Quantcast
Channel: বাসর রাত – Amar Bangla Post
Viewing all 40 articles
Browse latest View live

ফুলশয্যা বা বাসর রাত

$
0
0

দুটি তরুণ বয়সের নরনারী হয়তো খানিকটা মৌখিকভাবে পরিচিত হয়ে অথবা একেবারেই অপরিচিত হয়ে মিলেছে ও সমাজের অনুমতিক্রমে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়ে প্রথম রাত্রিতে এক নিভৃত ঘরের মধ্যে দুজনে এক বিছানাতে শুয়ে রাত্রি কাটাবার ছাড়পত্র পেয়েছে। এরই নাম ফুলশয্যা। দুজনেই মনে মনে জানে যে ওদের মধ্যে কোন সম্পর্কটি দাঁড়ালো, আর এও তারা জানে যে আজ থেকে সেই সম্পর্কটি সারা জীবন বজায় থাকলো। কিন্তু আজই প্রথমে কেমন করে যে সেই সম্পর্কের গোড়াকার পত্তনটি শুরু করতে হবে, কেমন করে সেই দিক দিয়ে আলাপটি আরম্ভ করতে হবে, সে সম্বন্ধে কেউই কিছু জানে না। ঐ একটি রাত্রি তাই প্রত্যেক দম্পতির পক্ষে মহা সমস্যার রাত্রি।

পৃথিবীর সকল দেশেই আছে এই ফুলশয্যার রাত্রি। আচারে আচরণে অনেক রকমের তফাৎ থাকতে পারে, কিন্তু বিবাহিত প্রত্যেক নরনারীকেই প্রথম মিলনের এই শুভ রাত্রিটি অনিশ্চিত ভাবে যাপন করতে হয়। যাদের কোর্টশিপ হয়ে বিয়ে হয়েছে তাদের অবশ্য আগেকার আলাপটা ঝালানো থাকে, যাদের তা হয়নি তাদের কোনো আলাপই নেই। কিন্তু কোর্টশিপ হলেও তার অর্থ মাত্রই খানিকটা কাব্যময় ভালোবাসা, কল্পনা বিলাসের কিছু আদান প্রদান, আর হয়তো কিছু কিছু পূর্বরাগের সূচনা। বাস্তবের দিক দিয়ে কোনো প্রস্তুতি নেই। অন্ততপক্ষে সাধারণ ভাবে এই কথাই ধরে নিতে হবে।

এরা কী করবে? কেমন ভাবে আলাপ শুরু করবে? হয়তো স্বামীই আপন অধিকারের দাবীতে প্রথম কিছু প্রস্তাবনা করবে। কিন্তু গোড়া থেকেই তার মনে রাখা চাই যে তার স্ত্রী নিতান্ত কাঠের পুতুল নয়। ওর সঙ্গে এক ঘরে শোবার অধিকার পেয়েছে বলেই যে ওর গায়ে হাত দেবারও অধিকার রয়েছে, গোড়াতে এমনও মনে করা ঠিক নয়। প্রত্যেক অধিকারটি আগে অর্জন করা চাই। সেই হিসাবে গোড়া থেকেই তাকে নতুন ধরনের কোর্টশিপ শুরু করতে হবে। প্রথম বাক্যটি থেকেই নিজের একটা আন্তরিকতা দেখাতে হবে। আমাকে তোমার পছন্দ হলো কিনা, বাপের বাড়ির জন্য মন কেমন করছে কিনা, এই সব ছেলেমানুষি প্রশ্ন এখনকার দিনে হাস্যকর।

আমরা গোড়াতেই অনেক ভুল করি। প্রথম কথা, বিয়ে করতে যাবার সময় সেই যে প্রাচীন প্রথানুযায়ী বলা হয় “দাসী আনতে যাচ্ছি”, তারই অহস্কারটা কোনো কোনো নতুন স্বামীদের মনে এখনও বিশেষভাবে ক্রিয়া করতে থাকে। তারা এটুকু একবারও ভেবে দেখেনা যে স্ত্রীকে ঘরে আনা মাত্রই তাকে দাসী করা সেকালে হয়তো চলতো, কিন্তু একালে নয়। স্ত্রী দাসীও হতে পারে, ক্রীতদাসীও হতে পারে, কিন্তু সেটা তার স্বেচ্ছাতেই হবে। কারো দাবীতে নয়। স্ত্রীকে স্বামীর বাধ্যই হতে হয়, কিন্তু সেটা স্বামীর অধিকারের জোরে নয়, সেটা সে পরে আপনিই হবে স্বামীর আন্তরিক ব্যবহারে।

 

এমনি ভাবেই স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম থেকে ব্যবহার করা চাই। কোনো কোনো স্বামী ফুলশয্যার রাত্রি থেকেই অধিকারের দাবীতে অনেক অত্যাচারও করে ফেলে। এটা হয় প্রায়ই তাদের অজ্ঞতাবশত। এইটুকুই কেবল্ব তাদের ধারণা রয়েছে যে আজ থেকে ঐ স্ত্রীর সঙ্গে আমার সঙ্গমের অধিকার পাকা হলো, অতএব আজই আমি তার ন্যায্য সুযোগ নিতে পারি। এখানে যে হৃদয়ের কোনো অস্তিত্ব থাকতে পারে, স্ত্রীকে আগে স্ত্রী-সম্পর্ক মানিয়ে নেবার প্রশ্ন থাকতে পারে, এই সহজ কথা তাদের মাথা ঢোকে না।

ভেবে দেখে না যে স্ত্রী কাছে এসে শুলেও তার হৃদয়টিকে আগে দখল করতে হবে।

একে তো অনিশ্চিতের ভয়ে তার বুকটা আপনা থেকেই দুরুদুরু করছে, তার উপরে স্বামী লোকটা যে কেমন এটুকুও বুঝে নেবার সময় না দিয়ে যদি একেবারেই সঙ্গমে প্রবৃত্ত হওয়া যায়, তবে সেটা হয়ে পড়ে নিছক বলাৎকার। স্ত্রীরূপে যে মেয়েটি চিরজীবনের স্থায়ী সঙ্গিনী হতে চলেছে, তার সঙ্গে প্রথম দিনই এমন বিবেচনাশূণ্য ব্যবহার করতে যাওয়া নিতান্তুই কাঁচা কাজ। এতে তার মন স্বামীর প্রতি চিরকালের জন্য বিমুখ হয়ে যায়। তারপর থেকে ভবিষ্যতে যদিও স্বামীর যেটুকুতে অধিকার আছে সেটুকু তাকে দিতেই হয়, কিন্তু দেয় সে নিতান্ত নির্লিপ্ত প্রাণহীন ভাবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন একটা হৃদয়হীন সম্পর্ক দাঁড়িয়ে যেতে দেওয়া সব চেয়ে অনিষ্টকর। একটু বিবেচনার দ্বারা হৃদয়ের দিক দিয়ে গোড়াপত্তন করলেই এমন বিশ্রী অবস্থাটা ঘটতে পারে না। অথচ তেমন কৃতিত্ব থাকলে এক রাত্রিতেই একটি সম্পূর্ণ অপরিচিত মেয়েকে সম্পূর্ণ অন্তরঙ্গ করে নেওয়া যায়। আর কিছু নয়, গোড়া থেকেই তেমনি ভাবে আলাপ করতে হয়, এবং ধীরে ধীরে খুব সন্তর্পণে অগ্রসর হতে হয়।

আগেকার অধ্যায়ে যে পূর্বরাগ ও প্রস্ততির বিভিন্ন ধাপের কথা বলা হয়েছে, সে সমস্ত একটি রাত্রির মধ্যেই পার হওয়া সম্ভব, যদি আগে স্ত্রীর অন্তরটিকে তেমন সম্পূর্ণ রূপে জয় করে নেওয়া যায়। নারীর অন্তর যতই বিমুখ কিংবা যতই আড়ষ্ট হোক, আন্তরিক সহানুভূতিসূচক প্রেমের আহ্বানে তাকে সাড়া দিতেই হবে। তবে প্রেমের সেই মিষ্ট স্বরটি স্বামীর কন্ঠে ধ্বনিত হওয়া চাই, ব্যবহারে তার সাদর আবেদন থাকা চাই। প্রেম অতি দুর্লভ বস্তু, কিন্তু এমনি ভাবেই হৃদ্যতা দিয়ে তার সূচনা ঘটাতে হয়, তবেই সে প্রেম যথা সময়ে দুই দিক থেকে সত্য হয়ে উঠে। দেহযন্ত্রকে উপভোগ করবার অধিকার দিতে স্ত্রী নিশ্চয়ই বাধ্য, কিন্তু সেই দেহযন্ত্রটির ভিতর যে একখানি মানবধর্মী মন বিরাজ করছে, সে সম্বন্ধে খেয়াল না থাকলে চলবে কেন? স্বামীর অধিকারটুকু নিতে হলেও এমন ভাবেই তা নেওয়া দরকার যাতে স্ত্রীর মনে হয় যে আমিই ওটুকু  স্বেচ্ছায় দিলুম। আপনা থেকে আত্মসম্পদ দানের এই যে আনন্দ , এর সুযোগটুকু থেকে যেন সে কখনই বঞ্চিত না হয়।

নবপরিণীত স্ত্রী-পুরুষের সম্পর্ক অনেকটা যেন কোনো নতুন রোগীর সঙ্গে ডাক্তারের সম্পর্কের মতো। নতুন রোগী ইতিপূর্বে ডাক্তারের নামটাই হয়তো শুনেছে, কিন্তু সে নিজে তাকে চেনে না। বাধ্য হয়ে ডাক্তারের হাতে দেহরক্ষার ভার দিতে এসেছে, এমন কি জীবন রক্ষার দায়িত্বও তার থাকবে। কিন্তু নিজেকে অজানার হাতে সঁপে দিতে গিয়ে ভয়ে বুক তার কাঁপছে। না জানি কি কটু ওষুধ খাওয়াবে, কি কঠিন রকমের ইঞ্জেকশন লাগাবে। এমনি একজন রোগি পেলে ডাক্তার আগে আশ্বাস দিয়ে আগ্রহ দেখিয়ে তার অন্তরটিকে সম্পূর্ণ জয় করে নেয়। তার পরে তাকে যতই কটু ওষুধ খাওয়াক আর যতই ইঞ্জেকশন দিক, কিছুতেই তার খারাপ লাগে না। স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর প্রতি ঠিক এমনি ব্যবহারই করতে হবে। এর জন্য যতখানি প্রয়াসের প্রয়োজন সেটুকু প্রত্যেক স্বামীকেই করতে হবে। নবীনা বধূটি একজন অপরিচিত পুরুষের কাছে শুতে এসেছে, এমন ঘটনা তার জীবনে কখনো ঘটেনি। ভয়ে সে স্তন্তিত হয়ে আছে। প্রথমেই তার মনের সেই ভয়টি ভেঙ্গে দিতে হবে। সোজাসুজি সহৃদয় কথাবার্তায় তার সঙ্গে আলাপ করতে হবে, বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলতে হবে, তার মনে খানিকটা আস্থা জম্মাতে হবে। তাকে ভালো করে জানিয়ে দিতে হবে যে স্বামী মানে ব্যাঘ্রজাতীয় জানোয়ার নয়। সে একজন ভালোবাসবারই মতো চমৎকার মানুষ। এই স্বামীর কাছে স্নেহ আদর যত্ম যথেষ্টই পাওয়া যাবে, এমন কি তার  কাছে অনায়াসে আবদার করাও চলবে। এইটুকু আস্থা প্রথমে তার মনে এনে ফেলতে পারলে তখন ধীরে ধীরে নবপিণীতা বধূকে আরো অধিক মাত্রায় জাগিয়ে তুলতে পারা যায়, তার গায়ে স্বচ্ছন্দে হাত দেওয়া যায়, মুখে চুম্বন করা যায়, যৌন আলিঙ্গনেও আহ্বান করা যায়। আপন বুদ্ধি থেকে যতটুকু সে শিখেছে, আর পরস্পরের আলোচনা থেকে যতটুকু সে জেনেছে, তা ছাড়া বই পড়া, বায়স্কোপ দেখা, সখীদের মুখে শোনা প্রভৃতি তো আছেই—এই সমস্ত টুকরো টুকরো জ্ঞানলাভের দ্বারা স্পষ্ট করে কিছু জানা না থাকলেও কতকটা অনির্দিষ্টভাবে সে প্রস্তুত হয়েই রয়েছে। তাকে একটু অভয় দিয়ে খানিকটা হৃদ্যতার আবহাওয়া এনে ফেলতে পারলে তখন অনেক কিছুই সম্ভব। প্রকৃতি তার যৌন অঙ্গ সমূহকে যে ক্রিয়ার উপযোগী করে প্রস্তুত রেখেছে, তাইতে তাকে দক্ষতার সঙ্গে নিয়োজিত করতে পারলে তখন কিছুই কঠিন হবে না।

কিন্তু যদি প্রথম রাত্রেই কোনো সাড়া মেলা সম্ভব না হয়, তাতেও অধৈর্য হতে নেই। কিছুমাত্র বিচলিত না হয়ে ধৈর্য ধরে অপর একটি সার্থক ফুলশয্যার রাত্রির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। হয়তো কিছুকাল পর্যন্ত তাতে বিলম্বও হতে পারে। হয়তো সেই স্ত্রী কোনো কারণে নিতান্তই বিমুখ, হয়তো কিছুতেই সে নিজের অনাসক্তি দূর করতে পারছে না, স্বামীর সংস্পর্শ সে মোটে সহ্য করতে পারছে না। এমন যদি হয় তাহলে স্বামীকে কিছুকালের জন্য ধৈর্য ধরতেই হবে। স্নেহও দেখাতে হবে, সহানুভূতিও দেখাতে হবে, সকল দিক দিয়ে বন্ধুত্বকে প্রগাঢ় করে তুলতে হবে, কিন্তু তীব্র অনিচ্ছার উপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে গিয়ে বারে বারে অপদস্থ হওয়া সমীচীন হবে না। অন্তত কিছুকালের জন্য এমন একটা ভাব দেখাতে হবে যে তোমার যে জিনিসে অনাসক্তি, সে জিনিস আমিও চাই না। এতেই যথেষ্ট কাজ হবে। প্রকৃতি তখন অন্য দিক দিয়ে কোনো এক অদ্ভুত উপায়ে স্ত্রীর মনটিকে অনুকূল করে তুলবে এবং তারই লক্ষণ গুলি ক্রমশ ভাবে ভঙ্গিতে প্রকাশ পেতে থাকবে। তখন আর ধৈর্য ধরে বেশি অপেক্ষা করবার প্রয়োজন হবে না।   

কিন্তু এখানে আরো একটি কথা আছে। স্বামী মানে ব্যাঘ্র জাতীয় জীব নয়, কিন্তু সে যে ভেড়া জাতীয় জীবও নয়, এও জানিয়ে দেবার দরকার হতে পারে, এমন কি ফুলশয্যার রাত্রিতেই। কোনো কোনো স্বামী যেমন না বুঝে অত্যাচারী হয়, কেউ কেউ তেমনি আবার না বুঝে কাপুরুষও হয়। এখানে আমরা যাকে কাপুরুষতা বলছি সেটা সাহসের দিক দিয়ে নয়, সাধারণ পৌরুষের প্রকাশের দিক দিয়ে। এমন পুরুষও আছে যারা অন্য সময়ে ঠিক পুরুষেরই মতো, কেবল স্ত্রীলোকের কাছে গেলেই তাদের চেয়েও কোমল হয়ে নিতান্ত যেন অনুগতের মতো ভাবখানা প্রকাশ করতে থাকে। এটাও করে তারা অজ্ঞাতবশত, ভাবে যে এমনি ব্যবহার করলে বুঝি সমুচিত শিভ্যালরি প্রকাশ করা হয়। যারা নেহাৎ ভালমানুষ প্রকৃতির লোক তারাও এমনি ব্যবহারে স্ত্রীকে একটা অনাবশ্যক প্রাধান্য দিতে যায়। এতে মনস্তত্বের দিক দিয়ে দুই পক্ষেরই ভুল হয়। আজকালকার বধূরা যথেষ্ট বয়স্থা, বুদ্ধিমতি, চতুরা। সুযোগ পেলেই তারা কিছু প্রাধান্য করতে অর্থাৎ পুরুষের উপর কর্তৃত্ব নিতে প্রলুদ্ধ হয়ে ওঠে। বলা বাহুল্য এতে কোনো পক্ষেরই শেষ পর্যন্ত সুখ নেই। পুরুষের দেহ ও মনোবৃত্তির গঠন হয়েছে অধিকার করবার উপযোগী, আর নারীর দেহ মনের গঠন হয়েছে অধিকৃত হবার উপযোগী। পুরুষ সর্বাংশে পুরুষ, আর নারী  সর্বাংশে নারী হলেই সব দিকে একটা সামঞ্জস্য রক্ষা হয়। এর উল্টোপাল্টা করতে গেলেই তার থেকে অশান্তি দেখা দেয়। বিপরীত অভিনয় হচ্ছে দেখলেই তৎক্ষণাৎ সাবধান হতে হবে। বিকৃতির সৃষ্টি হচ্ছে দেখলেই তাকে সময় থাকতে নির্মূল করতে হবে। যদি বাঁধা আসে নারীর দুর্বদ্ধির দিক থেকে, হয়তো তার অন্যরকম মতলব থেকে, ভয় অথবা অপরিচয় অথবা অপ্রস্ততির দিক থেকে নয়, তবে পুরুষের পক্ষে একটু জোরের সঙ্গেই সেই বাধাকে দূর করতে হবে। এখানে জোরের কথা বলছি অতি সন্তর্পট্রে, কারণ এ জোর নিষ্ঠুর অত্যাচারীর পীড়ন হলে চলবে না। এটুকু হওয়া চাই সহানুভূতি-সম্পন্ন চিকিৎসকের বাহ্যিক জোর খাটিয়ে চিকিৎসা প্রয়োগ করার মতো। অনেক মেয়েদের মনের একটি গূঢ়তত্ব এই যে তারা এই সকল বিষয়ে পুরুষের পক্ষ থেকে একটু জোর প্রয়োগ করাই পছন্দ করে। নির্বিরোধে অধিকারটি সঁপে দিতে তারা খুব উৎসুখ হয়না। তারা চায় অধিকারী জোর করে প্রাপ্য আদায় করে নিক, তবেই বোঝা যাবে যে দেয় জিনিসটার দাম কিছু বেশি।

সুতরাং সকল মেয়ের সঙ্গে একই রকম ব্যবহার চলে না। আগে বুঝে নিতে হয় মেয়েটির প্রকৃতি কেমন। আর স্ত্রীকেও বুঝে নিতে হয় স্বামীর প্রকৃতি কেমন। প্রথম রাত্রি থেকেই এই বোঝাবুঝির শুরু। গোড়ায় ভুল বুঝে ফেললে ঐ একদিনের ভুলে সারা জীবনই ভুল হতে থাকতে পারে।

কোনো এক ভদ্রলোকের উপর্যুপরি দুই দফা দুটি ফুলশয্যার অভিজ্ঞতার কথা আমরা জানি। যখন প্রথম বারে একটি বিবাহ হয় তখন তার বয়স ছিল কম। স্ত্রীলোকের সঙ্গে সেই প্রথম সঙ্গমসুখ লাভ করবার সুযোগ মিলেছে, এই আনন্দেই তিনি আত্মহারা। শুনেছিলেন যে কৃত্রিম উপায়ে যৌনসুখ পাওয়ার চেয়ে স্ত্রীসঙ্গমে চারগুণ বেশি সুখ লাভ হয়। সেই সুখটি তিনি ফুলশয্যার রাত্রিতেই উপভোগ করতে চাইলেন। স্ত্রীকে অনেক ভোলালেন, আদর করলেন, নানারকমে তুষ্ট করতে থাকলেন। স্ত্রী প্রথমে যথেষ্ট ভয়ে ভয়েই ছিল, তার পর দেখলো লোকটি নিতান্তই অনুগত। অনায়াসে এর উপর একটু প্রাধান্য করা চলতে পারে। ভদ্রলোক দ্বিধায় একেবারে চুপসে গেলেন, লজ্জায় আর কোনো রকম প্রয়াসই করতে পারলেন না। কিছুকাল পরে তিনি সব কিছুই উপভোগ করলেন, কিন্তু সেই প্রথম ফুলশয্যার রাত্রে স্ত্রীর সেই কর্তৃত্বভাবটুকু যেন প্রচ্ছন্নভাবে তাদের দাম্পত্য  জীবনের মধ্যে থেকেই গেল।সেই প্রথম স্ত্রী যতদিন বেঁচে ছিল তত দিন তিনি সুখী হতে পারেন নি। কয়েক বছর বাদে স্ত্রীটি হঠাৎ মারা গেল। আবার তাকে একটি বিবাহ করতে হলো। আবার নতুন ফুলশয্যা। কিন্তু প্রথম ফুলশয্যার প্রত্যেক কথাটি তাঁর স্মরণে ছিল। এবারকার স্ত্রীর সঙ্গেও প্রথমে তিনি আলাপ আপ্যায়ণ যথেষ্টেই করলেন। তাঁর মনটি একটু নরম হয়েছে দেখেই আর কালবিলম্ব না করে তিনি যৌন বাসনা পূর্ণ করতে অগ্রসর হলেন। অপর পক্ষ থেকে যথেষ্টই বাঁধা নিষেধ আসতে থাকলো, তাতে তিনি একটুও বিচলিত হলেন না। কিন্তু বাধাবিঘ্নের ভিতর দিয়ে কোনো কাজই সুশৃঙ্খলে সম্পন্ন করা যায় না। লিঙ্গটি যোনিমধ্যে প্রবেশ করাতে গিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনায় যোনির বাইরে কাপর চোপড়েই তাঁর বীর্যপাত হয়ে গেল। তথাপি তিনি বুঝলেন যে এতেও হলো তাঁর জয়। এর ফলে পরবর্তী জীবনে তিনি সুখী হয়েছেন। অনেকে মনে করে সঙ্গম করতে গিয়ে তাঁর আগেই কাপড়ে স্খলন হয়ে যাওয়া খুব একটা লজ্জার বিষয়। কিন্তু বাস্তবিক তা নয়। নতুন যৌন সম্পর্কের প্রথম দিকে অত্যধিক উত্তেজনায় এটা অনায়াসেই ঘটতে পারে। প্রথম ফুলশয্যার রাত্রে কিংবা প্রথম কয়েক বারের সঙ্গম প্রচেষ্টায় অনেকেরই এটা হয়। উত্তেজনা হঠাৎ চরম শীর্ষে উঠে গেলে তাঁর একটা আশু নিবৃত্তি হতেই হবে, তখনো পর্যন্ত সঠিক সঙ্গমক্রিয়া শুরু হোক বা নাই হোক। এটা স্বাভাবিক, এতে কোনো ব্যর্থতা বোধ করবার কারণ নেই।

ফুলশয্যার রাত্রে কত লোকে যে কত রকমের অভিজ্ঞতাই লাভ করে তাঁর কোনো ঠিকানা করা যাবে না। নজীর সংগ্রহ করতে গেলে দেখা যাবে যে সাফল্যের চেয়ে হয়তো অকৃতকার্যতাঁর সংখ্যাই বেশি। কিন্তু প্রথম রাত্রেই সঙ্গমের প্রচেষ্টা যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। স্বামীরা স্বভাবতই একটু আগ্রহান্বিত হয়ে উঠে, তারা একবার সাধ্যমত চেষ্টা না করে ছাড়ে না। কিন্তু তাতে অকৃতকার্য হলে বিশেষ কিছু যায় আসে না।   

অকৃতকার্যতা ঘটবার আরো একটি কারণ আছে। সেটা হলো মেয়েদের হাইমেন অর্থাৎ কুমারী পর্দার ব্যবধান। যে সব নারী আজ পর্যন্ত অক্ষতযোনি, তাদের মধ্যে অনেকেরই যোনির দেঊড়ির কাছে যনিগহ্বরে প্রবেশের মুখের খানিকটা অংশ এই পর্দা দিয়ে আচ্ছাদন করা থাকে। সে কথা পূর্বেই একবার বলা হয়েছে। দৈবাৎ এটি ছিঁড়ে গিয়ে প্রবেশদ্বার অবারিত হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু অনেক সময়ে এটি ছেঁড়া থাকে না। যোনির ভিতরে পুরুষের লিঙ্গ প্রথম বারে প্রবেশ করতে গেলেই তখন এই পর্দার দ্বারা বাঁধা পায়। হয়তো পাশ দিয়ে লিঙ্গের একটুমাত্র অংশ কোনগতিকে ঢুকে যাবার পরেই এর দ্বারা আটকে যায়। সে সময় যদি একটু জোর দিয়ে আরো ভিতরের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, তাহলে ঐ পর্দাটি ছিঁড়ে গিয়ে সামান্য কিছু রক্তপাত হয়, সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গও বাঁধামুক্ত অনায়াসে ভিতরে যাতায়াত করতে থাকে। কিন্তু কোনো কোনো স্থলে পর্দাটি পুরু ও মজবুত থাকলে সেটি জোর দিলেও সহজে ছেঁড়ে না। তখন অগত্যা অনেকটা অসম্পূর্ণ ভাবেই সেদিনকার মতো যৌনক্রিয়া সারতে হয়। উপর্যুপরি কয়েকদিনের ঐরূপ প্রচেষ্টায় হয়তো কোনোদিন পর্দাটি অকস্মাৎ ছিঁড়ে পথ পরিস্কার হয়ে যায়, এবং কখন যে ছিঁড়লো তা অনেক সময় জানাও যায় না। কিন্তু বেশি কঠিন হলে এই পর্দা নিত্যই বাঁধা দিতে থাকে। তখন বাধ্য হয়ে এটিকে কোনো কৃত্রিম উপায়ে ছিঁড়ে দিতে হয়। এমন কি সময় সময় ধাত্রী অথবা ডাক্তারেরও সাহায্য নিতে হয়।

আজকাল শোনা যায় সঙ্গম প্রচেষ্টা ছাড়াও কেউ কেউ আরো কিছু বেশি রকম সুযোগ নেবার চেষ্টা করে থাকে। ঠিক ফুলশয্যার রাত্রে না হলেও বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই স্ত্রীকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে দেখবার বাসনা স্বামীর মনে জাগে। কিন্তু মেয়েদের পক্ষে সঙ্গমে নিযুক্ত হওয়া আলাদা কথা, আর পুরুষের সামনে সম্পূর্ণ নগ্ন হওয়া আলাদা কথা। শ্লীলতার প্রশ্ন সেখানে না থাকলেও একেবারে এতটা দুঃসাহস করতে যাওয়া ভালো নয়। মেয়েদের মনে একটা স্বাভাবিক লজ্জাবোধ থাকে। বেশি লোভ করে তাড়াতাড়ি  একদিনেই তাঁর সমস্ত লজ্জাটুকু ভেঙ্গে ফেলতে গেলে স্ত্রীর মন হয়তো তাতে অপ্রত্যাশিত আঘাত পেয়ে চিরকালের জন্য বিমুখ হয়ে যেতে পারে। কিংবা তাঁর মনে বিভীষিকা বা ঘৃণার উদয় হতে পারে। এখানে মনে রাখা উচিত যে আগেকার পরিচয় যতই ঘনিষ্ট হোক, যৌন পরিচয় হলো সম্পূর্ণ এক স্বতন্ত্র জিনিস। প্রথম কয়েক রাত্রির সেই নতুন রকমের পরিচয়টুকু যত শিষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত হয় ততই  ভালো। নগ্নতা দেখবার বাসনা অথবা আরো অন্যান্য রকমের বাসনাগুলির কোনোটাই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অসঙ্গতা না হলেও পরবর্তী কালের জন্য যেসব তুলে রাখা উচিত। ভবিষ্যৎ জীবনে কারো কোনো বাসনাই অপূর্ণ থাকবে না, এ কথা বলা নিষ্প্রয়োজন । ঘনিষ্ঠতা জমে গেলে কালক্রমে সব কিছুই সম্ভব। 

আপনি পড়ছেনঃ মেডিক্যাল সেক্স গাইড থেকে>> ফুলশয্যা

প্রিয় পাঠক/পাঠিকাঃ আমাদের সাইটের পোস্ট পড়ে যদি আপনার কাছে ভালো তাহলে শেয়ার করুণ। এবং আপনার বন্ধুদের কে আমন্ত্রণ জানান আমাদের সাইটে যোগ দেওয়ার জন্য।

The post ফুলশয্যা বা বাসর রাত appeared first on Amar Bangla Post.


বাসর রাতের আদর্শ (ই-বুক)

$
0
0

শিরোনামঃ বাসর রাতের আদর্শ

লেখকঃ আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী

সম্পাদনাঃ খলীলুর রহমান বিন ফযলুর রহমান

সাইজঃ 13,219 KB

ফরম্যাটঃ PDF

Download করতে নীচের ছবির উপরে ক্লিক করুন।


Download না হলে আমাদের জানান। আমরা যত শীঘ্র সম্ভব সমস্যা সমাধান করবো।

আমরা বইটি সাধারণ মোবাইল ভার্সন নিয়ে কাজ করতেছি।

সুচিপত্র….

 

০৩ মাসআলাঃ ৩ বাসর রাতের নামায

০৪ মাসআলাঃ ৪. যখন সহবাস করবে তখন কি বলবে?

০৫  কেমন পদ্ধতিতে সহবাস করবে?

০৬  পিছন দিক (পায়ুপথ বা মলদ্বার) দিয়ে সহবাস করা হারাম। 

০৭ দুই মিলনের মাঝে অযু

0৮ দু’সহবাসের মাঝে গোসল অতি উত্তম

০৯ মাসআলাঃ৯-এক সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর গোসল

১০ ঘুমের পূর্বে অপবিত্রতার অযু করা

১১ সহবাসের পর অযুর করার হুকুম

১২ অযুর পরিবর্তে অপবিত্র ব্যক্তির তায়াম্মুম করা

২১ মাসআলাঃ ২১ বাসর রাতে সকালে কি করবে?

 

The post বাসর রাতের আদর্শ (ই-বুক) appeared first on Amar Bangla Post.

অপু’র বাসর রাত [ছোট্টগল্প]

$
0
0

basor rat

-রাত প্রায় ১২টা ছুঁই ছুঁই!
–আজ অপুর বাসর রাত।
–বন্ধুদেরকে বিদায় দিয়ে মাথার টোপরটা খুলে বিমালার পাশে বসল ও। বিমালার মাথার উপর থেকে ঘোমটা টা সরাতেই বিমালা একহাত পিছিয়ে বলতে লাগলো–
: একদম হাত দিবেননা আমার গায়ে! আমার কোনো ইচ্ছে ছিলনা এই বিয়েতে! একটুও স্পর্শ করবেননা বলে দিচ্ছি। নয়তো খুব খারাপ হয়ে যাবে।
— অপু কোনো কথা না শুনেই ওর শাড়ীতে হাত দেয়। বিমালা প্রায় চিৎকার করতে যাচ্ছিলো। কিন্তু নাহ্! অপু কিছু করেনা ওকে। শুধু মাথার ঘোমটাটা টেনে আবার আগের মতো লম্বা করে টেনে দেয় ও!
— রাত দুটো বেজে গেছে। অথচ এখনো ঘুম আসছেনা অপুর চোখে! কেমন যেন ছটপট করছে ও। হঠাৎ ই বিমালার দিকে নজর পড়লো ওর! গভীর ঘুমের রাজ্য হারিয়ে গেছে বিমালা! কালার লাইটের নিয়ন আলোতে সত্যি ই অপ্সরীর মতো লাগছে মেয়েটাকে! ইচ্ছে হচ্ছে এখনি ওকে একটু ছুঁয়ে দিতে! তবুও কিছু করার নেই! কারন বিমালার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওকে টাচ করা ভাল ঠেকছেনা অপুর কাছে।
— ঊষার আলো ফুটতেই ঘুম ভাঙ্গে অপুর! বিমালার তখনও বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। বিমালার ঘুমের ডির্স্টাব হবে দেখে প্রায় নিঃশব্দে রুম থেকে বেরিয়ে যায় অপুর। মা অনেক আগেই মারা গেছে। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে এতোদিন একাই ছিলো ও! কাজের বুয়া তার গ্রামের বাড়ী গেছে,আসতে সময় লাগবে। হোটেল থেকে নাস্তা এনে দেখে বিমালা ফ্রেশ হয়ে বসে আছে।
বাবার রুমে নাস্তা দিয়ে এসে বিমালার পাশে নাস্তা নিয়ে বসলো ও। কিন্তু কিছুতেই এক টুকরো রুটিও অপু খাওয়াতে পারলোনা ওকে। অপু কিছু না বলে চুপচাপ উঠে গিয়ে,ওর জীবনের উপর লেখা ডায়েরীটা বের করলো। ঘরে রঙ্গিন কাগজের অভাব ছিলনা। সেখান থেকে নীল রঙ্গের একটা কাগজ দিয়ে ডায়েরীর উপর একটা কভার দিয়ে দেয় ও! কার কাছ থেকে যেনো ও শুনেছিল একদিন,কষ্টের রং নাকি নীল! তারপর ডায়েরীর প্রথম পৃষ্ঠায় লিখলো,
“কষ্টের প্রতীক হিসেবে ডায়েরীর কভারে নীল রঙ্গের কাগজ লাগালাম”
আর ভিতরের পৃষ্ঠায় লেখে,
“অন্যসব বিবাহিত পুরুষের মতো,আমার লাইফেও বাসর রাত এসেছিলো। কিন্তু তা অন্যভাবে। তবুও আমার কোনো দুঃখ নেই। কারন বিমালা সত্যি ই খুব মায়াবীনি!”
— দুপুরে লান্স করলেও রাতে আবার ডিনার না করেই শুয়ে পড়ে বিমালা। অপু বেশী জোর করেনা। কারন ও এর মাঝেই বুঝে গেছে,বিমালা খুব জেদী মেয়ে। যা বলে তাই করে ও! ডায়রীটা আবার খুলে বসল অপু। আর তাতে ছোট করে লিখে রাখে,
“সকালের মতো এখন রাতেও না খেয়ে রয়েছে বিমালা। খুব কষ্ট হচ্ছে ওর জন্য!”
— আরও কিছু লিখতে যাচ্ছিলো….! এমন সময় দেখে হঠাৎ ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে শুরু করছে বিমালা। খুব অপরাধী মনে হচ্ছে নিজেকে আজ অপু। ডায়েরীটা বন্ধ করে ধীর পায়ে বিমালার সামনে দাঁড়ায় ও। তারপর দুহাত জোড় করে,বিমালাকে বলে—
: জানি আপনাকে আমি কষ্ট দিচ্ছি। আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই এভাবে আপনাকে আমার বিয়ে করা উচিৎ হয়নি। কিন্তু কি করবো বলেন? কিছুদিন আগেই বাবার ক্যান্সার ধরা পড়লো। ডক্টর বলছেন,বড়জোর আর একমাস বাঁচবেন বাবা। তাই বাবাকে তাঁর পুত্রবধূ দেখাতে তাড়াহুড়ো করে মাত্র এক সপ্তাহে বিয়েটা হয়ে গেলো। আমার মা সেই ছোটবেলায় মারা গেছেন। আমার ক্ষতি হতে পারে ভেবে বাবা আর বিয়েও করেননি! প্লিজ আপনার কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি,শুধু এই মুমূর্ষু মানুষটির জন্য একয়টা দিন উনার পুত্রবধূ হিসেবে অভীনয় করে যান। কথা দিচ্ছি,এরপর আমি আপনাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটির কাছে নিজ হাতে তুলে দিবো। প্লিজ ফিরিয়ে দিবেননা!
— অপুর কথাগুলো শুনে আরও জোরে কাঁদতে আরম্ভ করে বিমালা। তারপর অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে আনমনে বলতে থাকে,
: আমার ভালোবাসার মানুষটি আজ আমাকে ছেড়ে অনেক দূরে। অন্যর সাথে সুখেই আছে। খুব স্বার্থপর ও!
— এসব কিছুই ডায়েরীর পাতায় বন্ধি করে রাখে অপু!
–এভাবেই প্রায় ১৫দিন কেটে যায়। আর ডায়রীর একটার পর একটা পাতা পূর্ণ হতে থাকে! ছুটি শেষে নিয়মিত অফিস যাওয়া ও এখন শুরু করেছে ও।
— আজ শুক্রবার!
— অফিস যাওয়ার তাড়া নেই! ফজরের নামায পড়ে তাই আবার ঘুমিয়েছে ও। কিছুক্ষন পর চোখে সূর্যের উজ্জ্বল আলো পড়তেই জেগে ওঠে অপু। ঘুম ঘুম চোখে বিমালা দেখে অবাক হয়ে যায় ও! বিমালা আজ নিজেই নাস্তা বানিয়ে ওর জন্য নিয়ে এসেছে। তারপর যাওয়ার সময় ওর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুচকী হেসে বলে যায়,বাবার নাস্তাটাও দিয়ে এসেছি। নিজের অজান্তেই কয়েক ফোঁটা আনন্দ অশ্রু ঝরে পড়ে অপুর চোখ থেকে। নাস্তা শেষ করেই হঠাৎ মনে হয়,আজতো বাবাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়ার তারিখ। তাই তাড়াতাড়ি রেডী হয়ে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যায় ও।
— সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ফেরে অপুর! রুমে ঢুকে সে অবাক হয়ে যায়। বিমালা খুব সেজেছে। সত্যি ওকে দেখলে পৃথীবির কোনো চোখ দৃষ্টি ফেরাবেনা আজকে। তবুও বিমালা খারাপ কিছু ভাববে ভেবে চোখ ফিরিয়ে নেয় অপু। হোটেল থেকে নয় রাতে বিমালার রান্না করা খাবার ই খায় ও।
— বিমালা এতো পরিবর্তনেরর কথা ডায়েরীতে লিখতে গিয়ে ডায়েরীটা হাতে নিয়েই অবাক হয়ে যায় অপু। ডায়েরীটে নীল কভারের পরিবর্তে সেখানে একটা সাদা-কালো রঙ্গের কভার দেখতে পায় ও। আর প্রথম পৃষ্ঠার লাইনটা কেটে তার একটু নিচে লিখা,
“আর কষ্টের নীল রং নয়,এবার প্রিয় মানুষটির প্রিয় রঙ্গ দিয়েই ডায়েরীর কভারটা দিয়ে দিলাম। আশা করি তা সুখের প্রতীক হবে!”
মুহূর্তের জন্য কোথায় যেনো হারিয়ে যায় অপু। শক্ত করে বুকের মাঝে চেপে ধরে ডায়েরীটা ও। আড়াল থেকে সব দেখতে পায় বিমালা!
— মাঝরাত!
— আদনান বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। কিছুতেই ঘুম আসছেনা। বার বার শুধু উর্মির মুখটা ভেসে উঠছে ওর সামনে!
— এমন সময় কাঁধে একটা কোমল স্পর্শ অনুভব করে ও। পিছনে ফিরে ভূত দেখার মতোই চমকে উঠে। একি! বিমালা এতো রাতে এখানে!
কিছু বলার আগেই আদনানের হাত ধরে টান দেয় বিমালা।
: আর এ কি করছেন আপনি?
— বিমালা হাত দিয়ে অপুর মুখ চেপে ধরে। আর বলে,এখন থেকে আর আপনি নয়,তুমি! কি করছো এখানে?
: চাঁদ দেখছি!
: তাই? হুম! অনেক চাঁদ দেখা হয়েছে। এবার ভিতরে চলো আমাকে দেখবে!
— বিমালা টেনে নিয়ে খাটে বসায় অপু। আজকে আর কালার লাইটটাও জ্বলেনা ওদের রুমে! বিমালা দুহাতে অপুর গলা জড়িয়ে ধরে বলে-
: এই আর দেরী করছো কেনো? রাত তো প্রায় শেষ হয়ে এলো!
— অপ্রস্তুত হলেও আদনান ও আর পারেনা,বিমালা এরকম উষ্ণ আহবানে সাড়া না দিয়ে থাকতে!
— এরপর কি হয়েছিলো তা না হয় সবার অজানাই থাক। কারন সে গল্পটা যে একান্তই ওদের নিজের। সে গল্পটা যে ওদের দুজন দুজনকে আপন করে নেওয়ার একটি পবিত্র ভালোবাসার গল্প!!!
লেখক :- মাটির মানুষ মিজান

The post অপু’র বাসর রাত [ছোট্টগল্প] appeared first on Amar Bangla Post.

কোরআন-হাদিসের আলোকে বাসর রাতের ৮টি করনীয়-বর্জনীয় কাজ

$
0
0

saadhi-banner2

বাসর রাতে কিছু করনীয় ও বর্জণীয় কাজ আছে যা প্রত্যেক মুসলমান স্বামী স্ত্রীর পালন করা প্রয়োজন। এখানে সেরকম ৮টি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে।


এক. বিয়ের নিয়ত শুদ্ধ করা : নারী-পুরুষের উভয়ের উচিত বিয়ের মাধ্যমে নিজকে হারামে লিপ্ত হওয়া থেকে বাঁচানোর নিয়ত করা। তাহলে উভয়ে এর দ্বারা ছাদাকার ছাওয়াব লাভ করবে।কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের সবার স্ত্রীর যোনিতেও রয়েছে ছাদাকা। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমাদের কেউ কি তার জৈবিক চাহিদা মেটাবে আর তার জন্য সে কি নেকী লাভ করবে? তিনি বললেন, ‘তোমরা কি মনে করো যদি সে ওই চাহিদা হারাম উপায়ে মেটাতো তাহলে তার জন্য কোনো গুনাহ হত না? (অবশ্যই হতো) অতএব তেমনি সে যখন তা হালাল উপায়ে মেটায়, তার জন্য নেকি লেখা হয়।’


দুই. বাসর ঘরে স্ত্রীর মাথার অগ্রভাগে ডান হাত রাখে যে দোআ পড়া : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারী, ভৃত্য বা বাহন থেকে উপকৃত হয় (বিয়েবা খরিদ করে) তবে সে যেন তার মাথার অগ্রভাগ ধরে, বিসমিল্লাহ পড়ে এবং বলে : (‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর ও এর স্বভাবের কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং এর ও এর স্বভাবের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)


তিন. স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একসঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা : আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, স্ত্রী যখন স্বামীর কাছে যাবে, স্বামী তখন দাঁড়িয়ে যাবে। আর স্ত্রীও দাঁড়িয়ে যাবে তার পেছনে। অতপর তারা একসঙ্গে দুইরাকা‘ত সালাত আদায় করবে এবং বলবে, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন আর আমার ভেতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। আয় আল্লাহ, আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযক দিন আর আমার থেকে তাদেরও রিযক দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্র রাখুনআর আমাদের মাঝে যখন বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেবেন তখন কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটাবেন।’


চার. স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের দোআ পড়া : স্ত্রী সহবাসকালে নিচের দু’আ পড়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,‘তোমাদের কেউ যদি স্ত্রীসঙ্গমকালে বলে, (আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তানের কাছ থেকে দূরে রাখুন আর আমাদের যা দান করেন তা থেকে দূরে রাখুন শয়তানকে।) তবে সে মিলনে কোনো সন্তান দান করা হলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারবে না।’


পাচ. নিষিদ্ধ সময় ও জায়গা থেকে বিরত থাকা : আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতী মহিলার সঙ্গে কিংবা স্ত্রীর পেছন পথে সঙ্গম করে অথবা গণকের কাছে যায় এবং তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে, সে যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যা অবতীর্ণহয়েছে তা অস্বীকার করলো।’


ছয়. ঘুমানোর আগে অজু বা গোসল করা : স্ত্রী সহবাসের পর সুন্নত হলো অযূ বা গোসল করে তবেই ঘুমানো। অবশ্য গোসল করাই উত্তম। আম্মার বিন ইয়াসার রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না : কাফের ব্যক্তির লাশ, জাফরান ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র শরীর বিশিষ্ট ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে অযূ করে।’


সাত. ঋতুবতীর স্ত্রীর সঙ্গে যা কিছুর অনুমতি রয়েছে : হ্যা, স্বামীর জন্য ঋতুবতী স্ত্রীর সঙ্গে যোনি ব্যবহার ছাড়া অন্য সব আচরণের অনুমতি রয়েছে। স্ত্রী পবিত্র হবার পর গোসল করলে তার সঙ্গে সবকিছুই বৈধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘… সবই করতে পারবে কেবল সঙ্গম ছাড়া।’


আট. স্ত্রী সান্নিধ্যের গোপন তথ্য প্রকাশ না করা : বিবাহিত ব্যক্তির আরেকটি কর্তব্য হলো স্ত্রী সংসর্গের গোপন তথ্য কারো কাছে প্রকাশ না করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি সবচে নিকৃষ্ট বলে গণ্য হবে যে তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয় এবং স্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ হয় অতপর সে এর গোপন বিষয় প্রচার করে।’

লিখেছেনঃ মাওলানা মিরাজ রহমান

The post কোরআন-হাদিসের আলোকে বাসর রাতের ৮টি করনীয়-বর্জনীয় কাজ appeared first on Amar Bangla Post.

প্রশ্নঃ বাসর রাতে কি স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে?

$
0
0

basor rat1[amarbanglapost.com]প্রশ্নঃ বাসর রাতে কি স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে?

উত্তরঃ বাসর রাতের প্রথম রজনীতে স্ত্রীর সাথে মিলন করা ঠিক হবে না। বরং এরাতে নিজেদেরকে ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করবেন। বাসর রাতে স্বামী স্ত্রী’র কিছু করণীয় কাজ আছে[1]। আগে সেগুলো পালন করবেন। কাজ গুলো পালন করা শেষ হলে নিজেদের ভালো লাগা-মন্দ লাগা, পছন্দ করা কাজ গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। এরাতে নিজেদের জীবন কীভাবে পরিচালনা করবেন তা নিয়ে আলাপ আলোচনা করবেন। একে অপরের সাথে ওয়াদা বদ্ধ হবেন। স্ত্রীকে পরামর্শ দিবেন, আমি যদি রেগে যায় তুমি ধর্যধারণ করবে, তুমি রেগে গেলে আমি ধৈর্যধরবো। আমি ভুল বুঝলে বা ভুল করলে তুমি আমাকে তা ধরিয়ে দিবে। তুমি ভুল করলে বা ভুল বুঝলে আমি তোমার ভুল ধরিয়ে দেব। সুখে দুঃখে দুজনে একসাথে থাকবো। বাসর রাতের পরামর্শ নিয়ে আগামীতে আরো পোস্ট দিবো। এই পোস্ট এ শুধু আলোচনা করবো বাসর রাতের প্রথম রজনীতে কেনো স্ত্রীর সাথে সহবাস করা উচিত নয়? এরাতে স্ত্রীর সাথে মিলন করা এজন্য উচিত নয়, এরাতে স্ত্রীর সাথে মিলন করলে স্ত্রী আপনাকে ভুল বুঝবে, সে আপনাকে আপনার ভোগের বস্তু মনে করতে পারে। সে আপনাকে মনে করতে পারে আপনি তাকে বিবাহ করেছেন আপনার যৌন চাহিদার নিবারণ করার জন্য। দ্বিতীয়ত্ব এরাতে সহবাস করলে তাকে লজ্জায় পড়তে হয়। বিয়ের বাড়ীতে প্রথম কয়েক দিন লোকজন বা আত্মীয়স্বজনের আনাগোনা বেশী থাকে। প্রথম রজনীতে মিলন করার ফলে বা প্রথম মিলন করার ফলে মেয়েদের চলা-ফেরা করতে সমস্যা হয়। তার যোনি পথে ব্যথা হয়। প্রথম মিলনের ফলে যোনি পথে একটি পাতলা পর্দা থাকে। এটি প্রথম মিলনের সময় ছিড়ে যায় এবং হালকা রক্ত বের হয়। একেই মেয়েদের সতীচ্ছেদ  বলে। এই সতীচ্ছেদ অন্য কারণেও ছিড়ে যেতে পারে। তাই বলে মেয়েটি অসতী হয়ে যাবে না। আপনাকে সতী নারীর সংজ্ঞা বুঝতে হবে। কুরআনের ভাষায়ঃ স্বামী স্ত্রী একে অপরের পোশাক। কারোর পোশাক যদি শরীর থেকে খুলে যায়, তাকে যেমন লজ্জায় পড়তে হয়। আপনার স্ত্রীর কোন অসুবিধার কারণে যদি মানুষের সামনে তাকে লজ্জায় পড়তে হয় তাহলে সে লজ্জা আপনারও। আপনি যদি একজন আদর্শ স্বামী হন, তাহলে আপনি কখনো চাইবেন না আপনার স্ত্রী অন্যের সামনে লজ্জায় পড়ুক। এটি বিষয়টি সব সময় আপনার মাথায় রাখবেন।

basor rat3[amarbanglapost.com]প্রথম রজনীতে আপনি তাকে আলিঙ্গন করতে পারেন, তার কপালে, গালে  চুমু খেতে পারেন। সে যদি দেহ মিলনে আপনার আহ্বানে সাড়া দেয় তাহলে আপনি যৌন মিলনে লিপ্ত হতে পারেন। তবে হ্যাঁ, ভালো একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলে কিছু ব্যাথা নাশক ঔষুধ সংগ্রহ করে রাখুন। যাতে আপনি তাকে সময় মতো খাওয়াতে পারেন। তাহলে বেচারী চলাফেরা অসুবিধা থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।   বাসর রাত সম্পর্কিত সকল পোস্ট দেখুন এখানে। বাসর রাতের আদর্শ নিয়ে একটি বই আপনাদেরকে উপহার দিবো ইনশা-আল্লাহ!  আরো কিছু পোষ্টের তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ—

০১ প্রাথমিক মিলনে অশুভ ঘটনা       

০২ প্রশ্নঃ সতীচ্ছদ কি? এটা কি মেয়েদের কুমারীত্বের চিহ্ন?

০৩ ৮ টি ভুল যা স্বামীরা যৌন মিলনের সময় করে থাকে?

০৪ সৌভাগ্যময় ঘর ও স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব (বই)

০৫ স্ত্রীর সহবাসের শরীয়তী বিধান

০৬ স্বামী—স্ত্রীর সুন্দর জীবন (বই)

০৭ আদর্শ বিবাহ ও দাম্পত্য জীবন বই

০৮ আদর্শ স্বামী-স্ত্রী-২ বই

০৯ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুণাবলী

১০ আল কুরআনে নারীর কাহিনী

[1][1] বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর করণীয় ও বর্জনীয় কাজ সমূহ 

The post প্রশ্নঃ বাসর রাতে কি স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে? appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতের উপদেশ

$
0
0

বাসর রাতের ছবি, আজ পারভেজ ও মিম এর বাসর রাত। পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে হয়েছে। মিম শিক্ষিত মেয়ে এবং পারভেজ পড়ালেখা শেষ করে নিজেদের পারিবারিক বসা দেখাশুনা করে। রাত ১২:৩০ মিনিট। পারভেজ বাসর ঘরে আসলো সবাই কে বিদায় জানিয়ে। মিম খাট থেকে নেমে পারভেজ এর পা ছুয়ে সালাম করলো। পারভেজ মিম কে উঠিয়ে খাটের উপর বসাল।পারভেজ মিম কে বলল “আজ আমাদের বাসর রাত। সবার মতই আমাদের জীবনেও বহু প্রতিক্ষিত  এই রাত। আজ এই শুভক্ষনে আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই আশা করি মনযোগী হয়ে শুনবে। কাল কেও তুমি শুধু একটা মেয়ে ছিলে। আজকে তুমি কারো স্ত্রী, কারো সংসারের বউ। কারো ভাবি, কারো জা,কারো চাঁচি, কারো মামী। আজ থেকে তোমার অনেক দায়িত্য বেড়ে গেছে। যেহেতু আমরা পরিবারের কথা মত বিয়ে করেছি তাই হয়তো একে অপরকে জানার সময় কম পেয়েছি। তবুও কিছু কথা……

আজ থেকে তুমি আমার স্ত্রী এবং আমি তোমার স্বামী। যেহেতু আমাকে তোমার বর হিসেবে মেনে নিয়েছি তাই মনে করছি আমাকে তোমার যোগ্য মনে করেছ। আর  মাকে যদি তোমার যোগ্য করে কেউ গড়ে তোলে তারা হল আমার আব্বু আম্মু। আশা করি তুমি তাদের কে সম্মান দিয়ে চলবে।তাদের কে নিজের আব্বু আম্মু মনে করবে। তারা আমাকে তোমার যোগ্য করেছে তার মানে তারা আমার থেকে অনেক বেশি যোগ্য তাই তারা বয়সের কারনে হয়তো রাগারাগি করতে পারে। তখন তুমি তাদের সামনে মাথা নত রেখে নরম স্বরে কথা বলবা। কারন ” কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার জন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”

যদি তুমি তাদের রাগের সময় ভাল ব্যবহার কর তাহলে তারা আর কখনই তোমার সাথে রাগবে না। যদি তুমি আব্বু আম্মুকে মন থেকে ভালবাসো তাহলে তারা তোমাকে অনেক দু’আ করবে যা অমুল্য।

তোমাকে রান্না করতে হবে। আম্মু যখন রান্না করবে তখন তুমি আম্মু কে গিয়ে বল যে আম্মু আমি রান্না পারি না আমাকে শিখাবেন?? আম্মু খুশি হবে।

তোমাকে রান্না করতে হবে না তখন তবু খুশি থাকবে।বিকেলবেলা একটু চা বানিয়ে তাদের কে দিয়ে আসলে তারা অনেক খুশি হবে তোমার উপর।

শুনেছি সব ভাবিরা নাকি ননদ জা দের কে দেখতে পারে না। তুমি এই ধারনা পাল্টে দিবা। আমার বোনেরা ৬ মাস পর হয়তো আসবে থাকবে ৬দিন। এই ৬দিন তাদের কে নিজের বোন মনে করে আদর কর যেন পরের বার তোমার টানেই আসে আবার।

তুমি হয়তো জানো না যে একবার আমি অসুস্থ হইছিলাম এবং আমার আব্বু আম্মু ছিল না। আমার ২বোন সারারাত আমার মাথার পাশে না ঘুমিয়ে সেবা করেছিল এখন ভাবো তুমি তাদের কে কেমন ভালবাসবে?

আমার বড় ভাই আছে যে আমার চাওয়ার আগেই আমার অভাব পুরন করছে আশা করি তুমি তাকে নিজের ভাইয়ের মত দেখবে।যদি ভাইয়ার কাছে কিছু আবদার কর তাহলে তিনি তোমার উপর খুশি হবে। আর ভাবি তো তোমাকে বোন বানিয়েই ফেলেছে।

আমাদের বাড়িতে অনেক বাচ্চাকাচ্চা আছে। তাদের কে আদর করবে সারাদিন তাদের সাথে সময় কাটাবে এক ঘেয়েমি দুর হবে।

অতঃপর ভালবাসা দিয়ে সব জয় করা যায় হিংসা দিয়ে নয়। ভালবাসা দানে বাড়ে কমে না। যতযত ভালবাসা দিবে সবাই তেমন ভালবাসা তোমাকে দিবে। সবাইকে ভালবাসবে। আর তুমি যদি এতকিছু কর তাহলে আমি নিশ্চয় তোমাকে খারাপ রাখতে চাইব না?

আর একটা মেয়ের কাছে স্বামীর সুখের চেয়ে বড় কিছু নেই। এমন কিছু করবে যেন এই ঘর টাকে দুনিয়ার জান্নাত মনে হয়।

প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বা। তুমি অনেক রুপসী কিন্তু সেটা সবার জন্য নয়। তাই বাইরে সংযত হয়ে চলাফেরা করবে। তোমার কিছু বলার থাকলে বল।

মিম মাথা উঠেই নিলয় এর দিকে তাকালে পারভেজ দেখে মিম কাঁদছে।

পারভেজ বললঃ কাঁদছ কেন? মিম বলল জীবনে কাউকে বলিনি আজ বলছি  “আমি তোমাকে ভালবাসি ” আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ উপহার তোমার মত কাউকে জীবনে সঙ্গি করে পাওয়া।

পারভেজ বলল আমিও  তোমাকে ভালবাসি। কথা বলতে বলতে আযান দিয়ে দিল, পারভেজ বললঃ  তুমি নামাজ পরে ঘুমাতে যাও, আমি মসজিদে গিয়ে নামাজ পরে আসতেছি।

পরের দিন থেকে শুরু হল এক শান্তির সংসার। আমার আব্বু আম্মু যেন বউ পায়নি পেয়েছে একটা মেয়ে।

আমাকে বাদ দিয়ে সারাদিন বউকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে বাড়ির সবাই। আমিও কিছু বলিনা 😀 । দিন গেলে রাত টা তো আমার।-স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন

The post বাসর রাতের উপদেশ appeared first on Amar Bangla Post.

তিশার বাসর!

$
0
0

basor ratতিশা কখনোই ভাবেনি যে তাঁর জীবনটাতে এমনটা হবে! কেমন যেন স্বপ্নের মত লাগছে সব কিছু! এত হুটহাট মানুষের জীবনে পরিবর্তন হয়! এখনও তিশার মনে হচ্ছে সে হয়ত নানির পানের সাথে লুকিয়ে কাঁচা সুপারি খেয়ে ঘোরের মধ্যে আছে! নিজেকে সে একটা চিমটি কাটে। উহ! ব্যথা পেলাম তো! তাঁর মানে সবই ঠিক আছে। সবই সত্য!

কিছুক্ষণ আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে। পাত্রপক্ষ সন্ধ্যাবেলা দেখতে আসল। কিছুক্ষণ কথাবার্তা হল। সে শুধু শুনেছে ছেলে নাকি সোনার টুকরা! ভাল চাকরি করে! ঘূষ না খেয়েই ভাল বেতন পায়। ছেলে তাকে পছন্দ করেছে। আর এতেই বাবা আনন্দে আত্মহারা। হঠাৎ বাবা এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, মা আমরা চাই তোর এখানে বিয়ে হোক। তোর কি আপত্তি আছে?

তিশা কি বলবে প্রথমটায় বুঝতে পারছিল না। পরে ভাবল বিয়ে তো করতেই হবে। তাছাড়া পাত্রের চেহারা তাঁর অপছন্দ হয়নি। তাই সে হ্যাঁ-বোধক মাথা নাড়িয়ে দিল!

কিন্তু তখন তাঁর মনে তেমন কোন জটিলু চিন্তা না আসলেও এখন চরম অস্বস্তিতে তাঁর মাথা ঘুরাচ্ছে! লাল একটা শাড়ি পরে সে বিছানায় চুপচাপ বসে আছে। একটু পরে তলাম (পাত্রের নাম) আসবে। বিষয়টা তিশা এখনো মেনে নিতে পারছে না। চেনে না-জানে না এমন একটা লোকের সাথে তাকে একই ছাদের নীচে থাকতে হবে! আচ্ছা তমাল এসে কি করবে! হালুম করে ঝাঁপিয়ে পড়বে নাতো! ইস এসব আমি কি ভাবছি!!

তিশার ভাবনা অদ্ভুত থেকে উদ্ভুতুড়ে পর্যায়ে যেতে থাকে!

সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষের সাথে কিভাবে আমি থাকব? একই ছাদ….একই বিছানা…..এ মা কাঁথাও তো একটাই….।

একটু পর তমাল আসল। দরজা বন্ধ করার সাথে সাথে তিশার বুকটা কেঁপে উঠল। সে চোখ বন্ধ করে রইল। কিন্তু তাঁর কান সম্পূর্ণ সজাগ! সে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে তমাল হেঁটে হেঁটে খাটের কোণায় এসে পৌঁছেছে!

হঠাৎ তিশার মনে হল কেউ বোধ হয়  তাঁর শাড়ির আঁচল ধরে টানছে। শিট! এসেই শুরু করল! এ তো দেখছি চরম অসভ্য লোকরে বাবা! পরক্ষণেই তিশা চোখ মেলে দেখল তাঁর শাড়ি ধরে কেউ টানেনি। আঁচলের এক অংশ খাটের মশারি স্ট্যান্ডের সাথে আটকে গিয়েছিল। আর তমাল তাঁর সামনে বসে আছে। সে তিশাকে অবাক করে দিয়ে বলল, তোমার চোখ দুটো তো অনেক সুন্দর!- লেখকঃ শাদাত শাহরিয়া

The post তিশার বাসর! appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতের সকালে কি করবে?

$
0
0

বাসর রাতের ছবিমাসআলাঃ ২১. বাসর রাতের সকালে কি করবে?

বাসর রাতের সকালে তাঁর জন্য মুস্তাহাব হল যে, সে তাঁর ঐ সকল আত্মীয়-স্বজনদের নিকট আসবে যা তাঁর বাড়ীতে এসেছে এবং তাদেরকে সালাম দিবে এবং তাদের জন্য দু’আ করবে। আর তাদের সাথে যেন আদর্শের সহিত সাক্ষাৎ করবে। আনাস (রাঃ)-এর হাদীসের দলীলের ভিত্তিতেঃ

“আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যায়নাবের সাথে যেদিন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাসর করলেন সেদিন ওলীমাহ করলেন। মুসলমানদের তিনি রুটি ও গোসত পরিতৃপ্তি সহকারে খাওয়ালেন। অতঃপর উম্মাতুল মু’মিনদের নিকট গেলেন এবং সালাম দিলেন আর তাদের জন্য দু’আ করলেন। আত তাঁরাও তাঁকে সালাম দিলেন এবং তাঁর জন্য দু’আ করলেন। তিনি তা বাসর রাতের সকালে করতেন।(ইবনু সা’দ (৮/১০৭) পৃষ্ঠা এবং ইমাম নাসায়ী ওলীমাহ এর (৬৬/২) পৃষ্টা) সহীহ সানাদে বর্ণনা করেছেন।- আদর্শ বই থেকে। এ সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখুন

The post বাসর রাতের সকালে কি করবে? appeared first on Amar Bangla Post.


বাসর রাতের ছবি

$
0
0

আমাদের বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া ছবি থেকে কিছু বিয়ের রাতের ছবি আপনার সামনে প্রকাশিত করেছি যা অনেক বাসর রাতের ছবি বা বাসর ঘরের ছবি হিসাবে খোঁজ করে থাকেন। পোস্ট গুলো দেখুন

বাসর রাতের ছবি

বিয়ের ছবি

বাসর ঘরের ছবি

wedding photo

বেশীক্ষণ সেক্স করার কৌশল

স্ত্রীর কপালে চুম্বন করার ছবি, চুম্বনের দৃশ

basor rate ki kore

চুম্বনের ছবি

বাসর রাতের দোয়া

নববধূর হাতে আঙ্গটি পড়ানো

নববধূর হাতের উপর হাত

স্বামী কে আঙ্গটি পড়ানো

The post বাসর রাতের ছবি appeared first on Amar Bangla Post.

স্বামী-স্ত্রী উভয় একসঙ্গে নামায পড়া।

$
0
0

মাসআলাঃ ৩. বাসর রাতে  স্বামী-স্ত্রী উভয় এক সঙ্গে নামায পড়া।

বাসর রাতের নামায

আর মুসতাহাব হলো যে, তারা উভয়ে এক সঙ্গে ২ রাক’আত নামায পড়বে। কেননা এটা সালাফ থেকে বর্ণিত আছে। আর এ ব্যাপারে দু’টি হাদীস রয়েছে।

প্রথম হাদীসঃ আবূ উসাইদের মাওলা আবূ সাঈদ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (আমি দাস অবস্থায় বিবাহ করলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবীদের (রাঃ) একটি ছোট দলকে দাওয়াত দিলাম। তাদের মধ্য ইবনু মাসউদ, আবূ যার এবং হুযাইফা (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সলাতের ইক্বামাত দেয়া হল। তিনি বলেন, অতঃপর আবূ য আর সামনে যেতে শুরু করলেন, অতঃপর তারা বললেন, সাবধান! যাবেন না। তিনি বললেন, অনুরূপ কি? তারা বললেন, হ্যাঁ।[1] তিনি বলেন, আমি তাদের সামনে গেলাম। অথচ আমি একজন দাস। অতঃপর তারা আমাকে শিক্ষা দিয়ে বললেন, (যখন তোমার স্ত্রী তোমার কাছে আসবে তখন দু রাক’আত সলাত পড়বে। তারপর তোমার কাছে যে প্রবেশ করেছে আল্লাহর আকছে তাঁর মঙ্গল প্রার্থনা করবে এবং তাঁর খারাপী থেকে আশ্রয় চাবে। তারপর তোমার ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপার। [2]

দ্বিতীয় হাদীসঃ শাকীক হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ জৈনিক ব্যক্তি আগমন করল, তাকে আবূ হারীয বলে ডাকা হত। তারপর তিনি বলেন, নিশ্চয় আমি একজন যুবতী কুমারী মহিলাকে বিবাহ করেছি। আর আমি ভয় করছি যে, সে আমাকে অসন্তুষ্টি করবে। তারপর আবদুল্লাহ অর্থাৎ ইবনে মাসউদ বললেন, নিশ্চয় বন্ধুত্ব ভালবাসা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর রাগ অসন্তুষ্টি শয়তানের পক্ষে থেকে। শয়তান ইচ্ছা করছে যে, আল্লাহ তোমাদের জন্য যা বৈধ করেছেন তা সে তোমাদের নিকট ঘৃণা সৃষ্টি করবে। সুতরাং সে যখন তোমার কাছে আসবে তখন তাকে জামা’আত সহকারে তোমার পিছনে দু’ রাক’আত সলাত পড়তে নির্দেশ দিবে। ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর অন্য বর্ণনায় বৃদ্ধি আছে, তিনি বলেছেনঃ তুমি বলঃ “হে আল্লাহ! আপনি যা ভাল একত্রিত করেছেন তা আমদের মাঝে একত্রিত করুণ। আর যখন কল্যাণের দিকে বিচ্ছেদ করবেন তখন আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ করুণ।[3]

[1]  আমি বলবঃ এটা দ্বারা তারা এদিকে ইঙ্গিত করছে যে, সফরকারী সফর কৃতের ইমামতি করবে না কিন্তু যদি তাকে ইমামতি দেয়। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ আর সফরকৃত ব্যক্তির বাড়ীতে ও তাঁর রাজত্বে ইমামতি করা যাবে না। মুসলিম ও আবূ আওয়ানাহ তাদের সহীদ্বয়ে বর্ণনা করেছেন। আর তা সহীহ সূত্রে আভূ দাউদের ৫৯৪ নং আছে।

[2]  মুসান্নাফ আবী শাইবাহ, মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, সিকাতে ইবনু হিব্বান, আবু সাঈদ পর্যন্ত তাঁর সানাদ সহীহ। হাফিয ইবনু হাজার ‘আল-ইসাবা’তে মাওলা আবু উসাইদ মালেক বিন রবিয়া থেকে বর্ণনা করেছেন।

[3]  মুসান্নাফে আবূ বাকার বিন আবি শাইবাহ, মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক (৬/১৯১/১০৪৪৬১) তাঁর সানাদ সহীহ। তাবারানী ৩/২১/২ সহীহ সনদদ্বয়ে বর্ণনা করেছেন।

আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাগু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যখন মহিলা তাঁর স্বামীর কাছে আসবে, তখন স্বামী দাঁড়াবে এবং তাঁর পিছনে তাঁর স্ত্রীও দাঁড়াবে এবং উভয়ে দু’রাক’আত সলাত পড়বে এবং বলবে, হে আল্লাহ! আমার পরিবারে আমার স্বার্থে বরকত দিন এবং আমার মাঝে পরিবারের স্বার্থে বরকত দিন। হে আল্লাহ! তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে রিযিক দান করুণ এবং আমাকে তাদের পক্ষ থেকে রিযির দান করুণ। হে আল্লাহ! যে কল্যাণ আপনি জমা করেছেন তা আপনি আমাদের মাঝে জমা করুণ। আর যদি আপনি কল্যাণকে পৃথক করেন তাহলে আমাদের মাঝে পৃথক করুণ। (তাবারানী আওসাত ও তাবারানী সগীর ২/১৬৬)

ইবনু আদ ৭১/২ আবূ নুআইম আখবারু আসবাহান ১/৫৬ এবং মুসনাদে বায্‌যার দুর্বল সনদে।

ইবনে জুরাইয হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে যে, নিশ্চয় সালমান ফারেসী জনৈক মহিলাকে বিবাহ করলেন। অতঃপর যখন তাঁর কাছে প্রবেশ করলেন, তখন তাঁর দরজার সামনে দাঁড়ালেন। আচানক সে বাড়ীতে আবৃত দেখলেন। তিনি বললেন, তোমাদের বাড়ী কি উত্তপ্ত, না কাবা গৃহ কিনদার দিকে ফিরে গেছে? আল্লাহর কসম, আমি বাড়ীতে প্রবেশ করব না যতক্ষণ না তাঁর পর্দাকে নষ্ট করা হবে!

অতঃপর তারা যখন পর্দাকে নষ্ট করে ফেলেন, তখন তিনি প্রবেশ করলেন, অতঃপর তাঁর স্ত্রীর কাছে গেলেন, তাঁর হাত তাঁর মাথার উপর রাখলেন। তারপর বললেন, তুমি কি অনুসরণকারিণী, আল্লাহ তোমাকে রহম করুণ? সে প্রতি উত্তরে নলল, যার অনুসরণ করা হবে তাঁর স্থানে আপনি বসেছেন। সালমান ফারেসী (রাঃ) বললেন, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন, যে দিন তুমি বিবাহ করবে সর্বপ্রথম তোমরা উভয় আল্লাহর অনুসরণের সহিত সাক্ষাৎ করবে। সুতরাং তুমি দাঁড়াও, আমরা দু’রাক’আত সলাত পড়বো। যখন আমাকে দু’আ করতে শুনবে তখন আমীন বলবে। অতঃপর তারা দু’ রাক’আত সলাত পড়লো এবং সে আমীন বললো। আর তিনি তাঁর নিকট রাত্রী কাটালেন। তারপর যখন সকাল করলেন তাঁর নিকট তাঁর বন্ধুগণ আসলো। তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি তাঁর উপর ঝুঁকে পড়লো। অতঃপর বলল, আপনার স্ত্রীকে কেমন পেলেন? এ কথা বলাতে তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এরূপ দ্বিতীয়জন এবং তৃতীয়জন থেকে। যখন তিনি এরূপ অবস্থা দেখলেন ঐ দলের দিকে ফিরলেন এবং বললেন, আল্লাহ তোমাদের উপর অনুগ্রহ করুণ। দেয়াল, হিজাব ও পর্দাসমূহ যা গোপন করেছে, সে ব্যাপারে কি জিজ্ঞেস করা হচ্ছে? কোন ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট যে, সে প্রকাশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে যদিও সংবাদ দেয়া হোক বা না হোক। (ইবনু আসাকির এ/২০৯/১-২, মুসান্নাফে আবদুর রায্‌যাক ৬/১৯২)

সূত্রঃ বাসর রাতের আদর্শ বই থেকে।

The post স্বামী-স্ত্রী উভয় একসঙ্গে নামায পড়া। appeared first on Amar Bangla Post.

প্রথম মিলনে রক্তপাত

$
0
0

বাসর রাতেপ্রশ্নঃ প্রথম মিলনের সময় যোনিমুখ দিয়ে রক্তপাত হয় সে অভিজ্ঞতা অনেক নারীরই মনে থাকে। এই ধরণের পরিস্থিতিতে কি করা উচিৎ?

উত্তরঃ প্রথম মিলনের সময় সতীচ্ছদ ছিঁড়ে যাওয়ায় সামান্য রক্তপাত হতে পারে, ব্যথা লাগতে পারে। কিন্তু এর জন্যে মিলনের কোন অসুবিধা হয় না। মনে করলে কিছুক্ষণের জন্যে যৌন মিলন বিরতি দিতে পারেন। নিজেকে পরিস্কার করে নিয়ে আবার মিলনে রত হতে পারেন।

আরো দেখুনঃ বাসর রাত টপিক এ।

The post প্রথম মিলনে রক্তপাত appeared first on Amar Bangla Post.

কাঁচা ফুলের বাসর

$
0
0

বাসর ঘরের ছবিতুমি আসবে বলে

সাঁজিয়ে ছিলাম

কাঁচা ফুলে বাসর

হাসনা হেনা জুঁই চামেলী

রজনীগন্ধা আসর।

বকুল ফুলে গেথেছি মালা

বানিয়েছি কানের দুল

তোমার খোঁপাই পরাব বলে

তুলেছি গোলাপ ফুল।

 

তবুও তুমি আসনি সখি

নববধূ হয়ে

স্বপ্ন আমার হইল ধূসর

রইল সৃতি হয়ে।।

কবিতাটি লিখেছেনঃ মীর সোহেল, ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া থেকে। Join in Facebook

The post কাঁচা ফুলের বাসর appeared first on Amar Bangla Post.

কালো মেয়ের বাসর : স্বামী স্ত্রীর বাসর রাতের গল্প

$
0
0

কালো মেয়ের গল্পবাসর রাতে বউকে তুই বলে ডেকেছিলাম।বলেছিলাম তুই আমাকে আপনি করে ডাকবি।কাছে ঘেষার চেষ্টা করবিনা কখনো।
কারণ বউ ছিলো পুরাই কয়লার ড্রাম।কুচকুচে কালো তার গায়ের রং।
বাসর ঘরে ঢুকে বিছানায় তাকিয়ে দেখি যেন ঠিক একটা কালো কুকুর বসে আছে লাল ঘোমটা দিয়ে।ঠোঁটে লাল লিপস্টিক,কপালে ঢ্যামা একটা টিপ। ওয়াক থু, কি বিচ্ছিরি সাজ।লাল কালোয় কি এক অগোছালো সাজ।বাতি বন্ধ করতেই বুঝলাম যেন একটা আধার নিয়ে শুয়ে আছি।
নেহাৎ যৌনতার দায় সারা হয়েছিল সে রাতে। তারপর বিছানা থেকে তুলে দিয়েছিলাম তাকে।
যৌতুক বিরোধী ছিলাম আমরা।তাই বাবার বক্তব্য ছিলো বিনা যৌতুকে
নিজের আত্মীয়ের কারো মেয়েকে পুত্রবধু করে আনবেন।তাই হলো ।
হাজারো অনিচ্ছা স্বত্তেও বাবার গরিব বন্ধুর কালো মেয়েকে বিয়ে করতে হল আমায়। কলেজের সেলফি বয়ের এমন একট বউ জুটলো, যে জীবনে বউকে নিয়ে আর সেলফি তোলা যাবেনা।
বন্ধুরা অনুরোধ করত বউ নিয়ে বেড়াতে আসতে।কিন্তু আমি তাকে নিয়ে যেতাম না।লজ্জা আছে তো নাকি।
রাতে বাড়ি ফিরতাম দেরি করে।তখনো সে জেগে থাকত।খাবার বেড়ে দিত।
কথা বলতামনা আমি।কিভাবে বলি,বারে, ডিস্কোতে সুন্দরী মেয়ে দেখে বাড়িতে কি অমন আল কাতরা ভালো লাগে ?
ওর কি প্রয়োজন সেটা কোনদিন জিজ্ঞেস করিনি। বাড়িতে সবার কাপড় কেনা হতো খাবার তো আছেই।
আর কি চাই? এভাবেই কেটে গেল কয়েক মাস।
সেদিন একবন্ধু তার গার্লফ্রেন্ডকে গিফট দেয়ার জন্য কিছু কিনেছিল। সেটা আমাকেই পৌছে দিতে হবে। অনেক রাত গিফট বক্স নিয়ে বাড়ি ফিরলাম আমি।
দেখলাম সে সোফায় ঘুমিয়ে গেছে।
ভাবলাম খেয়েছে তো? আমি না আসা পর্যন্ত আবার ওকে খেতে দেখিনি
কোনদিন।
শুয়ে পরলাম।কিন্তু মনটা বড় খচখচ করছে। ডেকে তুলে বললাম,খেয়ে তারপর শুবি।
পরদিন সকালে গিফট বক্স খুজে দেখি ওটা আর আস্তনেই।ও ওটা খুলে ভিতরে যা
ছিল ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে।ওর খুশি মুখ দেখে কিছু বললাম না। বেচারী।
কালো বলে কি সাজতে নেই? নিজেই হেসেছিলাম সেদিন।
তারপর নতুন করে গিফট সাজিয়ে পৌছে দিলাম আমি।
তারপর একদিন ও বমি করলে বুঝলাম ও মা হতে চলেছে।
এক শীতের বিকেলে বাবা মা বেড়াতে গেলেন গ্রামে। বাড়িতে রইলাম আমি আর
সে।
সে রাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলাম। কারণ বাড়ি পুরো একা।গ্রাম্য মেয়ে।
বলা যায়না ভুতের ভয়টয় পায়নাকি।বাড়িতে ফিরে শুনলাম রান্না হয়নি।
কারণ জানতে চাইলে ও বলল,ভেবেছিলাম আপনি বন্ধুদের সাথে খাবেন।দুপুরের কিছু ভাত ছিল।আমার হয়ে যাবে।তাই…
ফ্রিজ খুলে দেখলাম।সামান্যই ভাত। বললাম চল্, কাপড় পরে নে। হোটেলে খাবি। ও যেতে চাইলনা। আমিও রেখে যেতে পারছিনা একা বাড়ি বলে।
অবশেষে দুজনে বাহির হলাম।রাতের শহর ও যেন হা হয়ে দেখছিল।
বললাম হাত ধর,নাহলে ভীড়ে আবার হারিয়ে যাবি।
সেদিন প্রথম ও আমার সাথে বেড়িয়েছিলো, প্রথম আমার হাত ধরেছিল।
মন্দ না।আমিও ওর আঙুল ধরেছিলাম যাতে ও হারিয়ে না যায়!!
হোটেলে আমাকে আপনি করে বলবিনা,তুমি করে বলবি আচ্ছা?
মাথা নাড়ল ও। কিন্তু হোটেলে খাবার সময় ও একবারো আমায় ডাকেনি। উল্টো আমিই বলেছিলাম,তুমি আরো কিছু খাবে ?
সেদিন দেখি স্নোর টিউব কেটে স্নো বাহির করছে। রেগে বললাম,স্নো ফুরিয়ে
গেছে বলতে পারোনা?
সেদিনই সে প্রথম আমার কাছে শ্যাম্পু চেয়েছিল।
আমি সেদিন ওকে নিয়ে মার্কেটে গেলাম কসমেটিকস কিনতে।
বন্ধুরা অনেকেই দেখেছিল সেদিন কিন্তু সবাই বৌদি বলে যথেষ্ঠ রেসপেক্ট করেছিল।
সবাই তিনদিন পর আড্ডাতে আসার জন্য অনুরোধ করছিলো ওকে।
তিনদিন পর আমিই ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম মোটর সাইকেলে। ওর জীবনের প্রথম লংড্রাইভ আর ড্রাইভার ছিলাম আমি। আর আমার বউকে নিয়ে প্রথম।
জীবনের প্রথম ওরজন্য আজ ভগবানের কাছে হাত তুলেছি আমি।ও যেন সুস্থ
থাকে।কারণ আজ ও মা হবে।আমি বাবা হবো।
জানিনা কোথা থেকে আজ এতো কান্না আসছিল আমার। হাসপাতালে ওর কাছে
বারবার ছুটে যাচ্ছিলাম।ও হাত ধরে যতবার বলেছিলো ওর খুব ভয় করছে,ততবারই বলেছি ভয় পেওনা আমি আছি।
সেদিন ও কাউকে খুজেনি শুধু আমায় খুজেছে।আমায় পাশে থাকতে বলেছে বারবার।
আর আমি,বারবার পর্দার ফাকে বারবার ওকে দেখলাম।
সিজারে নেওয়া হয়েছিলো ওকে। সন্তান পেলাম। কিন্তু ওকে পেলাম না।
ওর দেহটা ধরে সেদিন খুব কেঁদেছিলাম।মনে হচ্ছিলো খুব যেন নিজের হৃদয়টা ছিড়ে গেছে। আজও চিৎকার করেরে বলি,ফিরে এসো তুমি, একটা রাত তোমার সাথে গল্প করা বাকি ছিলো, একটা সেলফি তোমায় নিয়ে তোলার ছিল। জানি ওকে ভালবাসা দিতে পারিনি। কিন্তু আজ বুঝছি কেন এখনো বুকের বামপাশটা চিনচিন করে ব্যাথা করে।

টপিকঃ বাসর রাত | বাসর রাতের গল্প -ছবি ও ভিডিও |

আপনার গল্প, কবিতা  ও বিষয়ভিক্তিক যেকোন লেখা প্রকাশ করুন  আমার বাংলা পোস্ট.কম এ। যোগাযোগ করুন ইমেল ও ইমো চ্যাটিং এ।

মেইল: Amarbanglapost@gmail.com Imo: 01741757725

The post কালো মেয়ের বাসর : স্বামী স্ত্রীর বাসর রাতের গল্প appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতের দোয়া

$
0
0

বাসর রাতের দোয়াপ্রশ্নঃ আমি কয়েক দিন পর বিবাহ করে যাচ্ছি। শুনেছি বাসর রাতে দোয়া পড়তে হয়। আমি জানতে চাচ্ছি বাসর রাতে কি দোয়া পড়তে তা বাংলাতে লিখে দিলে ভালো হয়। আমি আরবী পড়তে পারিনা।

উত্তরঃ আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা আপনার সুখবর শুনে আনন্দিত হলাম এবং আপনার নব জীবনের প্রতি রইল লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। মহান আল্লাহ আপনাদেরকে নেক হায়াত দান করুন এবং দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি দান করুন।

বাসর রাতের দোয়া টি হচ্ছে…..

উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরিকা অখাইরি মা জাবালতাহা আলাইহি, অআউযু বিকা মিন শার্রিহা অশার্রি মা জাবালতাহা আলাইহ।

এই দোয়াটি স্ত্রীর চুলে ধরে পড়তে হয়।

আপনাকে সাহায্য করতে পারে এমন আরো কিছু পোস্ট ও বই পড়তে পারেন…..

০১. বাসর রাতে ৮ করনীয় ও বর্জনীয় কাজ।

০২. ছেলেদের বাসর রাতের প্রস্তুতি

০৩. বাসর রাতের আদর্শ (বাসর রাতের ইসলামী বই)। বাসর রাত সম্পর্কিত দারুণ একটি a-z বই। মিস করবেন না।

০৪. প্রথম সহবাসে রক্তপাত।

০৫.  বাসর রাতে কি সহবাস করা যাবে?

আমাদের কিছু স্বামী স্ত্রীর ও যৌন জ্ঞানের বই আছে। আপনি চাইলে সেগুলোও পড়তে পারেন। তাতে আপনার দাম্পত্য বিষয়ক ভালো জ্ঞান লাভ হবে।

০১. স্বামী স্ত্রীর বই সমূহ।

০২. বাংলা সেক্স বই সমূহ।

The post বাসর রাতের দোয়া appeared first on Amar Bangla Post.

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর কাছে কি চায়?

$
0
0

বাসর রাতেবিয়ের প্রথম রাত, অর্থাৎ ফুলশয্যার রাত হচ্ছে যে কোনো দম্পতির জীবনের সবচাইতে মধুময় এবং গুরুত্বপূর্ণ রাত। বলাই বাহুল্য যে এই রাত নিয়ে উভয়েরই অনেক স্বপ্ন ও চাওয়া-পাওয়া থাকে।

নারী না হয় একবুক আশা নিয়ে স্বামীর জীবন সঙ্গী হয়ে শ্বশুর বাড়িতে যান। কিন্তু স্বামী কী আশা করেন স্ত্রীর কাছে?

বাসর রাতে প্রত্যেক স্বামীই নিজের স্ত্রী কাছ থেকে কিছু প্রাপ্তির আশা করে থাকেন। অবিবাহিতা পাঠিকা বোনদের জন্য পুরুষদের সেরকম কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো….

১. স্ত্রীকে দেখা যাবে স্বপ্নপুরীর মতন : খুব কম পুরুষই একের অধিক বিয়ে করেন। তাই মধুময় এই রাতটি  সবার জীবনে বারবার ফিরে আসে না। তাই প্রত্যেক পুরুষই স্ত্রীকে সেদিন নিজের স্বপ্নকন্যা রূপে দেখতে চান। আশা করে থাকেন যে স্ত্রীকে দেখা যাবে পৃথিবীর সব চাইতে সুন্দর রমনীর মত।

২. স্ত্রীর জীবনে তিনিই প্রথম পুরুষ : অধিকাংশ পুরুষ আজও আশা করেন যে স্ত্রী ভার্জিন হবে। অর্থাৎ তিনিই হবেন প্রথম পুরুষ যার সাথে স্ত্রী প্রথম শারীরিক সম্পর্ক করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক পুরুষের এই স্বপ্ন গুড়েবালী হয়ে যায়।

৩. একটু লজ্জা: লজ্জা নারীর ভূষণ। এই কথাটি ফুলশয্যার রাতেই যেন সবচাইতে বড় সত্য। বিয়ে প্রেমের হোক বা পারিবারিক, প্রত্যেক পুরুষই এই বিশেষ রাতে আশা করে থাকেন যে স্ত্রী একটু লজ্জা পাবেন। একটু প্রেমের ছলকলা খেলবেন, আর তবেই ধরা দেবেন প্রেমের বন্ধনে।

৪. সমৃদ্ধ জীবনের আশ্বাস: দুজনে একত্রে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন, বিয়ের এই প্রথম রাতটি তাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পরস্পরকে আশ্বাস ও প্রতিজ্ঞা করার জন্য আদর্শ সময়। স্বামীও আশা করেন যে স্ত্রী তাকে একটু সুখের সংসারের আশ্বাস দেবেন।

৫. নিজের প্রশংসা : নিজের প্রশংসা শুনতে কে না ভালোবাসে? আর পুরুষেরা তো স্ত্রীর মুখে নিজের প্রশংসা শুনতে সবচাইতে বেশি পছন্দ করেন। বিয়ের প্রথম রাতেই পুরুষের এই প্রত্যাশা থাকে সবচাইতে বেশি।

৬. শ্বশুর বাড়ির প্রাপ্তি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ : বিয়েতে কী হলো, কী হলো না, কী পেলেন, কী পেলেন না ইত্যাদি নিয়ে হতাশা বা ক্ষোভ ব্যক্ত না করে যা পেয়েছেন সেটা নিয়েই সন্তুষ্টি প্রকাশ করুন। দেখবেন স্বামীর চোখে আপনার সম্মান হয়ে উঠেছে আকাশচুম্বী।

৭. নিজের ভার স্বামীর হাতে ছেড়ে দেয়া : এটা সেই বিশেষ রাত, যে রাতে স্ত্রী নিজেকে অর্পণ করেন স্বামীর জীবনে। নিজের দায়িত্ব ছেড়ে দেন স্বামীর হাতে। আর আপনি যতই স্বাধীন চেতনা নারী হয়ে থাকুন না কেন, আপনার স্বামী কিন্তু সারা জীবনই চাইবেন যে আপনি তাকে বিশ্বাস ও ভরসা করুন। আর এই কাজটি বিয়ের রাতে করলে খুশি হয়ে ওঠেন সকল পুরুষই।

The post বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর কাছে কি চায়? appeared first on Amar Bangla Post.


প্রশ্নঃ বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি

$
0
0

বাসর রাতের গোপন ছবিপ্রশ্নঃ আমাদের দেশে একটি প্রবাদ আছে যে, বাসর রাতে বিড়াল মারতে হয়। আমি এখনো বিবাহ করেনি। তাই আমার জানতে ইচ্ছে হয় বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি? এটার দ্বারা বিবাহ মুখী ছেলে-মেয়েদের আসলে কি বুঝানো হয়?

উত্তরঃ বিয়ের ঠিক আগে কিংবা বয়ঃসন্ধির পর থেকেই সকল পুরুষ মানসিক প্রস্তুতি নিতে থাকে বাসর রাতে ছল-ছাতুরী করে কিংবা আছাড় দিয়ে অথবা গলা টিপে  যেভাবেই সম্ভব হয় আমাকে বিড়াল মারতে হবে।

বস্তুতঃ বিড়াল মারা বলতে বাসর রাতে স্ত্রীকে বশ করাকে (আরো সোজা কথায় স্ত্রীর সাথে বাসর রাতে শারীরিক মিলন করা এবং সেই মিলনে স্ত্রীকে তৃপ্ত করা) বুঝায়।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ছেলেকে তার সমবয়সী বিবাহিত বন্ধুরা বিড়াল মারার নানান কুটবুদ্ধি ফ্রি তে দান করে থাকে। অপর দিকে মেয়ের বড় বোন/ভাবী/দাদী শ্রেনীর আত্মীয়রা বিড়াল না মেরে বাঘ/স্বামী মহাশয়কে কি করে ধরাশায়ী করা যায় তার কুট-কৌশল শিক্ষা দিয়ে থাকেন।

কথার ধরনে অবশ্যই অনুমান করতে পারছেন এটি যেন এক প্রকার যুদ্ধ-যুদ্ধ পরিস্থিতি!

এখন বিষয়টি নিয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা করবো…….

০১. মেয়েটিঃ আমাদের দেশে এখনো এ্যারেঞ্জ ম্যারেজ এর প্রচলন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যমান। মা-বাবা একটি মেয়ে এবং ছেলের জোড়া ঠিক করে দেন। এরকম বিয়েতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রীর পরিচয় মাত্র বিয়ের এক সপ্তাহ আগে থেকে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে আরোও কম সময়ের পরিচয়ও হতে পারে। ধরুন আপনারা একদম অপরিচিত দুইজন মানুষ একটি ঘরে প্রথমবার একত্র হয়েছেন বাসর ঘরে। কি করে আপনি আশা করতে পারেন জীবনের এ পর্যায় পর্যন্ত (ধরলাম ২২ বছর বয়সে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে) আসতে যে পুরুষটির সাথে তার দেখা হয়নি পরিচয় হয়নি তার সাথে সে একা থাকতে? কিংবা একেবারে স্বাভাবিক আচরন করতে পারবে???? জড়তা একদিনে কেটে যাওয়ার মত নির্লজ্জতা (স্বাভাবিক অর্থে) বাঙালী মেয়েদের এখনও সে অর্থে হয়নি এখনও। এমনকি ছেলেটি যদি পূর্ব পরিচিতও হয় তবুও হায়া হারাতে সময়তো দরকার হবেই!

০২. ছেলেটিঃ যার জন্য এত আয়োজন, এতজন সমাগম – সে হলো বর। বিয়ে কোন পান্তা ভাত খাওয়ার মত সহজ বিষয় নয়। আগের দিন রাতে রান্না করে রাখা হলো; আর সকালে ঘুম থেকে উঠেই তৈরি খাবার খেতে বসে গেলেন! বিয়ের জন্য লম্বা একটা মানসিক এবং শারীরিক ধকল শেষে আসে সেই কাঙ্খিত বাসর রাত। পরিশ্রান্ত শরীর-মনের একজন মানুষ চাইলেই বিড়াল মারা বাঘ হতে পারবে না। তাই সময় ক্ষেপন অতি জরুরী একটি বিষয়।

মনে করি ছেলেটি যুদ্ধ ঘোষনা করেই দিল – বিড়াল আমি মারবই!!

একটি মেয়ে যে আপনার ঘরে সারা জীবনের জন্য আসছে তাকে কি আপনি প্রতিপক্ষ হিসেবে নেবেন, নাকি বন্ধু হিসেবে??? বন্ধুদের কুট বুদ্ধি শুনে অনেকেই এই ভুলটি করে বসে। যার ফলে দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে।

বাসর রাত একটি মিষ্টি রাত। মেয়েটিকে আপনার মিষ্টতা বুঝতে দিন।কথা বলুন, দুজনের ভাল লাগা মন্দ লাগা গুলো একে-অপরের সাথে ভাগ করুন। তাকে স্বাভাবিক হতে দিন। এবং যুদ্ধ না করে মনের সাথে মনের মিলন ঘটান। তাঁকে বুঝতে দিন তুমি আমার কাছে উপভোগের বস্তু নও। তুমি আমার সারা জীবনের পথ চলার সঙ্গী এবং সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমার দেহেরই একটি অংশ। তবেই না দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পারবেন। আরো জানতে নিচের পোস্ট গুলো পড়ে নিতে পারেন……

০১. বাসর রাতে যৌন মিলন করা কি ঠিক?

০২. বাসর রাতে যৌন মিলন করা কি জায়েয?

০৩. বাসর রাতের আদর্শ। (বাংলা বই)

The post প্রশ্নঃ বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি appeared first on Amar Bangla Post.

ফুলশয্যার কান্না ( বাস্তবধর্মী গল্প)

$
0
0

বালিকাবধূঘোমটার আড়ালে মুখ লুকিয়ে বালিকাবধূ ঘামতে লাগলো। তার চারপাশে ফুলের সুবাস। হাজার হাজার ফুল থরে থরে সাজানো রয়েছে। গোলাপ, বেলী, রজনীগন্ধা – কি নেই এই পুষ্পশয্যায়! আচমকাই দরজা খটমট করে খুলে গেল। বালিকা কেঁপে উঠলো। না জানি কি হবে! বর নামক অচেনা প্রাণীটি তাকে অস্বস্তি দেবে না তো?

লম্বা আলখাল্লার মত পাঞ্জাবী আর পাজামা পরে কাঁপা কাঁপা হাতে দরজা বন্ধ করলো বর নামক যুবকটি। ধীরপায়ে এগিয়ে গেল সজ্জিত শয্যার খুব কাছে। কিন্তু বসতে পারলো না। কে যেন পাঞ্জাবীর কোণা টেনে ধরেছে খুব করে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলো ছেলেটি। বালিকা খানিকটা সরে গিয়ে ইশারায় বুঝিয়ে দিল, “আপনি বসতে পারেন।”

খাটের দু’প্রান্তে বসে দু’জন ফুলের সুঘ্রাণ নিতে লাগলো। আহা! আজ তাদের ফুলশয্যা, যা কি না জীবনে একবারই আসে। কত জোছনা, কত সুগন্ধিমাখা স্বপ্ন নিয়ে আসে এই রাত! এর এক মুহূর্তও নষ্ট করলে কি চলে? না, চলে না। তারা নষ্ট করলোও না। সারা রাতটাকে জেগে জেগে চোখের উপর দিয়ে পার করলো এই নবদম্পতি। এক মুহূর্তের জন্যও দু’জনের প্রগাঢ় নিঃশ্বাস কাউকে ছুঁয়ে দিল না।

ভোরবেলায় ওদের রাঙা লাল টুকটুকে চোখ দেখে কত না মশকরা করলো ভাবি-দাদীরা। লজ্জায় তারা আরও লাল হল। সারাদিন ‘বাসর কেমন কাটলো’ প্রশ্নটা তাদের পীড়া দিল। এভাবে কেটে গেল দ্বিতীয় রাত, তৃতীয় রাত, চতুর্থ রাত……
অবশেষে কোন এক মাহেন্দ্রক্ষণে দু’জন প্রথম ছুঁয়ে দেখলো দু’জনের নিঃশ্বাস। বুকের ধুকপুকানি বেড়ে গেল শতগুণ। সে রাতও চোখের উপর দিয়ে পার করলো তারা। তবে এবার পরম সুখে। আহা! এভাবে যে সারাটা জীবনই না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেওয়া যায়!

বহু জল গড়িয়ে গেল পদ্মায়। বালিকাবধূ আজ বৃদ্ধা। গতরাতে তার নাতনীর ফুলশয্যা কেটে গেছে। বৃদ্ধা শুষ্ক হাসি হেসে বললো,
“কি রে বইন, কেমন কাটলো তোর বাসর ঘর, ক দেখি? ঘোমটাটা কে আগে খুলছে? তুই, না তোর বর?”
নাতনী অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো।
“কি যে বলো দাদী! ঘোমটা দিতে যাবো কোন দুঃখে? ও কি আমার কাছে নতুন নাকি?”

বৃদ্ধা থতমত খেল। সত্যিই তো, এখন তো বাসর আর বাসর ঘরে আসে না! আসে তারও বহু আগে। এখন বাসর আসে পার্ক, রেস্টুরেন্ট আর হোটেলে। ফুলশয্যার ফুল আর শহীদ মিনারে দেওয়া ফুলের কোন পার্থক্যই নেই এদের কাছে। আহা! সবাই কত এগিয়ে গেছে! শুধু তারাই মান্ধাতার আমলের রয়ে গেল।

বৃদ্ধা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। সে দীর্ঘনিঃশ্বাসের পরতে পরতে ধ্বনিত হল ফুলশয্যার কান্না। হ্যাঁ, ফুলশয্যার পবিত্রতা, শুদ্ধ আবেগ আর নির্মলতা হারানোর কান্না।

লিখেছেনঃ অনামিকা খুশবু অবনী

The post ফুলশয্যার কান্না ( বাস্তবধর্মী গল্প) appeared first on Amar Bangla Post.

এক পুণ্যবতী নারীর বাসর রাতের গল্প।

$
0
0

বাসর রাতের গল্পস্বামী প্রথম রাতেই স্ত্রীকে বলছে, দেখ আমি এই বিয়েতে রাজি ছিলাম না, আমার পরিবার জোর পূর্বক বিবাহ দিয়েছে, সো তোমার মতো তুমি, আর আমার মতো আমি।

স্ত্রী একদম চুপ, কিন্তু হতাশ হলেন না। মধ্যে রাতে স্ত্রী তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য উঠলেন, স্বামীর এলোমেলো চুলে শীতল পরশ হাতখানা বুলিয়ে দিয়ে, আলতো করে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল, চলুন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। আর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার একমাত্র সেতু হলো নামায।

স্বামী চোখ খুলে স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক, কি মিষ্টি হাসি, অপূর্ব চাহনি।

স্বামী বলল তুমি যাও, আমি ঘুমাবো, সকালে কাজ আছে……

স্ত্রী বলল আমি আপনাকে জান্নাতের পথে ডাকছি, সুখ, শান্তি, সচ্ছলতা, সম্মৃদ্ধির

পথে ডাকছি।

স্বামী বলল ওকে ঠিক আছে, তাহলে আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাও।

স্ত্রী বলল তাহলে ওযু করে এসে আল্লাহর কাছে জান্নাত চাও পেয়ে যাবে।

স্বামী বলল আমি অনেক সুখ চাই।

স্ত্রী বলল পৃথিবীর সবাই সুখের ক্রেতা, আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হলেন একাই সুখের বিক্রেতা।

স্বামী বলল কিভাবে?

স্ত্রী বলল, আল্লাহ মুমিন ব্যাক্তির জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে।

স্বামী বলছে আমি তো খারাপ, আর তুমি এই জামানার একজন পুত ও পবিত্র নারী।

আমার মতো একজন অপবিত্র ছেলের সাথে তুমি জীবন কাটাতে পারবেনা।

স্ত্রী বলল, আপনার সমস্ত শরীর যদি হযরত আইয়ুব (আঃ) মতো পোকাই ভরে যায়, তবে আমি বিবি রহিমার মতো আপনার পাশে থেকে সেবা যত্ন করবো।

আপনার সাথে বিয়ের পর, আপনার সম্পদ, আমার ইজ্জত, সবই আপনার আমানত, আর এই আমানতের খিয়ানত আমি কখনোই করবোনা।

আমাদের ঘরটা রাসূলের ঘরের মতো হোক।

দিনের পর দিন রান্না না হোক, কিন্তু আপনার মুখে মুক্তা ঝরা হাসি থাকুক।

স্বামী ভাবছে, এমন জীবন সঙ্গীনি ভাগ্যক্রমে পেয়েছি, আর তাকে অবহেলা নয়, বরং আমার শরীরের একটা অংশ করে নিই।

স্বামী তার স্ত্রীকে বলছে, আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে বললে, কিন্তু এটাতো বললে না যে, জান্নাতে আমার বুকে মাথা রেখে, এমন মিষ্টি পরশ বুলাবে কিনা।

স্ত্রী চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে, মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক বাক্য প্রকাশ করলো।

গল্প থেকে শিক্ষাঃ আপনার স্বামী যেমনই হোক না কেন, সে তো আর ফেরাউন নয়, তাহলে তাকে জান্নাতের দিকে ডাকুন, আর আমি এটা বিশ্বাস করি, সমস্ত ছেলেই ভালবাসার কাছে হেরে যায়, আর মেয়েরা ভালবাসার ক্ষেত্রটি ছেলেদের চাইতে ভাল বুঝে, যার কারনে আল্লাহ মেয়েদেকে মা বানিয়েছেন।

গল্পের উৎস অজানা। প্রকৃত লেখককে আমাদের অন্তরস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই।

আপনার পছন্দ সই আরো গল্প পড়তে শেয়ার বাটনের নিচের ট্যাগ থেকে আপনার গল্পের ট্যাগটি বেঁছে নিন। 

The post এক পুণ্যবতী নারীর বাসর রাতের গল্প। appeared first on Amar Bangla Post.

নতুন বউয়ের মন (স্বামী স্ত্রীর বাসর রাতের গল্প)

$
0
0

-দেখুন আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই নি। (মিস্টি)
 

-আমাকে বিয়ে করবেন না সেটা আপনার বাসাতে বললেও পারতেন। (আমি)-আমি আব্বুর কথা না করতে পারি না তাই এ বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি। আপনি আমার কাছে আসার চেস্টা করবেন না।
 

-চিন্তা করবেন না। আমি আপনার চারপাশ থেকে দশহাত দূরত্ব বজায় রাখবো। আপনি খাটে ঘুমিয়ে পড়েন। আমি সোফাতে শুয়ে পড়ি।

-আচ্ছা শুয়ে আছি আর ভাবছি, কোথা থেকেকি হয়ে গেল। যে আমাকে স্বামি হিসেবে মেনে নিতে পারবে না তার সাথে আমার বিয়ে হল। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ছি খেয়াল নেই। আমি তুহিন একটা মল্টিন্যশনাল কম্পানিতে চাকরি করি আর যার সাথে কথা বলছি সে হল আমার বিয়ে করা বউ (কাগজে কলমে) তার নাম মিস্টি। মিস্টি একটা প্রাইভেট ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাবে চাকরি করে।
মিস্টির সাথে আমার বিয়ে টা তারাতারি হয়ে গেল। আজকে ছিল আমাদের বাসর রাত কিন্তু মিস্টি যা বলল তাতে বাসর রাত করার শখ মিটে গেছে। পরের দিন অনেক দেরি করে ঘুম থেকেউঠলাম। তারপর ভাবিরা তো জ্বালানো শুরু করে দিল। তখন আমি একটু ভাব নিলাম আর কি। সেই দিন কোন রকম পার হইলো। তারপরের দিন আমাদের বাসায় অনুষ্ঠান। মিস্টিদের বাসা থেকে লোকজন আসল। ওদের সাথে নাকি জেতে হবে নিয়ম অনুযায়ী। আমি আম্মুরে ডেকে বললাম আম্মু আমি যাব না। আম্মু বললো কেনো যাবি না, তোর আব্বুকে বলবো নাকি।
আমি বললাম আব্বুকে বলার দরকার নাই আমি যাব। মিস্টিদের বাসায় গেলাম,রাতে মিস্টির কাজিনরা আমার সাথে সেই মসকারা শুরু করল। আমি শুধু তাদের সাথে একটু আকটু কথা বলছি, কথা বলার ইচ্ছা নাই। কথা না বললে আবার অসামাজিক ভাববে। তারপরের দিন বাসায় আসলাম। আব্বুর সাথে কথা বলছি-আব্বু আমার আজকে ঢাকা যাওয়া লাগবে। -কালকে একবারে যাবে মিস্টিকে নিয়ে যাবে। মিস্টিকে দেখলাম নিলা(ছেট বোন) রুমে বসে গল্প করছে। তার পর মিস্টির কাছে জিজ্ঞাসা করলাম-আপনার সাথে কিছু কথা ছিল(আমি)
-বলেন কি কথা?????(মিস্টি)

-আব্বু আপনাকে আমার সাথে নিয়েযেতে বলছে। আর কালকে আমরা চলে যাব।-আচ্ছা পরদিন সকালে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। সন্ধায় পৌছালাম। বাসায় আসলাম। মনে হয় মিস্টির বাসাটা পছন্দ হয়নি। তাছাড়া মিস্টির তো আমাকেই পছন্দ না। বাসার ২টা বেডরুম। মিস্টিকে বল্লাম -আপনি এ্যাটাষ্ট বাথরুম যেটা সেই রুমটা ব্যবহার করেন। আমার ছোট রুমটা হলেই চলবে। মিস্টির সাথে আমার বিয়ে আজ তিন মাস হয়ে গেল। প্রয়োজন ছাড়া আমিআর মিস্টি কেউ কারো সাথে কথা
বলি না। আমরা দুজনে দুই রুমে থাকছি, নিজেদের মত চলাফেরা করছি। এক ছুটির দিনে বাসায় শুয়ে আছি এমন সময় মিস্টি এসে বল্ল একটু ঘুরতে নিয়ে যাবেন। আমিও রাজি হয়ে গেলাম।বেরিয়ে পরলাম মিস্টিকে নিয়ে অনেক ঘুরাঘুরি করে বাসায় আসলাম। আজকে মিস্টিকে অনেক হাসি খুশিলাগছিল। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর দেখলাম মিস্টিকে আমার সামনে ঘুরাঘুরি করতে জিজ্ঞাসা করলাম -কিছু বলবেন(আমি)
-হুম(মিস্টি)
-বলেন
-আমাকে নিয়ে ছুটির দিনে এভাবে ঘুরতে যাবেন???(কন্ঠে পুরাই মধু ঢেলে দিয়েছে)
-দেখি পারি কিনা(কথাটা বলার পর দেখলাম মিস্টির ফর্সা মুখটা কাল হয়ে গেছে)
-যদি সময় না থাকে তাহলে দরকার নেই(আহ মনে হয় এখনই কান্না করবে)
-আচ্ছা,ঠিক আছে এখন নিয়ে যাব কথাটা বলার পর মিস্টি একটা রাজ্য জয়ের হাসি দিয়ে চলে গেল। আজকে মিস্টির আচরন গুলো অন্য রকম লাগছে।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে নাস্তা করে বেড়িয়ে পড়লাম অফিসের জন্য। আমার কেবিনে বসে আছি হঠাৎ করে বসের ডাক। কেন ডাকলো তা জানা নাই।
-আসবো স্যার(আমি)
-হ্যাঁ তুহিন সাহেব আসুন। আপনার জন্য একটা খুশির আর একটা দুঃখের সংবাদ আছে। কোনটা শুনবেন???(বস)
-দুঃখেরটাই আগে বলুন।
-আপনার প্রোমোশন হয়েছে, সো ১৫দিনের জন্য খুলনাতে ট্রেনিং এ যেতে হবে।
-স্যার এটাতো খুশির খবর।
-পরশু আপনি রওনা দিন তাহলে।
-ঠিক আছে স্যার। আমি তাহলে এখন ওঠী মনটা খুব খুশি লাগল। বাসায় ফিরে দেখি মিস্টি টিভি দেখছে। কিছু না বলে ফ্রেশ হলাম। খাওয়ার পর ব্যাগ গুছাচ্ছি এমন সময় আমার রুমে মিস্টির আগমন। 
-ব্যাগ গুছাচ্ছেন কেন???
-আমি ১৫ দিনের জন্য খুলনা যাব তাই। 
-ওহহহ আচ্ছা।
-আর শুনেন। 
-হুম বলেন। 
-আমার প্রোমোশন হয়েছে। 
-ওয়াও ট্রিট দিবেন না। 
-হুম খুলনা থেকে আসি তারপর। 
-আচ্ছা
তারপর মিস্টি চলে গেল। আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে খুলনার উদ্দেশ্যে বের হলাম বিকালে খুলনা পৌছালাম। নতুন যায়গা খুব ভাল লাগছে তবে মিস্টিকে খুব মিস করছি। ভাবছি এক বার ফোন দিয়ে কথা বলব না থাক। কাজের ফাকে একটু ঘুরাঘুরি করা খুলনা শহরটা খুব ভালই লাগল।
.
আজকে আমার খুলনার ট্রেনিং শেষ। কালকে সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিব। রাতে মিস্টির ফোন। 
-আসসালামু আলাই কুম(মিস্টি)
-ওয়ালাইকুম সালাম।(আমি)
-কেমন আছেন???
-জ্বী ভাল। আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না(যদিও মিস্টির নাম্বার সেভ করা ছিল)
-আমি মিস্টি।
-ওহ আচ্ছা। তা কেন ফোন দিয়েছেন???
-না মানে ১৫দিনতো শেষ ঢাকা আসবেন কবে???
-দেখি কালকে রওনা দিব।
-আচ্ছা সাবধানে আসবেন।
-আচ্ছা।
মিস্টি ফোন কেটে দিল।
মিস্টির সাথে কথা বলার সময় আমি অবাক হলাম। যে মেয়ে আমাকে মেনে নিল না সে আমার খবর নিল। সকালে মিস্টি আবার ফোন দিল। 
-রওনা দিয়েছেন।
-না একটু পর। 
-আচ্ছা একটু তারাতারি আসবেন। 
-দেখি দুপুরে রওনা দিলাম ঢাকার উদেশ্যে পৌছালাম রাতে। বাসায় এসে কলিংবেল টিপ দিতেই মিস্টি দরজা খুলেই জড়িয়ে ধরে ছোট বাচ্চাদের মত কান্না করতে লাগল। এমন ভাবেই জরিয়ে ধরছে যেন আমি আর না ছুটে যেতে পারি। কোনরকম দরজাটা লক করে জিজ্ঞাসা করলাম। 
-কি হয়েছে????(আমি)
-কোন কথা না বলে আরও বেশি করে কান্না করতে লাগল(এক কথায় ফোনে লাউড স্পিকার দিলে যেই রকম হয় আর কি)
-এইভাবে কান্না করলে কি হবে কি হয়েছে সেটা না বললে কি করে বুঝব? 
-জানেন এই কয়েকদিন আমার কত কষ্ট হয়েছে। 
-কেনো কি কষ্ট????
-ন্যাকা কিছু কি বুঝেন না(এই হল মেয়ে জাতি এক চোক্ষে হাসি অন্য চোক্ষে কান্না)
-না সব কিছুই বুঝাই দে………(আর কিছুই
বলতে পারলাম না এক জোরা ঠোট আমার ঠোটের সাথে মিলিত হল)
যে কাজ আমার করার কথা সে কাজ করল মিস্টি কি ফাজিল মাইয়া।
মেয়েটি চুমু খেয়েই লজ্জায় আমার বুকে মুখ লুকল।………

লেখকঃ সীমাহীন কষ্ট

আপনার গল্প কবিতা ও মতামত প্রকাশ করুণ |
আপনার লেখিত কোন গল্প-কবিতা আছে? থাকলে এখই আমার বাংলা পোস্ট.কমে প্রকাশ করুণ। আমরা আপনার লেখিত সামগ্রী হাজারো লোকের কাছে পৌঁছে দিবো। আপনার গল্প-কবিতা ও মতামত প্রকাশ করতে এখনই আমার বাংলা পোস্ট এ একটি একাউন্ট খুলুন অথবা আমাদেরকে মেইল করে পাঠিয়ে দিন। মেইল : Amarbanglapost@gmail.com মেইল আইডি না থাকলে ইমো’র মাধ্যমেও পাঠাতে পারেন। ইমো : 01741757725

The post নতুন বউয়ের মন (স্বামী স্ত্রীর বাসর রাতের গল্প) appeared first on Amar Bangla Post.

ফুলশয্যা (স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প)

$
0
0

বন্ধুদের খোচা খেতে খেতে বাসর ঘরে বীর পুরুষের মত প্রবেশ করেই ফেললাম। প্রবেশ করার পূর্বে হার্টবিট কিছুটা কম থাকলেও,প্রবেশ করার পর ইহা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে লাগল। লাজুক ছেলেটি একটা অপরিচিত মেয়ের সাথে থাকবে, মেয়েটার কি তাকে পছন্দ হবে? মেয়েটি কি তাকে স্বাভাবিক ভাবে নিবে! ভাবতে ভাবতে কপাল থেকে ঘাম ঝড়তে শুরু করল।
এত ভয় পাওয়ার কি আছে, তার সাথে তো সারাজীবন থাকতে হবে, ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি কাব্য, নিজেকে নিজে সাহস যুগাতে শুরু করলাম।
এই সন্ধিক্ষনে অসহায় ছেলেটিকে সাহায্য করার মতও কেউ নাই।
মেয়েটির মনেও কি তাই চলছে?
চলবেই বা না কেন, সেও তো একটা অপরিচিত ছেলের সাথে থাকবে, তারও নিশ্চই হার্টবিট বাড়ছে।
নিজেকে শক্ত করলাম। একটু এগিয়ে গেলাম তার কাছে। সে চুপটি করে বসে আছে। তার ঘোমটা খানা তুলিয়া তাহার মুখখানা দেখিবার জন্য নিজেকে শক্তভাবে প্রস্তুত করলাম। কিন্তু বেচারা হাত কিছুতেই তাহার ঘোমটা ধরিবার সাহস পাইতেছে না।
মেয়েটি বুঝতে পারিল, আমি ভীষন ভাবে লজ্জ্বিত, তাই নিজেই ঘোমটা তুলিল। তার চন্দ্রমুখ টা দেখে আমি অবাক দৃষ্টিতে থমকে গেলাম। হরিনী চোখ আর মেঘ বর্ন চুল আমাকে ভাষাহীন করে দিয়েছে।
–এই যে মিস্টার,কি দেখছেন এত করে হুম?
— ইয়ে মানে, না কিছু না।
থতমত হয়ে তার কাছ থেকে কিছুটা দুরে গিয়ে টেবিলে রাখা পানিটা পান করলাম। বুঝতে পারছি মেয়েটি মুচকি মুচকি হাসতেছে।
এবার একটু সাহস পেলাম। মেয়ের নিশ্চই আমাকে কিছুটা পছন্দ হয়েছে। তার কাছে আবার গেলাম।
— আচ্ছা তোমার নাম তো অর্নি।
— মানে কি!! বিয়ে করছেন, অথচ নাম জানেন না।
— না মানে ইয়ে।
— এত মানে মানে করবেন না তো।
বুঝতে পারলাম বালিকার সাহস আমার থেকে অনেকটা বেশি।
–আচ্ছা অর্নি একটা কথা বলি?
–হুম।
— আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?
আমার প্রস্তাব শোনে সে মুচকি হাসিতে লাগিল, নব বধু না হলে মনে হচ্ছে অট্টহাসিই দিতো।
বাসর ঘরে বৌকে বন্ধুর প্রস্তাব দেয়াতেই মনে হয় এমন হাসি।
মাথা নেড়ে মুচকি হাসিতে উত্তর দিল,
— হুম হতে পারি। 
একটা অপরিচিত মেয়ের সাথে শারিরীক সম্পর্ক করাটা আমার মনে বাধা দিল। তাই তাকে বন্ধুত্ব করার প্রস্তাবটা দিয়েছিলাম। একে অপরকে ভাল করে বুঝা, দুজনকে দুজন জানা। একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলা যা আমার প্রতিদিনেরর স্বপ্ন ছিল।
স্বামী স্ত্রী সবচেয়ে ভাল বন্ধু হতে পারে। যখন দুজন মনের খুব কাছাকাছি থাকতে পারব, তখন শরীর এমনিতে কাছে আসবে।
— ছাদে যাবেন এখন? কি সুন্দর পুর্নিমা!
— হুম।
— আচ্ছা আজকে সারা রাতটা চলেন গল্প করে কাটাই।
অর্নি আমার এমন আবদার শোনে খুব খুশি হলো।দুজন ছাদে গেলাম। চাঁদের আলোতে অর্নিকে স্বর্গের অপ্সরী লাগছিল।
— আচ্ছা অর্নি পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক কোনগুলা? ভালবাসা কোনগুলা।
অর্নি চাঁদটার দিকে তাকিয়ে উত্তরটা দিলো,
— প্রথম যখন আপনাদের বাসায় পা দিলাম, তখন আপনার মা আমাকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরছিলেন, আমার মনে হলো আমি আমার মাকে পেয়ে গেছি, সেটা হচ্ছে সুন্দর সম্পর্ক, আমাকে আপনার মায়ের নিজের মেয়ে মনে করা, আর আমি আপনার মাকে আমার শ্বাশুরী নয়, নিজের মা মনে করা। আপনার বাবা যখন বলেছিলেন, আমার কোন মেয়ে নেই, এখন একটা লক্ষ্মী মেয়ে আমি পেয়ে গেছি, সেটা হচ্ছে ভালবাসা।
অর্নির কথা শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম। নিজেকে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ছেলে মনে হচ্ছে। যে আমার কথা না বলে আমার পরিবার, আমার মা বাবাকে নিয়া প্রথমেই ভাবে, সেই মেয়ের মত আমাকে কেউ ভালবাসতে পারবেনা।
একটু অভিমানের নাটক করে বললাম,
— আমি কিছুই না বুঝি?? হুহ!!!
–এই যে আপনি এই রাতে একটা মেয়েকে পেয়েও তার শরীরকে না ভালবেসে তার কাছে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, একটা সুন্দর রাত উপহার দিচ্ছেন, আমার জীবনের সেরা রাতটি উপহার দিচ্ছেন।
সেটা হচ্ছে একটা মেয়েকে সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ। যা প্রতিটা মেয়েই তার স্বামীর কাছ থেকে আশা করে।
অর্নির মুখে স্বামী শব্দটি শোনে লজ্জ্বায় লাল হয়ে গেলাম।
অর্নি আমার হাতটি ধরে ফেলল,
— এই যে লাজুক ছেলে, এত ভয় পাচ্ছেন কেন?
আমার আরেকটা জিনিষ চাই, সেটা পারবেন তো দিতে?
— হুম পারব।
— একটা রাজকন্যা গিফট করতে পারবে?
আমি সেদিন লজ্জ্বাকন্ঠে বলেছিলাম,
— শুধু ভালবাসতে হবে, আমি তোমায় পৃথিবীর সব সুখ দিয়ে দিব,,,,,,,,,,,।

লিখেছেনঃ সীমাহীন কষ্ট

The post ফুলশয্যা (স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প) appeared first on Amar Bangla Post.

Viewing all 40 articles
Browse latest View live