলাম (লালসালু)

আরও গল্প….

০১ বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প

০২ স্বামী স্ত্রীর মজার গল্প ১

০৩ সকল বাংলা গল্প দেখুন

গল্পটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন। 

The post লাল সালুর বাসর রাত (বাসর রাতের মজার গল্প ২০১৮) appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতে বিড়াল মারার গল্প-(বাংলা গল্প ২০১৮)

$
0
0

গল্প : বাসর রাতে বিড়াল মারা ✍লেখক :: দুরন্ত রঙ পেন্সিল✍ ক্যাটাগরি :: গল্প টপিক্স :: বাসর রাতের গল্প টুসি! মানে বিলাই!😂😂✏ . সেদিন বিয়ে বাড়িতে গেলাম। সবাই দেখি টুশিরে খুজতেছে! অকি! তবে কি হলুদের রাইতেই মাইয়া গুম! বিরানি হইবেতো!! কদ্দুর পর দেহি ম্যাও ম্যাও কইরা এক বিলাই বাইর হইছে! রাইতের কাল বিলাই দেইখা দিলাম দৌড়ানি! …

The post বাসর রাতে বিড়াল মারার গল্প-(বাংলা গল্প ২০১৮) appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতে স্ত্রীকে দেওয়া স্বামীর উপদেশ

$
0
0

আজ পারভেজ ও মিম এর বাসর রাত। পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে হয়েছে। মিম শিক্ষিত মেয়ে এবং পারভেজ পড়ালেখা শেষ করে নিজেদের পারিবারিক বসা দেখাশুনা করে। রাত ১২:৩০ মিনিট। পারভেজ বাসর ঘরে আসলো সবাই কে বিদায় জানিয়ে। মিম খাট থেকে নেমে পারভেজ এর পা ছুয়ে সালাম করলো। পারভেজ মিম কে উঠিয়ে খাটের উপর বসাল।পারভেজ মিম কে …

The post বাসর রাতে স্ত্রীকে দেওয়া স্বামীর উপদেশ appeared first on Amar Bangla Post.

দ্বিতীয় বাসর-(মুসলিম স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প)

$
0
0

গল্পঃ দ্বিতীয় বাসর লেখিকাঃ শারমিন রহমান –পরী শুনছো? –জ্বী শুনছি বলেন।। –শপিং এ চলো। যেটা পছন্দ আর যতটা পছন্দ ততটা জামা,শাড়ি,গয়না সব কিনে দিবো আমার বউটাকে। –এতো জামা,শাড়ি দিয়ে আমি আর কি করবো? বোরখা ছাড়া তো অন্য কিচ্ছু পরতে দাওনা। আমি তো ভাবলাম বিয়ের পর আমাদের প্রথম ঈদেও বোরখা কিনে দিবা। –আহহা বুঝেনা গো! শাড়ি ড্রেস …

The post দ্বিতীয় বাসর-(মুসলিম স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প) appeared first on Amar Bangla Post.

Viewing all 40 articles
Browse latest View live